রিলেশনশিপ
রিলেশনশিপ


“ভাই বুঝলি তো ভাই, আজ থেকে তোর এই ভাইয়ের ব্যাচেলর নাম ঘুচল। ফাইনালি ইন আ রিলেশনশিপ।“
রহিত সহর্ষে বলল আমাকে।
“বলিস কী রে? কিন্তু কবে, কীভাবে...”
“বলছি তোকে সবটা। হয়েছিল কি জানিস, আমি কয়েকদিন আগেই একটা ঘ্যাম দেখতে মেয়েকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। দু একদিনের মধ্যেই এক্সেপ্ট করে নিল! প্রথম দিকে, ইয়ে মানে আমি অতটা আশাবাদী ছিলাম না, ভেবেছিলাম আর পাঁচটা মেয়ের মতই এর সাথেও হাই হেলো কি করছর বেশি এগোতে পারব না। বাট আই ওয়াস রঙ ব্রো। কি মিস্টি করে কথা বলে মেয়েটা, মনটা কত বড়। আর সবথেকে বড় কথা কি জানিস মেয়েটার মধ্যে আর পাঁচটা মেয়ের মতন নেকুপনা নেই। খুব সুন্দর একটা মার্জিত ভাব আছে,কথা বলে খুব সুন্দর করে। আমি ওর জাস্ট ফ্যান হয়ে গেছি।“
“বলিস কি? তা মেয়েটার নাম কি, থাকে কোথায়?”
“নন্দিনী। শ্রীরামপুরে থাকে, শ্রীরামপুর কলেজে কেমিস্ট্রি অনার্স।“
“তুই তোর ফিলিংসের কথা ওকে বলেছিস?”
“না রে, এখনো ওভাবে ডিরেক্ট বলা হয়নি, কিন্তু অনেকভাবে ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আই থিঙ্ক ও বুঝেছে, কারণ ও খুবই বুদ্ধিমতী মেয়ে। নেক্সট রবিবার কথা হচ্ছিল সব ঠিক থাকলে আমরা কোন জায়গায় মিট করব। আর সেখানেই সুযোগ পেলে ওকে... বুঝলি তো...বলব।“
“বাঃ কংগো ভাই।সব সেট হয়ে গেলে আমাকে ট্রিট দিতে ভুলিস না।“
“সে আর বলতে ভাই, একদম একদম।“
রহিত চলে গেল। আমি আবার মোবাইলটা খুলে নন্দিনী চ্যাটার্জী নামের একাউন্টটা ওপেন করে রহিতের সাথে চ্যাটগুলো পড়তে শুরু করলাম। নিজের অজান্তেই আমার ঠোঁটের কোণে একটা হাসি ফুটে উঠল।