কাপুরুষ
কাপুরুষ


ভিক্টোরিয়ার সামনে সেদিন তোমায়
আবার দেখতে পেলাম ꠰
মেঘে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক ফালি রোদে
আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠল ꠰
হোক না বৃন্দাবনের ঝলক দর্শন –
নোংরা প্যান্টের পকেট হাতড়ে আচমকা পাওয়া
ছেঁড়া ৫ টাকার দাম কম কী?
হাসির মুখোশ পরে অতীতের দিকে পা বাড়ালাম ꠰
মাথায় চিন্তার বায়োস্কোপ শুরু হলো ꠰
কল্পনায়ে বললাম হ্যালো ꠰
তুমি নির্বাক চেয়ে থাকলে, ঠিক সেদিনের মত ꠰
হয়তো চোখে চোখে ছুঁড়ে দিলে –
হাজারো প্রশ্নের বাণ ꠰ হয়তো আজও তুমি
চোখে চোখে কথা বল ꠰
আমি শিখণ্ডী ꠰ কিন্তু তুমি ভীষ্ম নও ꠰
নপুংসককে আঘাত করতে তোমার হাত কাঁপে না ꠰
আজও তোমার প্রশ্নের সামনে মাথা নত করলাম ꠰
আমাদের দুজনের মাঝে অস্বস্তিকর নীরবতা
আবার চুপি চুপি জায়গা বানিয়ে নিল ꠰
ভালবাসার ভাঁটার টানে আরও একটু এগিয়ে গেলাম –
অতীতের দিকে ꠰ পায়ের নীচের মাটি কল্পনার স্রোতে,
আলগা হয়ে গেল ꠰
কতখানি বদলেছ তুমি, কতখানি বদলেছি আমি ?
আমায় দেখে আজ কী তোমার মনের মরশুম বদলাবে?
চোখের কোনায় নামবে দু-ফোঁটা বৃষ্টি?
শুনেছি মেয়েরা নাকি কথায় কথায় কাঁদে?
তুমি বাজে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাস করলে ꠰
আমি কিছু সস্তা উত্তর দিলাম ꠰
তুমি না শুনেই পরের প্রশ্নে চলে গেলে ꠰
বৃষ্টির কয়ক ফোটা লজ্জায় মাটিতে মুখ লুকালো ꠰
ফোন থাকা সত্ত্বেও নম্বর বিনিময় হল না ꠰
হাত ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময় থেমে আছে ꠰
এই বোধহয় সেই মুহুর্ত যখন ভায়লিন বেজে উঠে ꠰
ছোট্ট তো এক ফালি কথা ꠰
বলে ফেলি? কী হবে বললে?
রেগে যাবে? চলে যাবে?
চলে তো ১৫ বছর আগেই গেছো ꠰
পেটের ভেতর আবার ভীরু প্রজাপতি দোল খেলো ꠰
সেদিন প্রেম চাইতে পারিনি –
আজ ক্ষমা চাইতে পারলাম না ꠰
ঘড়ির কাঁটা ল্যাংরা পায়ে গড়িয়ে চলল ꠰
তুমি কিছু না বুঝেই আবার ১৬ নম্বর বাসে উঠে গেলে ꠰
পেছনে উড়ে চলল শুকনো পাতার সঙ্গে আমার বাসী ভালোবাসা ꠰
গালে আঁটকে রইলো শুধু ১৫ বছর পুরনো
তোমার দেওয়া এক ফোঁটা চুমু ꠰