নন্দা মুখার্জী

Abstract

3  

নন্দা মুখার্জী

Abstract

সব হারিয়েও কিছু পাওয়া

সব হারিয়েও কিছু পাওয়া

8 mins
473



মাত্র কয়েকদিনের আলাপেই কবিতা ভালোবেসে ফেলে অভিষেককে | কিন্তু কিছুতেই একথা অভিষেককে বলতে পারেনা | কবিতা জানে অভিষেকের উপরেই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব | মা ,একদিদি ও একবোন | বাবা মারা গেছেন অনেকদিন আগেই | চাকরী সে ভালোই করে | কবিতার মনেহয় অভিষেকও তার প্রতি দুর্বল | কিন্তু সেও কবিতাকে কখনোই ধরা দেয়না |  কবিতার মা ,বাবা আর সে | নুতন ভাড়া এসেছে অভিষেকদের বাড়ির কাছেই | অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই দুটি পরিবারের মধ্যেই বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে কবিতা মনে মনে অভিষেককে নিয়ে স্বপ্নের বীজ বুনতে লাগে | হয়তবা অভিষেকও | কিন্তু কর্তব্যের পাহাড় মাথায় চেঁপে থাকায় তার দিক থেকে কোনো সারা কবিতা পায় না | কিন্তু সেও ধর্য্য ধরে অপেক্ষাতেই থাকে |  বেশ চলছিল দিনগুলি | কিন্তু সব কিছুই যেন গোলমাল পাকিয়ে যায় 1971 সালের 25শে মার্চ অধিক রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী হন |


দেশের এই চরম বিপর্যয়ের দিনে অসংখ্য মানুষের সাথে কবিতারও পশ্চিমবঙ্গে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে | হঠাৎ করেই ঝড়ের মতো মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে জীবনের সব ওলোটপালোট হয়ে যায় |বহু আত্মীয়স্বজনের মত অভিষেকরাও জীবন থেকে হারিয়ে যায় | শুধু রেখে যায় টুকরো টুকরো কিছু স্মৃতি | পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে কিছুদিন খোলা আকাশের নীচে ,কিছুদিন শরনার্থী শিবিরে থাকতে থাকতে কবিতার বাবা রেললাইনের পাথর সরানোর কাজে নিযুক্ত হন সামান্য রোজের বিনিময়ে |


যিনি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজ পেটের দায়ে তিনি হলেন দিনমজুর | বাংলায় এম.এ. করা কবিতাও বসে থাকে না | সে ছোটছোট ছেলেমেয়েদের সামান্য টাকার বিনিময়ে পড়াতে শুরু করে | আস্তে আস্তে তারা বস্তির একটি ঘর ভাড়া করে উঠেও আসে |ভারত সরকার এবং ব্রিটিশ সরকার বেতারযোগে পাকবাহিনীর প্রায় তিনলক্ষ নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যার কথা বিশ্ববাসীকে অবহিত করেন | ভারতীয় ও বাংলার মুক্তিফৌজের মিলিত আক্রমনে পাকিস্তানীফৌজ দিশেহারা হয়ে পরে বিনাশর্তে দীর্ঘ ন'মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় | রেডিও ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে কবিতা প্রতিনিয়ত খবরাখবর রাখতো | প্রতিটা শরণার্থী শিবির ঘুরে ঘুরে অভিস্রক ও তার পরিবারের লোকজনকে খুঁজে বেড়িয়েছে ; কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই সে বিফল হয়েছে |  আবার শুরু হয় দেশে ফিরে যাওয়ার তোড়জোড় |নিজের মাতৃভূমিতে ফেরার আনন্দ ,একবুক ভালোবাসা হয়তোবা তারও বেশি আশঙ্খা নিয়ে বাবা ,মায়ের সাথে কবিতা তার দেশের মাটিতে পা রাখে |


ফিরে আসে নিজেদের বাড়ি খুলনা জেলার পিলজঙ্গ গ্রামে | যেখানে শুধু ভিটেটাই আছে ! বাড়িঘর পুড়িয়ে ,জ্বালিয়ে তছনচ করে দিয়েছে | পাশের বাড়ির ফজলু সাহেব সাদরে তাদের আপ্যায়ন করে নিজের বাড়িতেই থাকতে বলেন ;যতদিন না পর্যন্ত নিজেদের ভিটায় তাদের মাথার উপর চাল হচ্ছে | শুরু হয় কবিতার বাবা ,মায়ের নুতন করে সংসার গোছানোর পালা |  পনের ,কুড়ি দিনের মধ্যেই তারা হোগলার ছাউনি দিয়ে ,কাঁচা বাঁশের বেড়া করে পোড়ো ভিটার উপর একখানা ঘর তুলে চলে আসেন | কিন্তু খাবেন কি ? টাকা ,পয়সা হাতে নেই - বাগানের কলা ,সুপারী বা নারকেল বিক্রি করে কটা টাকায় বা হাতে পান !আর পেলেই বা কি ?


যুদ্ধ বিধস্ত্ব বাংলাদেশে তখন খাবারের বড়ই আকাল | দিশেহারা হয়ে পড়েন কবিতার মা ,বাবা | কবিতাই বাবাকে বলে ," শহরে যেয়ে থাকতে পারলে অন্তঃত কিছু রোজগার করার চেষ্টা করা যেত | অনিমেশবাবু অথ্যাৎ কবিতার বাবা বেশ কয়েক বিঘা ধানীজমি ফজলু সাহেবের কাছে বিক্রি করে দেন | চলে আসেন তারা সাতক্ষীরা শহরে | আগে যেখানে থাকতেন ঠিক তার কাছাকাছি |  একটু একটু করে বঙ্গবন্ধু তখন তার সোনার বাংলাকে সাজাতে শুরু করেছেন | পথে-ঘাঁটে তখন অসংখ্য নারী ,পুরুষ ও শিশু | অন্ন ও বস্ত্রের জন্য সর্বত্র হাহাকার ! ভাতের ফ্যানটুকুও তখন অমিল | নানান জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে কবিতা একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় নাম লেখায় | রোজগার বলতে দুএকটি টিউশনি ,সারাদিন স্বেসচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে এখানে ওখানে সরকারি সাহায্য বিতরণ করা | সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে টিউশনিতে যাওয়া |


নিজের খাওয়া বলতে সকালে মায়ের হাতের আলুসেদ্ধ ,ভাত আর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার থেকে পাউরুটি ,কলা বা হাতে গড়া রুটি | কোনোদিন খেয়েছে বা কোনোদিন বাড়িতে এনে বাবা ,মায়ের সাথে সামান্য টিফিন করেছে | এইভাবে চলতে চলতে অনিমেশবাবু শিক্ষক হিসাবে পুনঃবহাল হন | মাসের শেষে হাতে সামান্য কিছু পেলেও ডালভাত ,নুনভাতের কোনো অভাব হচ্ছিলোনা | কবিতাও আস্তে আস্তে বেশ কয়েকটা টিউশনি পেয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যায় বাড়িতেই কোচিং সেন্টারের মত করে নেয় | এরই মাঝে সে অভিষেকদের খোঁজা কিন্তু বন্ধ করেনা | অনেক খুঁজেও তাদের সন্ধান সে পায়না |   যুদ্ধের সময় নারীদের প্রতি শারীরিক লাঞ্ছনার ফলে অনেক নারীই মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন | জাতির জনক দেশের অনেক জায়গাতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন |


এমনই একটি জায়গায় কবিতা যেয়ে আবিষ্কার করে অভিষেকের ছোটবোন অর্চনাকে | উসকো ,খুসকো চুল ,পরনে মলিন পোশাক | কবিতার পায়ের তলা থেকে মাটি যেন সরে যেতে থাকে | এ কাকে দেখছে সে ! অভিষেকদের বাড়ির সকলের আদরের অর্চনা ? একি সেই অর্চনা ? যার সামান্য অভিমানেই বাড়ির সকলে মিলে তার অভিমান ভাজ্ঞাতে ব্যস্ত হয়ে পড়তো ; হা ঈশ্বর ! কি অপরাধে নিষ্পাপ মানুষগুলির এই শোচনীয় পরিণতি ? অর্চনার কাছে এগিয়ে যেয়ে তার কাঁধে হাত রাখে কবিতা | ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে অর্চনা তাকায় কবিতার দিকে | কবিতা বলে ,"আমায় চিনতে পারছো ?" কিন্তু কোনো উত্তর সে পায়না |দেখে শুধু অর্চনার দুচোখের কোল বেয়ে জল পরে যাচ্ছে | সেখানকার চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে অর্চনা জানতে পারে , প্রচন্ড মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনে ওর বাকশক্তি হারিয়ে গেছে | একবার নয় ,দিনের পর দিন ওর উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে | যদি কখনো কোনো প্রিয়জন বা পরিচিত স্থান - যা ওকে খুব আনন্দ দেবে, হয়তো তখনই ও আবার আগের মতই কথা বলতে পারবে |  বাড়িতে এসে মা ,বাবার সাথে কথা বলে নিজের দায়িত্বে সে অর্চনাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে | কখনো বা কবিতা অর্চনাকে নিয়ে তাদের পুরানো বাসস্থান অথ্যাৎ আগে যেখানে ওরা থাকতো সেখানেও নিয়ে যায় | কিন্তু অবস্থার কোনোই পরিবর্তন হয়না | তবে আগে যেমন কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধুই চোখের কোল বেয়ে জল পড়তো ,এখন সে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ না উত্তর করে |  এইভাবেই বেশ কয়েকটা মাস কেটে যায় | হঠাৎ একদিন সংবাদপত্রের মাধ্যমে কবিতা জানতে পারে বঙ্গবন্ধু খুলনার বাগেরহাট শহরে আসছেন | সেখানে তিনি ডাকবাংলোয় উঠবেন | তারপর তিনি নানান ত্রান শিবিরে যাবেন | কিন্তু জাতীর জনকের পাশে এ কার ছবি ? এ- তো অভিষেক ! সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া | হ্যাঁ ঠিকই | এটা অভিষেকই | এতদিন পরে অভিষেককে দেখতে পেয়ে আনন্দে তার চোখে জলে ভর্তি হয়ে গেলো |


নিজেকে সামলে মা ,বাবার অনুমতি নিয়ে নিদৃষ্ট দিনে সে অর্চনাকে সাথে নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে বাগেরহাট এসে পৌঁছায় | যথাসময়ে জাতির জনক হেলিকপ্টার করে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে নেমে  সতর্ক প্রহরার মাধ্যমে ডাকবাংলোর গাড়িতে করে নিদৃষ্ট জায়গায় পৌঁছান | সামনে ,পিছনে প্রায় আট ,দশটা গাড়ির সারি | এক একজন করে গাড়ি থেকে নামছেন আর কবিতা তীর্থের কাকের মত তাদের দিকে তাকিয়ে দেখছে | গাড়ির থেকে যারা নামছেন তাদের অধিকাংশ সামরিক বাহিনীর পোশাক পড়া , মাথায় টুপি বঙ্গবন্ধু গাড়ি থেকে নেমেই জনতার উদেশ্যে হাত উঁচু করে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান | স্বচক্ষে জাতির জনককে দেখতে পেয়ে কবিতা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় | কিছুটা অন্যমনস্কও হয়ে পরে | সম্বিৎ ফিরে আসতেই সে দেখে অর্চনা ভিড়ের দিকে ছুটছে | কিছু না বুঝেই কবিতাও তার পিছনে "দাড়াও অর্চনা ,দাড়াও -" বলে ছুটতে থাকে | ধাক্কাধাক্কি ,ধস্তাধস্তি করে ভিড়ের মধ্য দিয়ে ঢুকে অর্চনা এক আর্মিকে জড়িয়ে ধরে প্রচন্ড কাঁদতে থাকে ঘটনার আকসিকতাই সেনাবাহিনীরঅফিসারও কিছুটা হক্চকিয়ে যান | কবিতাও তখন অনেকটা কাছে এগিয়ে এসেছে | মুখ থেকে তার কথা বেরিয়ে যায় ,"অভিষেক"- কবিতা দাঁড়িয়ে পরে | ভিড়ের ভিতর থেকে অভিষেক অর্চনাকে নিয়ে অপেক্ষাকৃত একটু ফাঁকা জায়গায় এনে মুখটা তুলে দেখে তার আদরের ছোট বোন | আবার সেও অর্চনাকে জড়িয়ে  ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকে |


কবিতা বোন আর দাদার এই মিলন দৃশ্য দেখে সমানে আঁচল দিয়ে চোখ মুছে যায় | কবিতা অবাক হয় অর্চনাকে তার দাদার সাথে কথা বলতে দেখে | তারমানে অর্চনা সুস্থ্য হয়ে গেছে | খুব খুশি হয় সে | কিছুপরে অভিষেকের চোখ পরে কবিতার দিকে | কবিতাকে দেখে অভিষেক পকেট থেকে একটা কাগজের টুকরো বের করে দিয়ে শুধু একটা কথায় বলে ,"এই কাগজে ঠিকানাটা লিখে দিয়ে ওকে নিয়ে বাড়ি যাও |এখন ডিউটিতে আছি | আমি বাড়ি যেয়ে সব বলবো এবং শুনবো |" কবিতা অবাক হয় কি অবলীলায় অভিষেক তাকে 'তুমি'- বলে সম্মোধন করলো | সে ঠিকানাটা লিখে দিয়ে অর্চনাকে নিয়ে সাতক্ষীরা ফেরার জন্য বিকালের ট্রেন ধরে | অর্চনা এবার কবিতাকে চিনতে পারে | অনেক কথা বলতে বলতে দু'জনে সাতক্ষীরার ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসে |  সেদিন আর অভিষেক আসার সময় পায়না | পরদিন খুব ভোরে অভিষেক এসে হাজির হয় | অভিষেকের কাছ থেকেই কবিতার শোনে ফেলে আসা জীবনের সকরুণ কাহিনী | জাতীর জনকের আহ্ববানে সারা দিয়ে দেশের মুক্তিবাহিনীর খাতায় সে নাম লিখিয়ে ছিলো | গ্রামে ,গ্রামে তখনও পর্যন্ত শহরের মত অত অত্যাচার শুরু হয়নি | তাই সে মা ও বোন ও দিদিকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছিলো | হঠাৎ করে সে জানতে পারে রাজাকারেরা তাদের বাড়িতে ঢুকে তাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে জ্বালিয়ে তার মাকে সেই ঘরে বন্ধ করে জীবন্ত দগ্ধ করেছেখবর পেয়ে সে যখন গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়, তখন মার হাড়-কঙ্কাল আর দিদির উপর নৃশংস্ব অত্যাচারের পরে তার বুকে ছুড়ি বসিয়ে খুন করে গেছিলো 


 ;যা কুকুর ,শকুন ,চিল মিলে দিদির দেহটাকে ছিড়ে খেয়েছে সেই বীভৎস দৃশ্য দেখে | মৃত্যুর পরেও দিদি রেহায় পায়নি ! ওই খন্ড ,বিখন্ড দেহ নিয়ে নিজের হাতে মাটি চাপা দিই | অভিষেক ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে | শান্তনা দেবার ভাষা কারও মুখে নেই | সবাই চুপ | শুধু দুই ভাইবোন একে অপরকে জড়িয়ে এতদিনের জমানো কান্না কেঁদে চলেছে | এইভাবে কিছুক্ষন চলার পর অভিষেক নিজেকে সামলে অর্চনার মুখটা ধরে কপালে চুমু করে বলে ,"অনেক খুঁজেছি ,কিন্তু কোথাও পাইনি | দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও কর্তব্যের খাতিরে যেখানেই গেছি ,শরণার্থী শিবিরগুলি কোনোটাই বাদ দেইনি | তবে বিশ্বাস ছিলো যদি ও বেঁচে থাকে তাহলে একদিন অবশ্যই ওকে খুঁজে পাবো | হঠাৎ করেই তোমাদের সাথে আলাপ ,হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলে | মন বলতো তোমার সাথে ,মাসিমা ,মেসোমশায়ের সাথে দেখা হবেই | ভাবতে পারো কবিতা বিদেশী শক্তি আমাদের মাতৃভূমিকে আক্রমন করেছে ,নিরীহ মানুষগুলির প্রাণ নিয়েছে ,অত্যাচার করেছে ; আর তাদের মদত দিতে দেশীয় কিছু মানুষ রাজাকার নাম নিয়ে নিজের দেশের মানুষদের প্রতিই অত্যাচার করে গেছে | ঈশ্বর এদের কোনোদিন ক্ষমা করবেন না ; এদের পাপের শাস্তি দেবেনই | জীবনে অনেককিছু হারিয়ে সামান্য যা ফিরে পেয়েছি ,তা আর আমি হারাতে চায়না |


" "কিন্তু দাদা,আমি তো ---|" কবিতা অর্চনার মুখটা চেঁপে ধরে | একই সঙ্গে অভিষেকও বোনের মুখটা চেঁপে ধরে | হাতটা কবিতার হাতের উপরেই পরে | অভিষেক হাতটা সরিয়ে নেয় | কবিতা অর্চনাকে বুকের সাথে চেঁপে ধরে বলে ," তোমার একটাই পরিচয় ,তুমি আমাদের বোন | পুরানো কথা সব ভুলে যাও | নূতনভাবে বাঁচতে হবে এখন |" অভিষেক বোনকে হাত ধরে কাছে টেনে নিয়ে বলে ,"কবিতা ঠিক বলেছে | পুরান কথা সব ভুলে যা বোন | সব হারিয়েও তোদের ফিরে পেয়ে আজ আবার দু'হাত উপরে তুলে ঈশ্বরকে ডাকতে ইচ্ছা কোরছে | তারপ্রতি সমস্ত বিশ্বাস চলে গেছিলো | আমরা আবার বাঁচবো ,বুক ভোরে নিঃস্বাস নেবো | অনেককিছু হারিয়েও যেটুকু ফিরে পেয়েছি তাইদিয়ে নিজেদের স্বপগুলিকে পূরণ করে নেবো |



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract