কালার টিভি
কালার টিভি
নব্বুই এর দশকটা ছিলো এক স্বর্নযুগ প্রতীক্ষার,
এক ই সাথে অনেক কিছু পাবার।
রামায়ন - মহাভারত দেখতে যাইনি কারো বাড়ি,
সাদা-কালো টি ভি কিনলে হবে বাবার সাথেই আড়ি।
কালার টিভির সাথেই এলো ঘরে গ্যাসের ওভেন,
কয়লার গুল, জনতা স্টোভ, শো শো করা প্রাইমাস,
অথবা হিটারের শেষ হোলো যে সুদিন।
বাবা মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকা কত যে কষ্ট !
একটি বছর দূরে থেকেই বুঝেছিলাম স্পষ্ট।
কোনো সপ্তাহে বাড়ি না ফিরতে পারলে,
যেতাম জেঠু, শিব নারায়ন সরকারের বাড়ি।
পুতুলদি দের সাথে মিলে মিশে লাগতো বেশ !
মনে মনে ভাবতাম বোধহয় ওটাই নিজেদের বাড়ি।
বাড়ি ফিরে আবার সমর্পণ লাইব্রেরির দুয়ারে,
ঐ গরমে কি করে যে ঘুম চলে আসতো ঠিক দুপুরে।
মায়ের বাজানো কলিং বেলের ঘন্টা শুনে,
মন্দিরের ঐ ঘন্টা বাজে, দিবাস্বপ্নে ভেবেছি মনে।
মোটেই পোষাতো না সব সময় ফ্যানের হাওয়া তে,
সবাই সারা বাড়ি খুঁজে খুঁজে যখন হয়রান!
আমাকে পাওয়া যেত শেষে মেঝেতে,
নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছি যে খাটের তলাতে।
এই নব্বুইয়ের দশকের শেষের দিকেই,
খোকি তার শ্বশুরবাড়ি শেষমেশ তো চলে এলোই।
ঠিক তার একটি বছর পরে,
জ্যান্ত এক পুতুল পেলো কোল আলো করে।
হাসি কান্না দিয়ে ভরা নব্বুই দশকের বাকি _____
দু একটি বছর চলেই গেল কেমন যেন হুস করে।