নকল দাঁত
নকল দাঁত
পরিস্থিতি সত্যিই করুণ, দাঁতব্যথা যাইয়াও যায় নাই,
অনেকটা কমার পর ছিল শুধু একটু একটু সুর সুর ।
অস্বস্তি কাটাতে, কি যেন একটা কিছু দাঁতের ফাকে,
আটকে আছে ভেবে টুথপিক দিয়ে খুব করে খোঁচাই।
কথা হোক বা সত্যি খোঁচা, খেয়ে কে আর চুপ থাকে,
ব্যাথা দেয় বা উঃ বলে সকলেই পালায় একা রেখে ।
দাঁত বেচারাও চাপ সহ্য করতে না পেরে ভেঙে পড়ে,
যেন ঠিক ছোটো সাইজের এক মুক্তো, মন কাড়ে ।
আবার শুরু দাঁত, কান, মাথা সহ অমানুষিক যন্ত্রনা,
কমবিফ্লাম আর রেক্সিডিন জেলের ক্ষমতায় হবেনা,
বুঝেছি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর চলবেনা। অনেকের লেখা পড়তে উঁকি দিতেও পারছিনা,
এমনিতেই তো কত লেখা পড়তে পারিনা,
একে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা, ছাড়া কিছু বলা যায়না।
ছ মাস পর পর বিনা কারণেই যদি যায় যাওয়া,
দাঁতের ডাক্তারের চেম্বারকে যদি যায় মন্দির ভাবা,
তাহলেই থাকা যায় নিরাপদ, এটাই বিজ্ঞের মতামত।
জন্মের কিছুদিন পরে পাওয়া জিনিসটা এত ভঙ্গুর !
দিলেই যদি কেন আরও শক্তিশালী দিলেনা ঠাকুর।
জানোনা কাউকে খারাপ, দুর্বল উপহার দিতে নেই,
তোমাকে দেখেই তো মানুষেরা, শেখে যে অনেকেই।
ইলেভেনে স্কুলে দেখা হয়েছিল এক কঙ্কালের সাথে,
সরু সরু সব দাঁতগুলো তার ছিল তখনও বর্তমান।
যেন দাঁত দেখিয়ে খুশী মনে খুব করে হাসছেন,
"একদিন আমিও তোমাদের মতোই ছিলাম" বলছেন।
জানিনা উনি যে কত বছর বয়েসে মারা গেছিলেন,
দাঁত ব্যাথা থেকে কি করে যে মুক্তি পেয়েছিলেন !
আগের বছরে ডান গালে ভাঙা দাঁতটা উপরে ফেলি,
বাঁধানোর পর এখন বেশ মুড়ি বাদাম চিবিয়ে গিলি।
কিন্তু কতবার এরকম দাঁত তুলতে হবে জানিনা,
সুগারের কারণে দাঁতগুলো দুর্বল হচ্ছে কিনা বুঝিনা।
আগের বছর তো সুগার এর খবরটা জানা ছিলনা,
এবার তো সুগার না কমিয়ে দাঁত তোলাও যাবেনা।
খাওয়া বন্ধ করতে রাজি আছি আমি, না হয় খাবনা,
কিন্তু ফোকলা বুড়ি বা একপাটি বাঁধানো দাঁত চাইনা।