দুদিকেই
দুদিকেই


প্রাচীরের ওপরে উঠে বসে আছি। হাড় হিম হওয়া রাতে
বুঝে যাচ্ছি কাছে পিঠে অন্তত কেউ নেই যে আমায় টেনে নামায়
দুদিকে পা ঝুলিয়ে! ভারি মজা তো। দুদিকেই পা আমার
আগে জানতেই পারিনি এখান থেকে আকাশকে এত অবাস্তব লাগে
জ্যোতির্বিজ্ঞানের সব কাগুজে ফর্মূলা থেকে ফিনকি রক্ত
সব অবাস্তব। সব বৃষ্টির উপকথা ঠাকুমার ঝুলি থেকে বেরোন
সেই আরব্য বেড়ালের মত অবাস্তব। ভাগ্যিস দুদিকেই পা
দুদিকেই ঝুলের মত অন্ধকারে নোনা লেগে নষ্ট ধানক্ষেত
ডানদিক বা বাঁদিক – যা ইচ্ছে বলা যায়... সামনে বা পিছনে
সেই তো এক
ই জীবনযাপনের আশ্চর্য শব্দ টুপটাপ
অন্যরকমের আঁধার নদীর বুকে ঘুম ঢেলে দিলো, দুদিকেই...
দুদিকেরই পুলিশের পোশাক আমায় নামাবার চেষ্টা করবে
পরস্পরে বড় আয়তনে আলোচনা দেওয়াল মুড়বে কাঁটাতারে।
অথচ আমাকে নামাতেই যত আলস্য, যত অপদার্থতা ওদের।
মজার কথা আমাকে নামাতে দেওয়ালে কুঠারাঘাত নিষিদ্ধ।
আমি দুদিকেরই সূর্যাস্ত দেখব ভরা আকাশে। দেখব
দুদিকের মানুষজনই মন দিয়ে সকালে মুখস্ত করে শিলালিপি
দুদিকেই শুনানি। দুদিকেই বাদীপক্ষের ডিঙিনৌকা ডুবল বলে।