মেঘ ও বাতাস
মেঘ ও বাতাস


বাতাস ছিল বন্ধু মেঘের,যেত মেঘের বাড়ি
বাতাস তখন সদ্য কিশোর,মেঘ মোহিনী কিশোরী।
একদিন, বাতাস চড়ছে মাঠে সুন্দর বিকেলে
মেঘ হঠাত এসে বলে, জানিস তোর আমার নাকি খুব মিল?সবাই তাই বলে।
বাতাস বলে দূর তা কি হয়, তুই একটা মেয়ে আর আমি ছেলে বলেই হেসে ফেলে।
মেঘ বলে সে মিল চেহারার নারে বোকা
অন্তরের মিল, হৃদয়ের মিল,প্রেম যাকে বলে
ড্যাবডেবে চোখে তাকায় বাতাস,
বলেও সব তো সিনেমার কথা সত্যি কি আর ফলে?
হঠাত বেগে কড়কড়িয়ে উঠল ভীষণ ঝড়
মেঘ বলে এইতো সময় আমায় আদর কর
বাতাস তখন মুঢ়প্রায়,কিছুই পায় না ভেবে
মেঘের নরম নীলকালো ঠোট বাতাসের অসংযত ঠোটে
ক্ষনিকের সেই স্ফুলিঙ্গে ছিল মাদকতা মিশে,
আর পরিপূর্ণ ছিল নীল প্রেম রোগের বিষে
প্রথম সেই মেঘের স্পর্শ, স্বপ্নের শিহরণ
সেই থেকেই কী করেছিল বাতাস মৃত্যুকে বরণ?
বাতাস ভাসে আপশোষে
মেঘের এখন সময়ের অভাব , ভাব দেখিয়ে চলে
বাতাস তার পিছু পিছু কত কিছু বলে
কিন্তু, মেঘ শোনেনা কিছু , চায়না বাতাসকে আর
চায় পাহাড়ের উদ্ধত্য ভরা বুক , নীল আকাশ ভেদ করে সাহস যার দাঁড়াবার।
যদিও বাতাস এখনো মেঘের আশেপাশে, সবের খবর রাখে
পাহাড়ের খবর দেয়,সাবধান করে ফাঁকে
আর মেঘ,অনেক রানীর মাঝে রাজরানি সে আজ
পাহাড়ের সাথে ফুলসয্যা তার ,বাতাসের মাথায় বাজ।
তবুও বাতাস আজ মেয়েপক্ষ,নিয়ে যায় সেই দেশে
যেখানে মেঘের প্রিয় পাহাড় খাজঁকাটা দাতঁ কেলিয়ে আছে।
বিদায়ের সময়, নাছোড় বাতাস,হাতটা ধরে টানে
মেঘ বলে জানিস বাতাস তুই বড় হিংসুটে
যেখানে জন্ম প্রেমের ত্যাগেরও জন্ম হয়,
মেঘের কালোমুখ দেখে বাতাস, মেঘকে ছেড়ে দেয়।
ভেবেছিল মেঘ পাহাড় বিরাট, বিশাল তার হৃদয়
ভাবেনি কখনো পাথর বুকে কি প্রেমের জন্ম হয়?
ছুড়েঁ ফেলে মেঘকে পাহাড় ব্যবহারের পর
মেঘ হয় বৃষ্টিতে পরিনত,কান্না নির্ঝর।
আর বাতাস,সেতো আজও আগের মতই আছে,
মেঘের সব খেয়াল খুশিতে, সব দুখ লাজে।
কিন্ত যে ফাটল একবার তৈরী হয়,সে কি আর জোড়ে?
সেই কথা ভেবেই মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
বাতাসও কাদেঁ চুপিচুপি বৃষ্টিকে আড়ালে ছেড়ে
হাসায় কাদাঁয় বৃষ্টিকে আজও আগের মত করে।
কিন্তু বড় হলে সবাই নিখাদ অভিনেতা,হাসার কথায় কাদেঁ,
কাদাঁর কথায় হাসে বাতাস এখনো একলা একাকী মেঘকেই ভালোবাসে।