বিদ্রোহী মাস
বিদ্রোহী মাস


দ্রাম দ্রিম দ্রুম, বাজিছে নিঝুম,
ফের বিদ্রোহী সুর;
শুনি দিকে দিকে, কালের কবিকে,
দুষিতে অন্তপুর!
হায় দিবাকর, দিন রাত ভর,
সইরেন হাসে ক্রুর ;
বেদের বঙ্গে, ফোটে বিহঙ্গে,
বিনাশের অঙ্কুর!
নীল নদে, নীল বিষের মিছিল,
সুমেরু অন্ধকার,
শুলের বক্ষে জনসমক্ষে,
করেছি অঙ্গীকার!
শোনা যায় ওই মাভৈঃ মাভৈঃ
ধ্বংসের হুঙ্কার,
দূরে বিভীষণ, নাচিছে ভীষণ,
ত্যাগীয়া অলঙ্কার।
পূবের পূর্বে কালবৈশাখী, খুলেছে ঝঞ্ঝা রক্তিম আঁখি,
হোম লাগিয়াছে মৃত্যুর !
ওই ঘূর্ণি ঝনন ,ঝন ঝন যেন অনাথের গৃহপ্রাঙ্গণ,
হয়ে তেড়ে আসে কাল শত্তুর!
আকাশ ,আজ যেন রঙের স্বর্গ উঁচিয়ে ধরেছে কালের খড়গ
দেখি মুক্ত জাহাঙ্গির ,
মহাদেবও আজ হাসির পাত্র, ছুটে যাই তারে দেখিবা মাত্র,
কাঁপি গুরু গম্ভীর!
গুরু গুরু গুম কাঁপে মৃদঙ্গ, শিহরিয়া ওঠে অঙ্গ অঙ্গ,
কুলে করাল ভয়ঙ্কর;
যুগ যুগ ওরা কালের বংশী, অর্থে সমান লাভের অংশী ,
ওরা নর শঙ্কর!
শুনি আচমকা শনির দম্ভ ভেঙে দিতে চায় স্বাধীন স্তম্ভ,
ব্যাস্ত স্বয়ম্ভর।
তাই লাগিছে তিক্ত ঘর্ম সিক্ত
পুরাতন অম্ব
র!
কলি যুগে কুল না পাই খুঁজে, হাঁটি তাই আমি দু চোখ বুজে,
তপ্ত বালুর পথ;
হাতে মুক্তির বিশেষ পত্র, ধ্বনিবে স্বর্গ পাতাল মর্ত;
রক্তিম
মোরা ,রক্তিম সৈকত!
আমি ছুটিয়া বেড়াই দিকে দিকে আজ,
ভুলে গেছি মোর সব কাজ,
মোর ভয়ে কাঁপে শত সৈন সমাজ,
মুঘল পাঠান ইংরাজ!
আমি,
পদতলে রাখি সাহি তাজ,
আমি ধান্দা ফন্দি সব বাজ।
আমি কেড়ে নিয়ে যাব বন্ধুক,
যত ধনরত্নের সিন্ধুক;
জানি, ...
আমি সমাজের চোখে নিন্দুক,
তবু ধার ধারি নাক বিন্দুক!
আমি মাখি বিনাশের চন্দন,
খুঁজি জগতে কানন নন্দন!
শুনি মহা করুনের ক্রন্দন
যেন তরুনের দেশে মীমাংসাহীন মন্দন!
হায়,
আজ নেই কোনও ইন্ধন,
যায় যাক ছিঁড়ে যাক ,সকল বাধন বন্ধন!
ওই , ভাষাহীনেদের উল্লাস,
যায় খান খান করি নিশীথের গড়া সব ত্রাস!
হায় ,
দেখ দেখ হায় চরম সর্বনাশ
আজ ফের আসিয়াছে সেই বিদ্রোহী মাস!!!