Sutapa Roy

Inspirational

4  

Sutapa Roy

Inspirational

শাপমুক্তি

শাপমুক্তি

7 mins
351



শিরোনাম-শাপমুক্তি

কলমে-সুতপা ব‍্যানার্জী(রায়)


কেন্দুল গাঁয়ের মাহাতো পাড়ার ছেলেদের খেলার কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা উপকরণ নেই।যেদিন যেমন পারে খেলে। সকালে কেউ মুড়ি,কেউ বা পান্তা খেয়ে হইহই করে খেলতে বেরিয়ে যায়। খেলার সঙ্গে সঙ্গে জীবিকা নির্বাহের কিঞ্চিৎ সুবিধেও করে দেয় পরিবারের।এ সময় বাড়ির বড়রাও নিজের নিজের কাজে ব‍্যস্ত থাকে। কেউ চাষের ক্ষেতে মুনিষ খাটে,কেউ দূরের শহরে চলে যায়,কেউ বা জিনিস ফেরি করে।এ সময় ওদের ঘরে থাকে বাড়ির খুব বয়স্করা,ওরাই ঘর গেরস্থালি সামলায়। বুকনা,কাজলা,হেপাইরা একটা দলে থেকে একইরকম খেলা খেলে। যেমন যেদিন ওরা আবর্জনার থেকে পেতল,প্লাস্টিক কুড়োয় সেদিন ফেলে দেওয়া কাগজ মুঠো করে দড়ি বেঁধে তাই দিয়েই বল ছোঁড়াছুঁড়ি খেলে। তারপর খেলা শেষে পড়ন্ত বেলায় চটের ব‍্যাগ ভর্তি করে দলবেঁধে ঘরে ফেরে। আবর্জনা মাখা চেহারাগুলো দেখে তখন বোঝাই যায় না কে বুকনা,কে কাজলা আর কেই বা হেপাই। বারোয়ারি কলতলায় এসে সেসব ক্লেদ ওরা সাফ করে,সাথে সদ‍্য শেখা কোন হিন্দি গানের কলি জোরে জোরে গায়। কুচো কয়লা কুড়োতে মাঝে মাঝে কাছাকাছি কোলিয়ারিতে চলে যায়,অনেকসময় অবৈধ কোন খনিতে ঢুকে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটে।তবুও জীবন থেমে থাকে না,এইভাবেই এগিয়ে চলে। স্কুলের খাতায় নামও আছে কারুর কারুর। অধিকাংশ দিন অনুপস্থিত থেকে শুধু খাতার নামটুকু বজায় রাখে। কেউ আবার খাদ‍্যতালিকায় ডিম থাকলে সেদিন মিড ডে মিল খেয়ে আসে। থলে ভরে চাল,ডাল দিলেও খবর পেলে তা গিয়ে নিয়ে আসে। জলের পাইপ বা ঝোপের আড়ালে ডেরা গেড়ে বাপ,কাকার মতো বিড়ি টানে,ডেনড্রাইটের নেশা করে। ক্ষেতে বেশী লোকের দরকার হলে বা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুতেও লেগে পড়ে। এভাবে অভাবের আনাচে কানাচে লেগে থাকে শিশুশ্রমের কালি। বুকনারা সেদিন গেল গির্জা পাড়ার দিকে।ঘুরতে ঘুরতে বুকনা বলল-"চল একবার গির্জ টর ভিতর ঠেনে ঘুইরে আসি।" কাজলা ভয়ার্ত চোখে বলল-"না বাবা,ও দিক পানে যাবোক লাই, বাপ ট শুইনলে গলা ট চিপাই দিবে।" হেপাইও ফিরে যাওয়াকে সমর্থন করল। শুধু বুকনা বুকের পাটাটা চওড়া করে এগিয়ে চলল চার্চের দিকে। কি মিষ্টি ঐ ঘন্টাটার শব্দ। মন থেকে একটা ডাক অনুভব করছে ও। গিরজার দরজা থেকে মা মেরির ছবি দেখে বুকনার মরে যাওয়া মায়ের কথা মনে পড়ল। ঐ অমন আদর করেই তো ওর মা বেলি ওকে পান্তা খাওয়াতো। মা মরে গিয়ে কি এই গির্জায় এসে আছে।

ফাদার জোশেফকে দেখে বুকনা কাঁদো কাঁদো মুখে বলল-"এই দেখতে আইছিলম তুমাদের মন্দির ট।"

ফাদারের মুখের হাসি দেখে বুকনার সাহস বেড়ে গেল। আঙুল তুলে যীশুখ্রীষ্টের মূর্ত্তি দেখিয়ে বুকনা বলল-"উ কি তুমাদের ঠাকুর? এত রক্ত কেনে?উ কে কে ফুঁড়ে দিলেক?" ফাদার হেসে বললেন-" এসব অনেক বছর আগের ঘটনা,মানুষ ওনাকে অবিশ্বাস করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল।" বুকনা চটপট করে উত্তর দিল-"ঠাকুররেও অবিশ্বাস যাওয়া যায়? কাজলার মাতাল বাপের মতো? উ মদ ট খেঁইয়ে বলে-"ঠাকুর কে? আমি উ কে চিনি লাই।" ফাদার বুকনাকে বোঝাতে চেষ্টা করলেন-"এ সেরকম নয়,মানুষকে ভালোবেসে মরে গিয়েও মানুষের জন্য মানুষের কাছে থেকে যাওয়া।" বুকনা কতকটা বুঝল কতকটা বুঝল না,শুধু প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মাথা নেড়ে গেল। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ফাদারের কথাগুলো শুনতে লাগল।তবে সবচেয়ে বেশী যেটা মনে গেঁথে থাকল তা হল মেরি মায়ের মুখ। ঢলা দিনে যখন ঘরে ফিরে এল বুকনা তখন উত্তমমধ‍্যম খেলো বাপের থেকে। বাপের জায়গায় ঐ দিন সামন্তদের বাগালির কাজ ওর ওপরেই ছিল।সব পণ্ড হয়েছে বুকনার জন্য, শাস্তি হল রাতের রান্না বুকনাকে করতে হবে। আলু চোখা আর এলোমেলো আকারের রুটি সেঁকতে সেঁকতে বুকনার মন সেই গির্জার অলিন্দেই ঘোরাফেরা করতে লাগল।

পাশ থেকে বাপ বুধনার রাগত স্বর-"ফের যদি ঐ অলুক্ষণে পাদরির ঠাঁয়ে যাস তো ঠ‍্যাঙ খুঁড়া করি রেইখ‍্যা দুবো। ভক্তি জাগলে মারাংবুরুর ঠাঁয়ে যাবিক,উ দিক পানে একদম লয়।ভুজুং ভাজুং দিইয়ে

তুকে খেষ্টান বানায়ে দিবেক। একঘরে হুবার সাধ হইচেক।" বুকনা বাপের রাগের এসব কারণ বোঝে না,আপাতত তাই হাতের কাজটা সেরে বাপকে খুশী করার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে কাজলাদের বাড়িতে এক দুর্যোগ ঘনিয়ে এল। বাপ-মায়ের সঙ্গে ক্ষেতে কাজে গেছিল ওর বোন দুগনি।ধানের ক্ষেতে খেলো এক মরণ কামড়।প্রথমে ভেবেছিল কোন পোকা কামড়েছে।অবস্থা বেগতিক হতে বাপে বুঝল এ সাপের কামড়। ডাকা হল গাঁয়ের ওঝা তিলু সোরেনকে। খানিক তেল পোড়ার ছেটা খেয়ে যখন দুগনি আরো নেতিয়ে পড়ল তখন গাঁয়ের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক হারানবাবু বললেন-"দুগনিকে স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে নিয়ে চল,এসব ওঝার কম্ম নয়।" উপস্থিত সকলে রাগ ও অবিশ্বাস দেখালেও দুগনির মায়ের কাতর আবেদনে শেষপর্যন্ত স্বাস্থ‍্যকেন্দ্রে যাওয়া হল কিন্তু ততক্ষণে ওর অবস্থা হাতের বাইরে চলে গেছে। ওকে আর বাঁচানো গেল না। কান্নাকাটির ও ভিড়ের মাঝখানে কাজলা বিড়বিড় করে কী বলল তা অন‍্যরা বুঝতে না পারলেও পাশে দাঁড়ানো বুকনা বুঝল কাজলার মনের মধ্যে ঝড় চলছে। বোন দুগনির এভাবে মরে যাওয়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। অন্ধবিশ্বাসগুলোকে ও ওর কৈশোরের সমস্ত শক্তি দিয়ে পিষে ফেলতে চাইছে। কদিন মনখারাপ করে থাকলেও এরপর কাজলার স্কুলে যাওয়া নিয়মিত হল। মেয়েকে হারিয়ে ওর বাবা'মাও কাজলাকে কাজের ব‍্যাপারে কম চাপ দেয়।বুকনা আর হেপাইকে

এখন কাজলাকে ছাড়াই খাদান,বালির চর,আবর্জনার স্তূপের মধ্যে ঘুরতে হয়। কখনো সঙ্গে থাকে পুঁটলি বাঁধা মুড়ি,যা ওরা মাঠে বসে গল্প করতে করতেই খেয়ে নেয়। অনেকদিন পর স্কুলের ছুটি থাকায় তিন বন্ধু আবার এক হয়েছে। হেপাই খুশীতে ডগমগ হয়ে খবর দিল-"আর দশ দিন পর আমাদের বিয়া ঘর। আমার সেজদিদি ললির বিয়া,তুদেরও লেমন্তন ট থাকবেক।" কাজলা গম্ভীর ভাবে বলল-"অত লাচিস লাই,তুর দিদির আঠারো হয় লাই,উ বিয়া বিয়া লয়,উ ট আটকা কেনে।" হেপাই অবাক হয়ে বলল-"তুই খুশী ট আটক করতে কইছিস,এ বাবা!তুর মদলব কী ক তো?" কাজলা আরো কাছে এসে বলল-"এ বিয়া ট মুদের আটক কইরতে হবে,না হইলে তুর দিদি ধাক্কা ট সইতে লারবে।" বুকনারও মস্তিষ্ক এখন অনেক পোক্ত,ও একমত হল কাজলার সঙ্গে।

এরপর ওরা লেগে পড়ল হেপাইয়ের সেজদিদির বিয়ে আটকাতে। ঘটনার আঁচ পেয়ে বাড়িতে বড়রা হেপাইকে মারধর করলেও পুলিশ প্রশাসনের কাছে হার মানতে হল।বুকনা কাজলার হাত ধরে বলল-"তুর লেগে মোর দিদি ট বাঁচল।" কাজলা এখন স্কুলের পর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া এগুলোর বিরোধিতা করে গান বাঁধে। এ গাঁয়ে সে গাঁয়ে এখন ওর গায়েন বলে নাম হয়েছে।গাঁয়ের পঞ্চায়েত থেকেও এ ধরণের অনুষ্ঠান করে বিভিন্ন জায়গায়। কাজলার সঙ্গে থেকে থেকে বুকনা আর হেপাইয়েরও অনেক উন্নতি হয়েছে। গাঁয়ের সবুজ জলহাওয়াকে যেমন ওরা উপলব্ধি করে সেরকম জড়িয়ে থাকা কুসংস্কারগুলোকে ওরা চিনতে শিখেছে,কাটিয়ে উঠতে শিখেছে। গাঁয়ের পুরোনো কালি মন্দিরে মূর্ত্তি বদলের দিনে জোর উৎসব হয়,মেলা বসে। বুকনার বাপ মেলায় দোকান দিয়েছে। সেই দোকান সামলাতে বুকনার সঙ্গে কাজলা ও হেপাইও হাজির হয়েছে। ফুল,বেলপাতার দোকান,হেপাই গিয়ে ভক্তদের হাতে ডালা ধরিয়ে দিচ্ছে। কী মনে হতে কালি প্রতিমার দিকে তাকিয়ে হেপাই মনে মনে বলল-"গাঁয়ের সকলরে ভাল রেইখ‍্যো মা,সকলের ভাল কোইরো।" দুদিনের মেলায় বিক্রি মোটামুটি হল,বুকনার বাবাও ছেলের চেষ্টায় খুশী হল। তবে হেপাইয়ের মঙ্গল কামনা সত্ত্বেও কিছু বিপদ সম্ভাবনা দেখা গেল। গাঁয়ের প্রান্তে নতুন বাস করতে আসা এক পরিবারের একটা বাচ্ছা ছেলে জঙ্গলে বল ভেবে একটা গোলককে লাথি মারলে বিস্ফোরণ ঘটল।বরাৎজোরে ছেলেটার একটা আঙুল পুড়ে যাওয়া ছাড়া বিশেষ ক্ষতি হল না।তবে গাঁয়ের শান্তি নষ্ট হল।পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাস করা শুরু করল।শুধু হেপাইয়ের দৃঢ় বিশ্বাস হল ওর প্রার্থনার জন‍্যই বড় কোন ক্ষতি হয় নি।যদিও বুকনা,কাজলা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল যে জায়গাটায় লোকবসতি কম বলে বড় ক্ষতি হয় নি। তবে ওরা ঠিক করে যে চারপাশে সজাগ নজর রাখতে হবে।অন্য বন্ধুদেরও ব‍্যাপারটা বোঝাতে হবে যাতে আরো বড় কোন বিপদ না হয়। বুকনাদের সচেতন টহলে নজরে এল এলাকায় বিভিন্ন অচেনা লোকের যাতায়াত বাড়ছে যারা ঠাকুর দালানে,মেলায়,উৎসবে,বাজারে ভিড়ের মাঝে মিশে নানা বিভেদের কথা বলছে।এলাকায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বুকনারা গাঁয়ের কিশোর,যুবকদের সজাগ করল, কেউ যাতে কোনরকম ভুল বুঝিয়ে এলাকার শান্তি না নষ্ট করতে পারে। বুকনার বাবা রাগ দেখিয়ে বলল-"এসব ঐ গির্জের দিশি সাহেবগুলানের কাজ,ঐ ঠাঁয়েতেই শহরের লোকগুলান এইসে গুজুর গুজুর করে।" বুকনা জানে এলাকায় ওরা মেডিক্যাল ক‍্যাম্প করার জন্য আসে,কিন্তু ওর বাপ সেসব বুঝবে না তাই ঐসব কথা ও চুপ করে হজম করল। হেপাইও

বুকনাকে বলে রেখেছে মাঝে মাঝে ওর সঙ্গে গিয়ে মেডিক্যাল ক‍্যাম্পের কাজকর্ম দেখে আসবে।ওখানে প্রশিক্ষণ নিলে তা ওর ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। কাজলা সব দেখেশুনে বলল-"এই মেডিক্যাল ক‍্যাম্পের কাজ নিয়েও দেখছি গান বাঁধতে হবে।তাতে যদি একটা ভাল কাজের জন্য সবার আগ্রহ বাড়ে। কী বল বুকনা,দশে মিলি করি কাজ,হারি-জিতি নাই লাজ।" বুকনা,কাজলা,হেপাই গাঁয়ের দরিদ্র পরিবারে জন্মে প্রতি মুহূর্তে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেও নিজেদের রুচি, মানসিকতার উন্নতি,স্বাতন্ত্র‍্য বজায় রাখতে শিখে গেছে।এ শিক্ষা একদিনে গড়ে ওঠে নি,

এখন ওরা ওদের মেধা,মননকে সদা জাগ্রত রাখে। যা ওদের দৃষ্টির স্বচ্ছতা বাড়িয়ে ভুল-ঠিক,খারাপ-ভালোর প্রভেদকে সহজেই চিনতে শিখিয়ে দেয়। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি চার্চের সঙ্গে যুক্ত এনজিও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা শিবির চালাতে শুরু করল বুকনাদের গ্রামের বিভিন্ন স্থানে।বুকনা,কাজলা,হেপাইও ওদের পক্ষে যতটা সম্ভব সাহায্য করে। কিন্তু শিবিরে যখন তেল পোড়া,ঝাড়ফুঁক,জড়িবুটির জায়গায় স্বাস্থ্যেকেন্দ্রে পরীক্ষানিরীক্ষা করে চিকিৎসার কথা বলা হল তখন গাঁয়ের ওঝা,গুনিনের দল খেপে উঠল।গাঁয়ের অন্ধবিশ্বাসী মানুষদের ভুল বুঝিয়ে,বিভিন্ন অনাগত আশঙ্কার ভয় দেখিয়ে এককাট্টা করে শিবিরগুলো তছনছ করার কাজে মেতে উঠল। বুকনারা নানাভাবে চেষ্টা করেও অশুভ শক্তির সঙ্গে পেরে উঠছিল না। এরমধ্যে গাঁয়ের মোড়ল সুধীর মেটের ছেলের ধূম জ্বর এল। ওঝা,গুনিনে কোন ফল দিল না।অবস্থা আরো বাড়াবাড়ি হতে বাধ‍্য হয়ে স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে এল।

সেখানে পরীক্ষায় ধরা পড়ল মোড়লের ছেলের ম‍্যালিগনেন্ট ম‍্যালেরিয়া হয়েছে। বিশেষ অবস্থায় প্রতিকূলতার ঝড় যখন নিজেদের বাড়িতে এসে পড়ল তখন অন্ধবিশ্বাসকে আঁকড়ে থাকার আর জায়গা রইল না। মোড়লের ছেলে উপান্ত সুচিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠল।অনেক বছরের অশিক্ষা, কুসংস্কার কেঁন্দুল গাঁ থেকে বিদায় নিতে শুরু করল।

এ সমস্ত ভাল কাজে গাঁয়ের মানুষেরা সামর্থ্য, অর্থ নিয়ে এগিয়ে আসতে লাগল। সদ‍্য কৈশোর উত্তীর্ণ

বুকনা,কাজলা আর হেপাইয়ের কথাও গাঁয়ের মানুষ এখন মনোযোগ দিয়ে শোনে।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational