রূপকথা
রূপকথা


রূপ কথার দেশে বিচরণ করতে প্রত্যেক মানুষেরই কমবেশি ভালো লাগে। বাস্তব জীবনে আমরা যা পাই না, তা রূপকথার মধ্যে খুঁজে পাই। বাস্তব জীবনের মতো রূপকথার দেশে দুঃখ নেই, নেই কোনো কষ্ট, আছে শুধু আনন্দ আর খুশি। ছোটবেলায় আমরা প্রত্যেকেই ঠাকুরমা, ঠাকুরদার কাছ থেকে বিভিন্ন রূপকথার গল্প শুনে নিজেদের কল্পনাপ্রবণ মনকে আরো কৌতূহলী করে তুলতাম। মনে পড়ে সেই রূপকথার দেশে পক্ষীরাজের ঘোড়াটিকে, যে সারাক্ষণই মনের আনন্দে উড়ে বেড়াত। ছোটো ছিলাম ভাবতাম আমারও যদি ওরকম দুটি পাখা থাকতো তাহলে আমিও উড়ে বেড়াতে পারতাম। রূপকথাগুলি কি বিচিত্র হয়। রূপকথার মধ্যে দিয়ে আমাদের অপূর্ণতাকে আমরা পূর্ণতা দিই। মনের ভিতর সেইসব অপূর্ণ ইচ্ছা গুলোকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে আমাদের অজান্তেই রূপকথার একটি দেশ গড়ে তুলি। যখনই মন চায় সেই দেশে গিয়ে নিজেরা সুখ আহরণ করি। আমরা বাস্তবে যাদের দেখি, রূপকথায় সেই সব চরিত্রই আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। একটি ছোটো মেয়ে তার ঠাকুমার কাছে রূপকথার গল্প শুনতে শুনতে বলে ওঠে,"পরীকে ডাকলে আমার কাছে আসবে ঠাকুমা?" শুনে ঠাকুরমা মুচকি হেসে বলে উঠলেন,"অবশ্যই আসবে। ভালো মেয়ে হয়ে থাকবে তাহলেই আসবে।" রূপকথার দেশ, রূপকথার গল্প মানুষের মধ্যে কল্পনা প্রবণতাকে আরও বৃদ্ধি করে। যা আমাদের গল্প পড়তে এবং লিখতে অনুপ্রেরণা যোগায়। কিন্তু এই উত্তর আধুনিক যুগে আমরা এতটাই যন্ত্রনির্ভর মানুষ হয়ে পড়ছি যার দরুন রুপ কথা শোনার মতো সময় আমাদের হাতে নেই আর সেই মনও কোথায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস আমাদের মতো যারা গল্প প্রেমী তারাই এই রূপকথাকে বাঁচিয়ে রাখবেন।