ইচ্ছাশক্তি
ইচ্ছাশক্তি
ঘরভর্তি ধোঁয়া। তিন চারজন যুবক। হঠাৎ একজনের প্রচন্ড কাশি শুরু হল। বাকি তিনজন একটু ঘাবড়ে যায়। সেই যুবকটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। তারা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেল। ডাক্তার বললেন,"ফুসফুস পুরো ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। বাঁচার সম্ভাবনা একদম নেই।" শুনে তিন-চারজন বন্ধু কান্নায় ভেঙে পড়ে। তখন তারাও বুঝতে পারে সিগারেটের জন্য এটা হয়েছে। তাদের প্রিয় বন্ধুটির অকালমৃত্যু ঘটে। ঋতম সৃজনদের বলে,"চল আমরা ছেড়ে দিই সিগারেট খাওয়া।" শুনে পল্টু বলে,"ধুস! বললেই ছাড়া যায় নাকি? আর আমাদের কিছু হবে না।" ঋতম বলে,"অবশ্যই ছাড়া যায়। আমি ছেড়ে দেখাবো এক মাসের মধ
্যে।" তখন সবাই বলে ওঠে,"ওরকম বড় বড় কথা বলা যায়। কাজে করা যায় না।" ঋতম চলে গেল বাড়িতে। ঠিক একমাস পরে সে এসে বলল,"আমি ছেড়ে দিয়েছি সিগারেট।" মন্টু বলল,"ওই দেখ কি বলছে এসে।" সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। সৃজন বলল,"প্রমাণ কি?" "আমি প্রতিদিন আসবো কিন্তু সিগারেট খাবো না। তোরা নিজের চোখে দেখে নিবি।"- বলল ঋতম। সে সেইমতো প্রতিদিন আসতে লাগল। এরকম দশটা দিন হয়ে গেল কিন্তু ঋতম সিগারেট খায় না। এবার সবাই সত্যিই অবাক হয়ে গেল। তখন ওরা জিজ্ঞেস করল,"কিরে অসম্ভবকে সম্ভব করলি কি করে?" শুনে ঋতম বলল,"মানুষের কাছে অসম্ভব বলে কিছু হয়না। শুধু চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি।"