নষ্ট নীর
নষ্ট নীর
নষ্ট নীর
ডক্টর কৃষ্ণ ব্যানার্জী
লোকে বলে সংসারের পরিকাঠাম গঠন হয় নারীদের হাত ধরে এটা যথেষ্ট অংশে সত্য। তবে বিক্রিত সমাজে কিছু ঘটনা ঘটে যেখানে নীর নষ্ট হবার পিছনে পুরুষদের একটা বিশেষ ভূমিকা থেকে যাই। এমনটাই হলো গ্রামের মেয়ে পারুলের জীবনে।
বাপ - মা সম্বন্ধ করেই বিয়ে দিলো তার মফরসাল নিবাসি সমিরের সাথে। প্রাথমিক অবস্থায় সমির এবং তার বাবা - মার ব্যবহারে আপ্লুত হয়েগিয়েছিল পারুলের বাপ - মা। বিয়ে হলো বিনা পনেই পাত্রবলেছিল আমি রবীন্দ্রনাথের আদর্শে বিশ্বাস করি আমি পনের বিরুদ্ধে কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাবাজীবনের আসল রূপ পরিলক্ষিত হতে সুরু করে আজ এটা তো কাল সেটা না পেলেই অত্যাচার।
সেতো গেল খুব কমন বিষয় এতো আমরা পুলিশ ফাইল, ক্রাইমপেট্রল প্রভৃতিতে হামেসাই দেখি কিন্তু এখানে যেটা ঘটলো সেটা আরো মারাত্মক। জামাই আদোরতো চলছিল বেশ জোর কদমে কিন্তু সবকিছুর একটা লিমিট আছে তাই এক সময় বিষয়টা বেশ গম্ভীর হয়ে দাঁড়ালো শশুর বলেদিলেন তারপক্ষে আর জামাই আদোর করা সম্ভব নয় ব্যাস জামায়ের মাথা গেল বিগরে এবার আর জামাই আবদার নয় শুরু হলো নতুন আবদার।
সংসারে রান্না - বান্না হোক চাই নাই হোক কিন্তু জামায়ের বাংলা চাই। রাজার ছেলে কাজবাজ করবেনা সে, বাংলা খাবে আর উল্টে পড়েথাকবে। তার বাবা - মাও ছেলের হয়েই জপমালা জপেন, ছেলের কোন অপরাধ তাদের ছোখে পড়েনা তাদের মন্তব্য বৌ যদি শিক্ষিত বেকার হয় তবে সেই সংসারে অশান্তি হবেই। গ্রামের মেয়ে পথঘাট তেমন চেনেনা স্বামীকে বলে তুমি আমায় নিয়ে চলো ইন্টারভিউ দিতে চাকরি একটা পেয়েই যাবো কিন্তু বাংলা ছাড়া সেযে অন্যকোথাও সময় দিতেই পারেনা অবশেষে একটা ব্যবসা ফাঁদলো সে বাবা - মাও কোন প্রতিবাদ করলোনা। এখান থেকে ওখানথেকে লোক এনে বৌয়ের ঘরে ডুকিয়ে দিয়ে মদের পয়সা তুলতে আরম্ভ করলো সব শেষে আবার তাকেও সোহাগ দিতে হতো তাকে। একটা মেয়ে কতদিন সয্যকরতে পারে একনা একদিন তো এটা ঘটতেই হতো, একদিন সুযোগ বুঝে গ্রামের কিছু লোক কে জানায় সে তারপর তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে সেদিন রাতেই গ্রামবাসিরা হাতে নাতে ধরে সমির কে। ধরা পড়তেই সমির এবং তার বাবা - মা সকল অপরাধের ভাগিদার করে পারুলকে। পুলিশ আসে বাড়িতে পুলিশের সামনেই পারুলকে মারতে যায় সমির। কারণ বাড়িতে পুলিশ এসেছে তাতে তাদের পরিবারের সন্মান হানি হয়েছে।
পুলিশের কাছে হাঁওমাও করে কেঁদে ফেলে পারুল। পুলিশ তার স্বামী, শশুর আর শাশুড়িকে হেফাজতে নেয়। পারুলকে তুলেদেয় তার মা - বাবার হাতে। কেশ কোর্টে ওঠে আদালত অপরাধিদের জাবেদ জীবন জেল হেপাজতের আদেশ দেয় আর সমিরের সম্পত্তির মালিকানা তুলে দেওয়া হয়পারুলের হাতে।
🙏 সমাপ্ত 🙏
