নষ্টনিশি
নষ্টনিশি
মধুময় রাত আসে, তারা সব ফোটে-
রাত্রি গভীর হলে ,চাঁদ জেগে ওঠে।
তারারা পদ্য লেখে ,চন্দ্রমা হাসে,
প্রতি রাতে স্বপ্নরা ভীড় করে আসে।
আমার রাত্রি গুলো কাটে জাগরণে,
হারানো স্বপ্নগুলো খুঁজি প্রাণপনে।
রং মেখে আমি সাজি রাতচরা পাখী;
শরীর নিলামে ওঠে,মন দেয় ফাঁকি।
তোমার রাত্রি গুলো আদরে সোহাগে,
পেলব আঁখিতে শুধু ভালোবাসা জাগে।
দিন কাটে,রাত আসে ,নিভে যায় আলো;
তোমরা তখন ঘরে প্রেম-দীপ জ্বালো।
আমার শরীর রাতে স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে,
হিংস্র মানুষ গুলো কাটা ছেঁড়া করে।
হাসির মুখোশ পরে ব্যাথা রাখি ঢেকে,
রাত তাই সুখস্মৃতি যায় না তো রেখে।
তোমাদের কাছে রাত কাব্যে মধুর,
আমার যে রাত কাটে বেদনা বিধুর।
নিশুতি রাতের সেই কদর্য ডাকে-
দুঃস্বপ্নের ক্ষণ,শুধু স্মৃতি হয়ে থাকে।
চাঁদের আলোয় আমি পুড়ি সারা রাত,
ল্যাম্প পোস্টের আলো পেটে দেয় ভাত।
তাই রাতের আশায় আমি থাকি পথ চেয়ে,
রাত শেষে ভোর হলে,আমি যে নষ্ট মেয়ে।