শরীর সম্ভোগ ( পর্ব ২ )

    

ফেব্রুয়ারি মাস যদিও শীতকাল তবুও ২২শে ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত্রে হঠাৎ খুব বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি শুরু হয় । প্রথমেই বলে রাখি বাজ পড়ার শব্দে মিনি ভীষণ ভয় পেতো । খুব ঘন ঘন বাজ পড়ায় মিনির মা বললো, " মিনি আমি বরং আজকে তোর সাথেই শুয়ে পড়ি, যা বৃষ্টি হচ্ছে এই অসময়ে। " মিনি বললো, " না মা , ঠিক আছে আমি ভয় পাবোনা। তুমি গিয়ে শুয়ে পড়ো । "

মিনির মা শুতে চলে গেলে মিনির শুতে চলে গেল । মনে মনে ভাবলো, " ইস্! কালকে রবিবার, রাজের সাথে দেখা হবে না । একটা কাজ করবো, কাল সকালে রাজধানীর আর খুশিকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে নেব । তারপর চুটিয়ে আড্ডা দেবো । " এই ভেবে মিনি শুয়ে পড়লো । " বৃষ্টিটা মনে হচ্ছে আরও বেড়েছে, উফ্ খুব ঠান্ডা লাগছে " এই বলে ভালো করে কম্বলটা গায়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো । অনেক রাতে হঠাৎ মিনির শরীরে একটা অদ্ভুত অস্বস্তি বোধ হতে লাগলো । মিনির মনে হোলো কেউ যেন গায়ের কম্বলটা টেনে সরিয়ে নিচ্ছে । তারপরই অনুভব করলো সারা শরীরে কেউ হাত বুলাচ্ছে , চুম্বন করছে । মিনি চীৎকার করার চেষ্টা করলে অদৃশ্য কে যেন মুখটা চেপে ধরে । পরক্ষণেই স্তনে ও যৌনাঙ্গে অসহ্য যন্ত্রনা অনুভূত হয় । এতো ঠান্ডাতেও দরদর করে ঘামতে থাকে মিনি । অদৃশ্যের হাত মুখ থেকে সরতেই প্রচন্ড আতঙ্কে মিনি চীন করতে থাকে । চীৎকার শুনে মিনির মা - বাবা ছুটে আসে । মিনি তখন " মা, মা " বলে কাঁদতে থাকে । মিনির মা ঘরের আলো জ্বালিয়ে মিনিকে দেখে শিউরে ওঠে। মিনির সারা শরীরে ক্ষত, ঠোঁটের কোণায় রক্ত । মিনির মা তখন কিছু বুঝতে পারছিল না কি হয়েছে । মিনির বাবাকে ঘর যেতে বলে তিনি মিনির জামা সরিয়ে দেখে স্তনের চারপাশে , উরুর ভাঁজে নীলচে দাগ, যৌনাঙ্গও রক্তাক্ত । খুব ভয় পেয়ে যায় মিনি ও মিনির মা । কীভাবে এইসব হোলো কিছুই বুঝতে পারে না । জামা ছাড়িয়ে, ক্ষতে ওষুধ লাগিয়ে অনেক কষ্টে মিনিকে ঘুম পাড়িয়ে মিনির মা মিনির পাশেই বসে রইলো বাকি রাতটা । পরের দিন কাউকে কিছু জানাতে পারে নি । বুঝতেই পারছিলো না স্বপ্নের মধ্যে অদৃশ্য করো দ্বারা ধর্ষণ কি করে সম্ভব ? কাকে জানাবে ? কেউ কি বিশ্বাস করবে ? সমাজ ও লোকলজ্জার ভয়ে মিনি ও মিনির মা- বাবা চুপ করে থাকে । 

খুব সুন্দরী মিনি আস্তে আস্তে খুব নিস্তেজ হতে থাকে । ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় মিনির সাথে একাধিক বার সম্ভোগ করা হয়েছে । চিকিৎসা শুরু হয় মিনির । খানিকটা বাধ্য হয়েই মিনি ও মিনির মা খুশি ও রাজকে সমস্ত ঘটনা জানায় । 

রাজ ও মিনির মা মিনিকে একজন নামকরা Psychiatrist এর কাছে নিয়ে যায় । মিনির সাথে কথা বলে ডাক্তার বলেন, " It's a case of multiple disorder অর্থাৎ একই দেহে অন্য কোনো স্বত্ত্বা জেগে ওঠা । মিনির মনে নিজের পছন্দের কোনো কাল্পনিক চরিত্রু ওরীচ্ছ্রমধ্যেই জেগে ওঠে । মিনির মা খুব ঘাবড়ে গিয়ে ডাক্তারকে বলে, " কিন্তু ডাক্তার নিজে নিজের সাথে সম্ভোগে লিপ্ত হচ্ছে ? এটা করে সম্ভব ?? ডাক্তার নিজেই এটা বুঝতে পারছিলেন না । তিনি সবসময় মিনির সাথে কাউকে থাকার পরামর্শ এবং ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দিলেন । সেদিন থেকে মিনির মা মিনির সাথেই রাতে থাকতো । সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মিনি অনেক সুস্থ হয়ে ওঠে । রাতে আর কোনো বিপদ না ঘটতে দেখে মিনি ও সবাই ভাবলো সব ঠিক হয়ে গেছে । একদিন মিনি মাকে বললো, " মা এখনতো সব ঠিকই আছে, আজকে থেকে তোমাকে আর আমার সাথে শুতে হবে না । " মিনির মা বললো, " ঠিক আছে, কোনো অসুবিধা হলে আমাকে ডাকিস " এই বলে শুতে চলে যায় ।যাইহোক সেদিন রাতে মিনি একাই শুয়ে ছিল কিন্তু কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে নি । মিনিরা সবাই অনেকটা আশ্বস্ত হোলো । 

ঠিক দুদিন পর থেকেই আবার মিনির ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হয় এবং তা আগের থেকেও ভয়ংকর । আবার মিনির আর্তনাদ শুনে মিনির মা - বাবা ছুটে যায় । মিনির মা দরজা খুলে দেখে মিনি প্রচন্ড রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে মাটিতে পড়ে আছে । সাথে সাথে মিনির মা রাজকে ফোন করে । রাত ২:৩০ নাগাদ মিনির মায়ের ফোন পেয়ে রাজ ভয় পেয়ে যায় । যথারীতি রাজ ও রাজের মা বাবা ছুটে আসে মিনির বাড়িতে । তখনো মিনির যৌনাঙ্গ থেকে বয়ে যাচ্ছে রক্তস্রোত । সারা শরীরে অজস্র আঁচড় ও কামড়ের চিন্হ । সবাই মিলে তাড়াতাড়ি মিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করে । ডাক্তার যা বললেন

  ক্রমশঃ প্রকাশ্য