STORYMIRROR

Sharmistha Mukherjee

Horror Tragedy Crime

3  

Sharmistha Mukherjee

Horror Tragedy Crime

শরীর সম্ভোগ 🔸অন্তিম পর্ব

শরীর সম্ভোগ 🔸অন্তিম পর্ব

3 mins
261

 


Registry Marriage - এর ঠিক ছয়দিন আগে ৩১ শে মার্চ রাতে রোজকার মতোই মিনি ঘুমিয়ে পড়ে । কিন্তু আবার সেই অনুভূতি । মার্চ মাসে যেহেতু একটু গরম পড়ে গেছে তাই আর চাদর গায়ে দেয় নি । মিনি হঠাৎ বুঝতে পারে আবার শরীরে সেই অদৃশ্যের হাত পড়েছে , আবার সারা শরীরে চুম্বন । মিনির মুখটা চেপে ধরে রাখার জন্য মিনি চীৎকার করতে পারছে না । মিনির শরীর থেকে ধীরে ধীরে জামাটা সরিয়ে দিয়েছে, তারপরই সারা শরীর জুড়ে অসহ্য যন্ত্রনা । যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে মিনি কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারছে না । মুখের চাপা হাত সরতেই মিনির আবার সেই করুন আর্তনাদ । মিনির বাবা - মা ছুটে আসে । মিনিকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখেই মিনির বাবা ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এবং রাজকে ফোন করে । মিনির মা দ্যাখে আবার মিনির শরীর আঁচড়ে - কামড়ে ক্ষতবিক্ষত , ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে , রক্তাক্ত যৌনাঙ্গ । মিনি অবশ্য তখন অচৈতন্য । মিনির মা মিনির চোখে -মুখে জলের ছিটা দিতেই জ্ঞান ফিরে আসে, কিন্তু অসহনীয় যন্ত্রনায় মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে । রাজ ও রাজের বাবা - মা চলে আসে মিনির বাড়িতে । এবার ডাক্তারকে বাড়িতেই ডেকে শুরু হয় মিনির চিকিৎসা । রাজ আবার Paranormal investigator Mr. Jones - কে ফোন করে সব জানায় । পরদিন সকালেই Mr. Jones, Mrs. Jones ও আরো কয়েকজন আসে মিনির বাড়িতে । শুরু হয় নানা রকম ভৌতিক পরীক্ষা- নিরীক্ষা । এবার মিনির ঘরে পা 

রাখতেই Mr. Jones অশরীরি উপস্থিতি অনুভব করেন যা শুদ্ধিকরণের দিন অনুভূত হয় নি । তিনি বুঝতে পারেন একটি নয় দুইটি evil spirit আছে ঠিক মিনির বিছানার 

পাশেই । তারপর তিনি ও তার সহকারীরা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শুরু করেন এবং অশরীরীদের সামনে আসতে আহ্বান 

জানান । প্রায় তিন ঘণ্টার ক্রমাগত প্রচেষ্টায় রাত ঠিক ১ : ৫০ মি নাগাদ দুটি আত্মা উপস্থিত হয় । একজন ছিল রুদ্র মানে সেই তৃতীয় বর্ষের ছেলেটি । আর অপরজন যিনি ছিলেন সেটা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারে নি । আপনাদের সেই SM স্যারের কথা মনে আছে ?? হ্যাঁ অপরজন সেই SM স্যার । কি ভাবছেন তো যে রুদ্র বা SM স্যার, তাও আবার দূরাত্মা ? How is it possible ? হ্যাঁ তাহলে বলি


রুদ্র মিনির কলেজের সেই তৃতীয় বর্ষের ছেলেটি যার বিশ্রী একটা দৃষ্টি সবসময় দিতা ( মিনি ) র উপর ছিল । কলেজে মিনি ও মিনির বন্ধুরা অপমান করার পর সেদিন রাতে প্রচন্ড মদ্যপান করে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে রুদ্র মারা যায় । সেদিন রুদ্রের সাথে বাইকে ছিল সেই SM স্যার । তিনিও মারা যান ঘটনাস্থলেই । কি খুব অবাক হচ্ছেন তো ? SM স্যার রুদ্রের বাইকে কেন ? আসলে SM স্যার ছিল রুদ্রের আপন কাকা যেটা কলেজের কেউ জানতো না । সেই কলেজে ভর্তি হওয়া থেকেই এই কাকা - ভাইপোর নজর ছিল মিনির উপর । এদের দুজনের মধ্যে চুক্তি ছিল রুদ্র মিনিকে প্রেমের জালে ফাঁসাবে আর দুজনে মিলে মিনির শরীরটাকে উপভোগ করবে । জীবিতকালের সেই অপূর্ণ নোংরা মানসিকতা তারা মৃত্যুর পর চরিতার্থ করেছে । সেদিন রাতে অনেক পূজার্চনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করেও কেউ মিনিকে রক্ষা করতে পারেনি । সবার চোখের সামনে ঐ দুই দূরাত্মা খুব নৃশংসভাবে মিনিকে ভোগ করে হত্যা করে । সবাই পাথরের মতো দাঁড়িয়ে সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাক্ষী হয়ে থাকে ।


জানেন সব থেকে কষ্টের বলুন বা বলুন ভালোবাসার জোর , সবার চোখের সামনে সেদিন একটা নয় দুটি মৃত্যু ঘটেছিল । হ্যাঁ আমি দেবরাজ ( রাজ ) - এর কথা বলছি । মিনির মৃত্যুর পর রাজও সেদিন আত্মহত্যা করে নিজের ভালোবাসাকে জিতিয়ে দিয়েছিল । মরার আগে রাজ বলেছিল, " আমাকে সবাই ক্ষমা করে দিও, আমার মিনিকে আমি একা ছেড়ে দিতে পারবো না । "



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror