কুঠারাঘাত
কুঠারাঘাত
বিশ্বাসের আকাশেই ভেসে বেড়ায় ভুলের মেঘেরা,
ভুল জমে জমে কখনও ঝরায় তারা বৃষ্টি ধারা।
ছোটো দু একটা ভুল তো জানা সত্ত্বেও হয়ে যায়,
না জেনে বিশ্বাস এর মোহের ফাঁদেও মানুষ পা দেয়।
প্লাষ্টিক, পোষ্ট, ষ্টুডিও, ষ্টিল "ষ" এর এই যে বাহার,
আসলে কোনো ঈংরেজী শব্দেই ষ এর নেই দরকার।
দুর্গা কে দূর্গা ভেবে সর্বজনীন কে সার্বজনীন করা,
পূজোর চাঁদার রসিদে চড়ে মাতায় তো সারা পাড়া।
মাঝে মধ্যে অনেকেই "ভ" কে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই,
ভ য়ে হ্রস্ব উ, নাকি ভয়ে দীর্ঘ ঊ, কোনো চিন্তা নেই।
"অদ্ভুত ছাড়া আর সব জায়গায় হবে ভয়ে দীর্ঘ ঊ,
চোখ বুজে এই কথাটা বিশ্বাস সকলে করতে পারো।"
কে যে কথাটা বলেছিলো আজ আর মনে নেই,
তাই এই "ভুল" বানানটা নিয়ে সন্দেহ হয় হামেশাই।
বানানটা অনেক জায়গায় ভূল দেখে চোখ সয়ে যায়,
ভূতকে আবার মাঝেমধ্যে একই ভাবে ভুত মনে হয়।
এই বিশ্বাস জিনিসটাকে তাই বোধহয় অন্ধ বলা হয়,
তাইবলে কিন্তু অন্ধবিশ্বাসের কবলে পড়া ঠিক নয়।
কিছু বানান আবার সময়ের সাথে সাথে পাল্টে যায়,
ওগুলো বোধহয় পরিবেশ বান্ধব বানান !
তাই পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নেয়।
অবলীলায় বেশ ডিক্সনারীতেও স্হান পেয়ে যায়।
চোখে দেখে দেখেই মানুষ শেখে, কথাটা খুব সত্যি,
তাই কোনোভাবে একবার বুঝতে পারলে,
বা কেউ ধরিয়ে দিলে, সেই ভুলের আবার পুনরাবৃত্তি!
"অবসন্য" কে যে আসলে "অবসন্ন" লিখতে হয়,
এ কথাটা কতবার আর বলা যায়!
বার বার ধরিয়ে দিতে নিজেরই যে অবসন্ন বোধ হয়।
"পাই" আর "পায়" এর সহজ তফাৎ টা প্রচুর লেখায়,
কেন জানিনা, দেখি অনেকেরই বোধগম্য নয়।
এসব বিশ্বাস এতটাই শক্ত পোক্ত হয়ে গেঁথে রয়েছে,
এদের মূলে কুঠারাঘাত করতে করতে ক্লান্ত বোধ হয়।