প্রতিকার
প্রতিকার
প্রভার প্রতি সুমিতের এত আগ্রহ দেখে প্রভা খুব বিস্মিত হয়। ওদের ডিপার্টমেন্টে তো রূপবতী,গুণবতী মেয়েদের অভাব নেই,তাহলে শ্যামবর্ণা প্রভার প্রতি সুপুরুষ সুমিতের অযাচিত আগ্রহের কারণ কি তা প্রভার বোধগম্য হয় না। তবু ঐ ভালোবাসায় ভাসতে ভাসতে প্রভা সুমিতের পরিবারের একজন হয়ে আসে।ও আগেই শুনেছিল সুমিত ছোটতেই ওর মাকে হারিয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে পা দিয়েই শাশুড়ির ছবির দিকে তাকিয়ে প্রভার মনে হল,কি জীবন্ত,ও চোখ জোড়া এখনো যেন কিছু বলতে চায়। প্রভার কৌতূহলের নিরসন অবশ্য ফুলশয্যার রাতেই হল যখন সুমিত কান্নায় ভেঙে পড়ে ওর মায়ের মৃত্যুর কারণ জানালো। সর্ব সুলক্ষণা বীণা মানে সুমিতের মাকে পারিবারিক গুরুদেবের নির্দেশে বধূ রূপে সংসারে আনলেও শ্যামাঙ্গী বীণাকে উঠতে বসতে গঞ্জনা দেওয়া এ বাড়ির নিত্যকর্ম ছিল।
অনাথ বীণা বংশে পুত্র সন্তান উপহার দিলেও দুঃখকষ্টের নিরসন হয় নি।শেষপর্যন্ত মৃত্যু দিয়েই তা শেষ হয়। শিশু সুমিত ওর মায়ের জন্য কোন প্রতিকার করতে না পারলেও আজ প্রভার জন্য সেসব ভুল শোধরাতে পারবে যার মধ্যে প্রথম দিন থেকেই ও ওর মায়ের ছায়া দেখতে পেয়েছে।