মে দিবস
মে দিবস


কত কিছু থেকেই যে মানুষ শেখে, তা বোঝা দায়,
শুধু বই পড়েই যে মানুষ শিক্ষিত হয় তা মোটেও নয়।
বর্তমান পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাবলী ,
কিংবা অতীত ইতিহাস থেকেও মানুষ শিক্ষা পায়।
শ্রী কৃষ্ণ তো বলেছেন কবেই যে, "কর্ম করে যাও,
পরিশ্রম করা তোমাদের কর্তব্য,ফল পাও বা না পাও"
এবারে বুঝলাম কেন সকালে উঠেই এতো কাজ করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো! আজ নাকি "মে দিবস" !
হয়তো অবচেতন মন তাই, বলছিলো আমায়,
"আজ একটু বেশি শ্রম দাও, শ্রমকে শ্রদ্ধা জানাও ।"
ঘেমে নেয়ে আটা থেকে সিমাই তৈরির কাজটা,
ধৈর্য সহকারে, মন দিয়ে করেই ছেড়েছি।
ডান হাতে দু-একবার নাহয় একটু ছড়ে গেছে,
জ্বলেছে, তাই বলে কি আমি হাল ছেড়েছি !
কাজের
শেষে হৃদপিন্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে, বুঝতে পেরেছি যে, আমি সত্যিই বেঁচে আছি!
নিজের হাত, পা সচল রাখতে কখনও কখনও____
প্রয়োজন না থাকলেও কাজ করা জরুরী,
সময় বুঝে, নিজের দায়িত্বে কাজ করা দরকারি।
যীশু খ্রীস্টের পালিত বাবা যোশেফ লড়েছিলেন,
শ্রমিকদের হয়ে মালিকপক্ষের বিরূদ্ধে গিয়েছিলেন।
শ্রম দেওয়ার বিনিময়ে উপার্জন করলেও শোষন নয়,
সময়ের হিসেব ঠিক রাখা দরকার, জুলুম সওয়া নয়।
জনগনের মনে যায়গা পেতে মানবিক হওয়া দরকার,
সকলেই তবে রাখবে মনে, জনগন অথবা সরকার।
প্রতিষ্ঠা কারো একদিনে আসেনা, চাই অধ্যাবসায়,
সবাই মিলে চলো বলা যাক, লং লিভ "মে" ডে !
জয় "যোশেফ", এবং মহান "মে দিবস" এর জয়।