বিরহিত প্রেম
বিরহিত প্রেম
দেখা হলো প্রায় একযুগ পরে দূরপাল্লার ট্রেনে,
বদলে সে গেছে,বদলেছি আমি,কালের নিয়ম মেনে।
চুলেতে রুপোলি রেখার আভাস,শরীরে জমেছে মেদ,
তবু প্রথম সে প্রেম চিনতে পেরেছি,মনে নেই কোনো ক্ষেদ।
রাঙা সিঁথি টানা ঢলঢলে মুখে চশমা লেগেছে তায়,
ঠোঁটের নিচের তিলখানা তবু আজও মন ছুঁয়ে যায়।
হাতে হাত রাখা,মন দেওয়া নেওয়া,কলেজের ক্লাসঘরে,
ছিল রাজনীতি আর রবীন্দ্রনাথ,পড়ালেখা কেবা করে!
সুন্দরী মেয়ে,স্নাতকোত্তর,ছিল বাবার পকেট ভারী,
তাইত প্রবাসী ইঞ্জিনিয়ার মিলে গেল তাড়াতাড়ি।
বেকার যুবক, রাজনীতি করে,আর তো কবিতা লেখে,
লাঞ্ছনা আর দারিদ্র ছাড়া কি পাবে তার থেকে ?
ভালই করেছে গিয়েছিল মেয়ে প্রবাসীর হাত ধরে,
রাজরানী হয়ে সুখ টুকু নিয়ে আরব সাগর পারে।
চিনেও আজ সে চিনতে পারেনা পুরাতন ভালবাসা,
ভয় মনে তার,হারিয়ে না যায়, সুখের সাগরে ভাসা।
আমি তাই আজ,দূর থেকে দেখি,শুধু দু নয়ন ভরে,
সুখে সে রয়েছে,সুখে সে থাকুক,শৌখিন অবসরে।
ভুলতেই চাই,তবু মৃত স্বপ্নেরা ভীড় করে আসে মনে,
বিরহী হৃদয় আজও কেঁদে মরে একাকী,সঙ্গোপনে।