চাতুরি
চাতুরি
প্রতিবাদ করবার ভাষা হওয়া চাই সোচ্চার,
গায়ে থাকা চাই যথেষ্ট পরিমাণে জোর।
তা না হলে, ধীরে সুস্হে মিনমিন করলে,
অন্যায়কারীর সাহস ধীরে ধীরে যায় আরও বেড়ে,
হয়ে ওঠে তারা আরও অনেক বেশী নিষ্ঠুর।
দুর্বল এর ওপর সবলের অত্যাচার প্রকৃতির নিয়ম,
পশুরা নিধন করে খাবারের তরে, মানুষের চেয়ে কম।
আসলে মান আর হুশ থাকলে সহ্য করা কঠিন,
সাহিত্যেও তো অশ্লীলতা বাড়ছে দিন কে দিন।
পেয়েছে যে অধিকার, যে যা খুশি ছাপার,
কে আর দেখার আছে, কোথাও কি আছে সেন্সর?
কখনও কখনও ব্র্যাকেটে প্রাপ্ত মনস্ক লেখা থাকে,
ওখানেই সব দায় শেষ, কে আর এসব খেয়াল রাখে।
জনপ্রিয় হবার লোভ এক্ষেত্রে বোধহয় কাজ কর
ে,
বুঝিনা, ভালো কিছু লিখতে কে ওদের বারন করে!
ভেবে দেখতে গেলে, আর একটা কথাও খুব সত্যি,
যারা এরকম লেখে, দোষ শুধুমাত্র তাদের তো নয়।
যারা পড়ে ও উৎসাহ দেয়, বিচারের কাঠগড়ায়, তাদের কি আর কেউ সাহস করে দাঁড় করায়?
সাহিত্যের উন্নতি অবনতির কথা আছে কি মাথায়!
কোনো কিছু না ভেবে চিন্তে নিজেদের ভুমিকায়,
ভালো মানুষের অভিনয় করে যায়।
পরবর্তী প্রজন্ম গোল্লায় যাচ্ছে বলে বলে,
অযথা চিৎকার করে নিজেদের গলা ফাটায়।
সব শেয়ালের এক রা, কথাটা শুনেছি ছোটোবেলায়,
চোখের সামনে দেখি হামেশাই ______
চাতুরিতে মানুষ শেয়াল কে হার মানায়।