নারীর পরিচয়
নারীর পরিচয়


কবি অঙ্গীকার করে বলেছিল-
এ বিশ্ব কে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবে!!
সে নিজেই চলে গেল হায়,
রইল না আর কোনো দায়।
ভাগ্যিস সে চলে গেলো,
নয়তো আজ লজ্জায় সে মরমে মরে যেতো।
শুনেছি, পাপীরা মৃত্যুর পর নরকে যায়;
আচ্ছা, একি নরক নয় !!
এখানে ছমাস থেকে আশি বছর
সবার কি একটাই পরিচয়?
এই বিজ্ঞানের অগ্ৰগতির যুগে,
শিক্ষিত সমাজে, একটা শিশুও কি নিরাপদ নয়?
কোথাও শিক্ষক, কোথাও পাড়ার কাকু,
কোথাও বা নিজের কোনো নিকটাত্মীয়,
হয়তো বা পুলকারের ড্রাইভার,স্কুলের দারোয়ান, পাড়ার দাদু, বেপাড়ার মস্তান.....
আরও আছে কত শত
অলিতে গলিতে পথে ঘাটে।
দোষ তো তোমার, তুমি নারী!!
তোমার একটাই পরিচয়-
না, মা নয়, বোন নয়, স্ত্রী নয়
তুমি পণ্যা, তুমি ভোগ্যা, তুমি রমণী
তোমাকেই ভোগ করা যায়।
দোষ তো তোমার গঠনের, শরীরের,
দোষ বিধাতার, সমাজের!!
হোক না ছমাস, কিম্বা আশি
কষ্ট দিতেই ভালবাসি৷
ছোট্ট শিশু, ক্ষতি কি?
ছিদ্র আছে তো ?দেখো নি;
প্রয়োজনে কেটে ছিঁড়ে বড় করা যায়,
তুমি যে নারী, এই তোমার পরিচয়।