পুরস্কার
পুরস্কার
“এবার যে গল্পটা লিখেছি ওটা দিলে আমার ফার্স্ট প্রাইজ বাঁধা।“ গর্বের সাথে বলল অনিকেত।
“ভালো তো।“ মৃদু হেসে উত্তর দিল সুব্রত।
“তুই তো প্রতিবারই প্রাইজ পাস, আমার ভাগ্যে কি হয় কে জানে। দুবছর ধরে কম্পিটিশনে লেখা দিচ্ছি, একবারও আমার নাম উঠল না। আচ্ছা তুইই বল, আমি কি এতটাও খারাপ লিখি?”
“মোটেই না। চিন্তা করিস না, এবার তুই নিশ্চয়ই প্রাইজ পাবি।“
“তুই একবার পড়ে বলিস তাহলে আমার গল্পটা কেমন লাগল তোর। আশা করি ভালোই লাগবে।“
“আচ্ছা ভাই।“
প্রসন্নমনে ক্লাস থেকে বেরিয়ে ক্যান্টিনের দিকে গেল অনিকেত। সুব্রত আর ও দুজনেই একটা সরকারী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ওদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে প্রতি বছর এই সময় একটা ফেস্টের আয়োজন করা হয়। প্রোজেক্ট,কুইজ কম্পিটিশন,খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি বিভিন্ন বিভাগ নিয়ে উদযাপিত হয় এই বার্ষিক উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সমস্ত কলেজের ছাত্ররা এতে অংশ নিতে পারে এবং প্রতিটি বিভাগের বিজয়ীদের জন্য থাকে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সুব্রত আর অনিকেত প্রতি বছর অন্য সকল বিভাগে অংশ নিলেও ওদের দুজনেরই পছন্দের বিভাগ হল গল্প লিখন বিভাগ। সুব্রত স্কুলে পড়ার সময় স্কুল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল,লেখালেখিতে তার হাত রীতিমত ভালো। দুবার সে এতে অংশ নিয়েছে এবং দুবারই সে কোন না কোন পুরস্কার পেয়েছে।অনিকেতেরও লেখালেখির প্রতি আগ্রহ আছে, ভালো গল্প লেখার চেষ্টা সেও করে, কিন্তু তার লেখায় কোথাও যেন সেই মুনশিয়ানাটা থাকে না। আর তাই হয়ত নির্বাচকেরা কোনদিন তার লেখাকে মান্যতা দিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু অনিকেত হাল ছাড়েনা কিছুতেই, প্রতিবারই সে নতুন কোন লেখা লিখলে সুব্রতকে দিয়ে পড়িয়ে নেয় এবং সুব্রতর ভালো লাগলে তার মুখেচোখে একটা অনাবিল আনন্দ ফুটে ওঠে।
ক্লাসের পর সুব্রত বসে বসে অনিকেতের গল্পটা পড়ছিল। গল্পের নাম “আশীর্বাদ”। গল্পটা পড়তে পড়তে সে অনিকেতের দিকে আড়চোখে একবার তাকাল।দেখল একমুখ আশা নিয়ে অনিকেত তার দিকে দেখছে। আবার পড়ায় মন দিল সুব্রত। পড়া শেষ করে সে বলল,”ভালোই হয়েছে গল্পটা।“
“বলছিস তাহলে? এবার আমি প্রাইজটা পেতেও পারি?”
“হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তবে তুই খবরটা পেয়েছিস কি?”
“কি খবর?”
“এবার থেকে আর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আমাদের ফেস্ট হচ্ছে না।কাল রাতে একটা মেল পেয়েছি, তাতে বলেছে এবার থেকে নাকি অনলাইনে ফেস্ট হবে।“
“আমার দেখা হয়নি। যাই হোক কি হবে তাতে?”
“এবার থেকে কুইজ, গল্প জমা সব কিছুই করতে হবে অনলাইনে, বাড়ি বসে।অন্যবারের মতন ইউনিভার্সিটি গিয়ে কুইজে অংশ নেওয়া বা ওখানে গিয়ে লেখা জমা দিতে হবে না। টাইপ করে লিখে ফাইল বানিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারবি।“
“মোবাইলে দেওয়া যাবে?”
“মনে হয় না। ল্যাপটপ ছাড়া ওয়েবসাইট খুলবে না, বা খুললেও প্রপারলি কিছু করতে পারা যাবে না।“
“তা হলে কি হবে? আমার তো ল্যাপটপ নেই,আমি কি করে করব?”
“সেটাই সমস্যা। আচ্ছা আমি বাড়ি গিয়ে সবটা জেনে তোকে বলছি।“
বাড়ি ফিরেই অনিকেত মোবাইলটা খুলে মেল চেক করল। হ্যাঁ, সুব্রত ঠিকই বলছিল। এতদিন পুরো ব্যাপারটা অফলাইনে থাকার দরুণ নানান সমস্যা হচ্ছিল, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার থেকে ফেস্ট অনলাইনে চালু করার ব্যাবস্থা করেছে। ছাত্রদের প্রত্যেককে টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে, এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময় লগ ইন করে ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। সবশেষে উল্লেখ করা আছে, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাত্রদের কাছে থাকা একান্ত জরুরি।
চিন্তায় পড়ল অনিকেত। সেই সময় ফোন এল সুব্রতর।
“হ্যালো।“
“হ্যাঁ অনিকেত তোকে তখন যা বলেছিলাম সেটা ঠিকই। এবার থেকে অনলাইনে প্রতিযোগিতা হবে,আর ল্যাপটপ থাকতে হবে সবার কাছে।“
“জানি। এইমাত্র দেখলাম। তাহলে কি হবে?”
“আরে ধুর বোকা,এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করছিস তুই? আরে আমার তো ল্যাপটপ আছে, তুই আমায় গল্পটা লিখে পাঠিয়ে দিস, আমি তোর হয়ে পাঠিয়ে দেব।“
“কিন্তু সেটা তো টাইপ করতে হবে।মোবাইলে কি আর ভালোভাবে টাইপ করে লেখা যায়?”
“কোন প্রবলেম নেই,আমার ল্যাপটপে তুই টাইপ করে নিবি। এটা আবার বলার মতন একটা কথা? ফালতু টেনশন করিস না,তোর গল্প পাঠানো নিয়ে তো কাজ?আমি থাকতে কোন চিন্তা নেই।“
“ঠিক আছে ভাই, তুই আমায় বাঁচালি। থ্যাঙ্ক ইউ।“
দিন এগিয়ে আসে। এর মধ্যে একদিন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নোটিস এল। এবার এই ফেস্ট পাঁচদিন ধরে চলবে।বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে এবারও, তবে অনিকেত বিশেষ করে চোখ বোলাল গল্প লিখন প্রতিযোগিতার সূচির উপর। প্রথম দশজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে,প্রথম পুরস্কার নগদ তিন হাজার টাকা।মনে মনে তার রস আস্বাদন করে পুলকিত হয়ে উঠল অনিকেত।
একটা সাইবার ক্যাফে তে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাল অনিকেত। তারপর সুব্রতকে ফোন করে বলল,”কি রে তোর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে?”
“হ্যাঁ, এই কিছুক্ষণ আগেই করালাম।বাই দ্য ওয়ে,গল্প না হয় আমিই তোরটা পাঠিয়ে দেব,কিন্তু অন্য কম্পিটিশন গুলোর কি হবে?সেগুলোর কি করবি?”
“আর কি করা যাবে। ছাড় বাদ দে,পরের বার ল্যাপটপ কিনে না হয় পার্টিসিপেট করব। এবার আর হবে না। কিন্তু ভাই,গল্পটা কিন্তু পাঠানো চাইই। অনেক কষ্ট করে লিখেছি,বুঝতেই পারছিস...”
“হ্যাঁ রে বাবা। তুই আমার উপর একটু ভরসা রাখ। সব হয়ে যাবে।“
“ঠিক আছে ভাই। আর একটা কথা জানা হল না,তুই ও তো এবারে গল্প পাঠাচ্ছিস?”
“হ্যাঁ, পাঠাচ্ছি তো। লেখাও হয়ে গেছে।তোকে হোয়াটস আপে দিচ্ছি,পড়ে দেখ কেমন লাগল।“
“আচ্ছা।“
অনিকেতের ফোনে হোয়াটস আপে সুব্রতর মেসেজ ঢুকল। সুব্রতর লেখা গল্প “কলঙ্কিনী”। পড়তে শুরু করল অনিকেত। সুব্রতর লেখনীর তুলনা নেই,তবুও অনিকেতের মনে হল সুব্রতর লেখাটা তার মতন অতটা ভালো হয়নি।তাই সুব্রতকে সে লিখল,”ভালোই লিখেছিস,তবে মনে হয় আমারটা বেটার।কি বলিস?”
“হ্যাঁ সে তো নিশ্চয়ই। তুই এবার অনেক ভালো লিখেছিস।“
“আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু ভাই একটা কথা বল,আমার লেখাটা তো টাইপ করতে হবে,সেজন্য তোদের বাড়ি যেতে হয়।কবে গেলে তোর সুবিধা হবে?ফেস্টের তো আর বেশি দেরি নেই।“
“যে কোন দিন আয় না। কিংবা আমায় লেখাটার ছবি পাঠিয়ে দিলে আমিই টাইপ করে দিতাম চিন্তা কি?”
“না না তুই কেন পরিশ্রম করবি? আমি তাহলে কালই যাচ্ছি তোদের বাড়ি।“
“ঠিক আছে।“
পরের দিন সকাল সকাল অনিকেত চলে এল সুব্রতদের বাড়ি। সুব্রত তাকে দেখেই বলল,”তোর কথা ভেবে আমার সত্যি ই খুব খারাপ লাগছে। এবার আরো অনেক কম্পিটিশন দিয়েছে, সেগুলোতে পারটিসিপেট করতে পারলে তোর খুব ভাল লাগত। তুই আমার ল্যাপটপ থেকেও তো সেগুলোতে জয়েন করতে পারিস।“
“ছাড় তো। কই তোর ল্যাপটপ খোল।“
প্রায় দুঘন্টা টানা বসে ল্যাপটপে লেখাটা টাইপ করল অনিকেত। তারপর বলল,”নে হয়ে গেছে।“
“ঠিক আছে।“
“আচ্ছা ভাই তাহলে আসি। আবার আসব ফেস্টের শুরুর দিন। ঐদিনই তো রাত বারোটার আগে গল্প সাবমিট করতে হবে।“
শুনে সুব্রত খানিকক্ষণ চুপ করে রইল।তারপর ধীরে ধীরে বলল,”তুই আমার বাড়িতে যখন খুশি আয় তাতে কোন বাধা নেই,কিন্তু শুধুমাত্র গল্প জমা নিজে হাতে করার জন্য আমার বাড়িতে আসাটা কি খুব জরুরি?”
“কি বলতে চাইছিস তুই?”
“মানে বলতে চাইছি, তোর কি আমার উপর একটুও ভরসা নেই? তুই ভাবছিস আমি হয়তো জমা দেব না বা ভুলে যাব এই তো?”
“না না ছি ছি,তা কেন ভাবব। ঠিক আছে তাহলে তুই পাঠিয়ে দিস, আমার পাসওয়ার্ড টা তোকে দিয়ে দেব। এখন আসি তাহলে।“এই বলে অনিকেত বেরিয়ে গেল।
ক্রমে ফেস্টের দিন চলে এল।এর মধ্যে কয়েকশো বার অনিকেত সুব্রতকে ফোন করে জেনেছে যে তার লেখাটা সে ঠিকঠাক মত পাঠিয়েছে কিনা। সুব্রত প্রতিবারই তাকে আশ্বাস দিয়ে শান্ত করেছে। এখন শুধু এই প্রতিযোগিতার ফলাফল বেরোনোর অপেক্ষা। ব্যস তারপরই হবে সব জল্পনার অবসান। তবে অনিকেত মনে মনে ভাবে, এর আগের দুবারও সে এরকম ভাবেই কয়েকটা দিন আশায় বেঁচেছিল। তারপর সব...না না এবার আর সেরকম কিচ্ছু হবে না। সুব্রত তো বললই যে তার এবারকার গল্পটা নাকি দুর্দান্ত হয়েছে। তাহলে আর চিন্তা কি? ভগবান আছেন, সব ভালো হবে।
রেজাল্ট বেরিয়েছে কিনা সে খবর সুব্রতর থেকে ছাড়া জানার উপায় নেই।তাই প্রতিদিনই সে কলেজে একবার করে সুব্রতকে ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞেস করে রেজাল্ট কবে বেরোবে। সুব্রত বলে,”আরে ভাই এখনো এক সপ্তাহ হয়নি,একটু টাইম তো দে। আমার মনে হয় আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওরা বিজয়ীদের লিস্ট বের করে দেবে।“
একদিন অনিকেত খেতে বসেছিল, হঠাত সুব্রতর ফোন এল। খাওয়া ফেলে পড়িমরি করে গিয়ে সে ফোনটা তুলল।ওপাশ থেকে সুব্রত বলল,”ভাই আজ ফাইনালি বিজয়ীদের লিস্ট বেরিয়েছে।“
“তাই নাকি? আমার টা কিছু হয়েছে রে?”
“তুই আমাদের বাড়ি আয়, তোকে সব বলব।“
“ঠিক আছে আমি খেয়েদেয়েই আসছি।“
একবুক উত্তেজনায় ভালো করে খেতেও পারলো না অনিকেত। কোনরকমে খাওয়া শেষ করেই সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে গেল সে।
দুরুদুরু বুকে সুব্রতর বাড়ির বাইরে সাইকেল লক করে রেখে কলিং বেল বাজাল অনিকেত। সুব্রত এসে দরজা খুলে দিল।
ঘরে ঢুকিয়েই অনিকেত বলল,”কিরে আমায় ফোনে কিছু বললি না, কি হয়েছে রে? তাহলে আমার আশঙ্কাই কি সত্যি? এবারও...”
সুব্রত বলল,”কংগ্রাচুলেশনস।“
“মানে?”
“আয় নিজেই দেখে নে।“
সুব্রতর ল্যাপটপ টা খোলা ছিল।অনিকেত দৌড়ে গিয়ে সুব্রতর পাশে বসল। ওয়েবসাইটে আজই গল্প লিখন প্রতিযোগিতায় প্রথম দশজন বিজয়ীর নাম দিয়েছে। এক ঝলক দেখে প্রথমটায় বিশ্বাস করে উঠতে পারল না অনিকেত।তারপর চোখ কচলে দ্বিতীয়বার দেখে একটু ধাতস্থ হল সে।
লিস্টে সবার প্রথমে জ্বলজ্বল করছে অনিকেত চ্যাটার্জীর নাম।
“সত্যি?”
“হ্যাঁ রে,নিজের চোখেই তো দেখলি।“
বিস্ময়ে আনন্দে কিছুক্ষণ মুখ দিয়ে কথা বেরোল না অনিকেতের।তারপর সুব্রতর হাতটা ধরে সে বলল, ”আমার যে কতটা আনন্দ হচ্ছে তোকে বলে বোঝাতে পারব না। তুই না থাকলে এসব কিছুই হত না।আজ মনে হচ্ছে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।“
“হ্যাঁ রে,আমি বলেছিলাম না,তুই ঠিক পারবি। এখন বিশ্বাস হল তো?”
“সে আর বলতে? কিন্তু ভাই,তোর নাম কোথায়? তুইও তো গল্প দিয়েছিলি না?”
সুব্রত মাথা নীচু করে বলল,”আমার গল্পটা সিলেক্ট হয়নি রে। আমি জানতাম এবারে খুব একটা ভাল লিখতে পারিনি, তুইও তো দেখেছিলি গল্পটা পড়ে ।“
“তা বটে। যাকগে,সব বার কি আর সমান যায়।পরের বার তুইও নিশ্চয়ই পুরস্কার পাবি, দেখে নিস।“
“হ্যাঁ ভাই।“
“ঠিক আছে,তবে চলি রে। এর মধ্যে তো আবার একদিন ওদের অফিস থেকে পুরস্কার আর সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। দেখি কবে যাওয়া যায়।“
“প্রাইজ পাওয়ার পর ট্রিট চাই কিন্তু।“
“হা হা সে আর বলতে। নিশ্চয়ই দেব।“
কয়েকদিন পরের কথা। ক্লাসের পর সুব্রত আর অনিকেত বাড়ি ফিরছিল।অনিকেত বলল,”ভাই একটা কথা তোকে বলা হয়নি। কাল আমি ইউনিভার্সিটি এর অফিসে গিয়েছিলাম, সার্টিফিকেট আর পুরস্কারটা আনতে। এই দেখ সার্টিফিকেটটা।“
সুব্রত সেটা হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল। গল্প লিখন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার জন্য প্রদত্ত শংসাপত্র। মাঝে বড় হরফে লেখা অনিকেতের নাম।
“বাহ ভালোই হয়েছে। খুশি তো তাহলে তুই এবার?”
“ভীষণ।“
“তাহলে ট্রিট টা কবে পাচ্ছি?”
“দেখা যাক। চাপ নিস না, বলেছি যখন শিওর দেব।“
বাড়িতে ঢুকল সুব্রত। বাইরে রোদে এতটা পথ আসতে হয়েছে, বেশ ক্লান্ত লাগছিল তার। ফ্যান টা অন করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল। তারপর ল্যাপটপ টা খুলে বসল সে।
ডেক্সটপ স্ক্রিনের উপরেই ছিল তার লেখা “কলঙ্কিনী” গল্পের ফাইলটা। কি খেয়াল হল, সে ফাইলটা খুলে গল্পটা পড়তে শুরু করে দিল।
পড়া শেষ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল সুব্রত। গল্প যেখানে শেষ হয়েছে,তার নীচে টাইপ করে লেখা রয়েছে, লেখক অনিকেত চ্যাটার্জী, তৃতীয় বর্ষ, কলেজ অমুক।