সৌরদীপ সৌমিত্র চৌধুরী "চন্দ্রচূড়"

Horror Thriller Inspirational

4.5  

সৌরদীপ সৌমিত্র চৌধুরী "চন্দ্রচূড়"

Horror Thriller Inspirational

মোহনা

মোহনা

7 mins
133


- "ধুর শালা! আর ভাল্লাগে না। এত চেষ্টা করেও মনটা ধ্যানে বসাতে পারছি না।"
- "আরে এত তাড়াতাড়ি অধৈর্য্য হয়ে পড়লে চলে অভ্র? আজকের সিয়ান্সের মিডিয়াম তো তুই। আরেকটু ভাল করে মনোনিবেশ কর। এভাবে বার-বার ধ্যান ছেড়ে উঠে পড়লে কিন্তু কোনও আত্মাই ধরা দেবে না।"
একরাশ বিরক্তি নিয়ে আবার চক্রের মাঝখানে পাতা আসনে এসে বসল অভ্র। পুনরায় চোখদুটো বন্ধ করল। নিজের সমস্ত চেতনা এক বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করতে হবে। অনেক কষ্টে এই জায়গার সন্ধান পাওয়া গেছে। কিছুতেই এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।

জায়গা'টার হদিশ শুভজিৎ নিজেই এনেছিল। বহুকালের পুরনো চার্চ। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে পরিত্যক্ত। শোনা যায়, এখানকার প্রধান পাদ্রী ফাদার জোনাথন নাকি ঈশ্বরের আরাধনার আড়ালে নিয়মিত রূপে শয়তানের উপাসনা করতেন। নরবলি দিতেন, পান করতেন শিকারের রক্ত। অবশ্য সবই করতেন লোকচক্ষুর আড়ালে। তবে একদিন এক মাঝবয়সী নান তার সমস্ত কুকীর্তির কথা জানতে পারে। পাছে সব জানাজানি হয়ে যায়, তাই জোনাথন সেই নান'কেও নির্মম ভাবে হত্যা করে তার মরদেহটা পুঁতে দেয় চার্চের লাগোয়া গোরস্থানে । তবে সেই কথাটা কোনওভাবে ফাঁস হয়ে গেছিল। গ্রামের লোকেরা ক্ষেপে গিয়ে সেই নরপিশাচ পাদ্রী কে চৌরাস্তায় বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে মারে। তারপর থেকেই এই চার্চ বন্ধ। নিত্যপূজাও হয়না বহু বছর ধরে। স্থানীয়দের অনুসারে জায়গাটা নাকি অভিশপ্ত। প্রেত নামানোর জন্য এর চেয়ে প্রশস্ত জায়গা আর পাওয়া যাবে না।

সিঁদুর দিয়ে আঁকা একটা বড় চক্র। তার ঠিক মাঝখানে আসন পেতেছে দুই বন্ধু। চক্রের চারিদিকে গুণে-গুণে সাতটা মাটির প্রদীপ জ্বালানো। অভ্র'র হাতের কাছে চামড়ায় বাঁধানো একটা ডায়েরি আর কলম। যদি কোনও আত্মা ওর শরীরে ভর করে কিছু বার্তা দিতে চায়, সেইটা তৎক্ষণাৎ লিপিবদ্ধ করে ফেলার মতলবেই এত আয়োজন। বনে-বাদাড়ে ভূত খুঁজে বেড়ানো, প্ল্যাঞ্চেট করে প্রেত নামানো....এইসব বিষয়ে দুই বন্ধুর বেশকিছু বছরের অভিজ্ঞতা ছিল। এমনধারা ভূতপাগলা পাবলিকদের এইসব সরঞ্জাম সবসময় হাতের কাছেই রাখতে হয় বৈকি!

অনেকক্ষণ একাগ্র চিত্তে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে রইল অভ্র আর শুভজিৎ। এতক্ষণ পর অভ্র টের পেল....মনটা যেন আগের চেয়ে অনেকটাই শান্ত হয়েছে। বিগত এক ঘণ্টা ধরে চোখ বন্ধ করে শুধুই অন্ধকার দেখছিল। কিন্তু এবার একটু-একটু করে একটা ঝাপসা দৃশ্য চোখের সামনে ফুটে উঠছে যেন। দৃশ্যটা ক্রমশঃ স্পষ্টতর হল। দীপাবলীর এক ঝলমলে রাত, চারিদিকে অসংখ্য প্রদীপের মালা। আরে! এইটা তো ওরই বাড়ি। তবে বারান্দায় নীল শাড়ি পরিহিতা ওই মেয়েটা কে? মোহনা?

কিন্তু ও তো তিন বছর আগেই গলায় দড়ি দিয়ে........

এবার মোহনার পিছনে এক পুরুষ মূর্তির আবির্ভাব ঘটেছে। কে ওই ছেলেটা? অভ্র? হ্যাঁ, অভ্র নিজেই। দুজনের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে উত্তপ্ত কথোপকথন চলছে। সময়ের সাথে সেই আলোচনার তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়তে থাকে দুজনের গলার স্বর। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর উচ্চস্বরে ঝগড়া। শেষে অভ্র ঠাটিয়ে এক চড় কষিয়ে দেয় মোহনার গালে। পকেট থেকে একটা অ্যাসিড বাল্ব বের করে সজোরে ছুঁড়ে মারে ওর মুখের উপর। যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে মেয়েটা....মুখটা দু'হাতে ঢেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

আজ হঠাৎ পুরনো ঘটনাগুলো দেখছে কেন ধ্যানে বসে? "বাজি ফেটে মুখ পুড়ে গেছে" পুলিশের কাছে এই হাস্যকর যুক্তি দেখিয়ে এবং সঙ্গে বেশকিছু টাকাকড়ি খসিয়ে যথেষ্ট মসৃণ ভাবে কেসের ফাইলটা ক্লোজ করিয়ে দিয়েছিলেন অভ্র'র প্রতিপত্তিশালী মা। শেষমেশ নিজের সেই বিকৃত রূপের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে মোহনা আত্মহত্যা করেছিল।

মুহূর্তের জন্য মনটা আত্মগ্লানিতে ভরে গেলেও নিজেকে চটজলদি সামলে নেয় অভ্র। এতে ওর কী দোষ? করুণা করে গরীব মেয়েটার সিঁথিতে সে কোন যুগে সিঁদুর পরিয়েছিল, তাই বলে চিরকাল এই সম্পর্কের বাঁধন ঘাড়ে করে বয়ে বেড়াতে হবে নাকি? আজীবন সংসার করতে হবে ওই আনস্মার্ট গেঁয়ো ভূতটার সঙ্গে? মেয়েটা যেন এঁটুলির মতো জড়িয়ে গেছিল....মিউচ্যুয়াল ডিভোর্সের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার অফারটাও নির্দ্বিধায় অস্বীকার করে দিয়েছিল মোহনা। প্রিয়া কে বিয়ে করতে গেলে পথের কাঁটা তো সরাতেই হতো।

কিন্তু একি! মোহনা মাটি থেকে উঠে ধীরপায়ে ওর দিকে এগিয়ে আসছে কেন? উফ্....কী বীভৎস বমনোদ্রেককারী সেই বিকৃত মুখ! মোহনা এবার নিজের হাত বাড়িয়েছে। বাঁ হাতে শক্ত করে চেপে ধরেছে অভ্র'র থুতনি। কিছুতেই নিজেকে ছাড়াতে পারছে না অভ্র। জোর করে মুখটা খুলিয়ে দিল মোহনা। ওর ডান হাতে জলে ভরা একটা কাঁচের বোতল। সেইটা খুলে ঢকঢক করে পুরো জলটা ঢেলে দিল অভ্র'র গলায়।
জল....জল তো নয়!
এইটা তো....আহ্!!

গোঙানি শুনে তাড়াতাড়ি চোখ খুলল ধ্যানমগ্ন শুভজিৎ, দেখল ওর বন্ধু মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছে। গোটা দেহটা প্রচণ্ড কষ্টে ধনুকের মতো বেঁকে যাচ্ছে। মুখ দিয়ে উঠে আসছে রক্তমিশ্রিত ফেনা। ঠিক তখনই দূরে কোথাও একটা পেঁচা ডেকে উঠল কর্কশ স্বরে। রাতের অন্ধকার আরও গভীর ভাবে চেপে বসল ঘুমন্ত শহরের বুকে।

**************

- "রতন! দেখ তো কে বেল বাজাচ্ছে!"
- "দাদাভাই এসেছেন গো মা জননী।"
- "অভ্র, এসেছিস বাবা? আয় আয়, ভিতরে আয়।"

তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নেমে দরজার দিকে এগিয়ে গেলেন প্রতিভা দেবী। তেত্রিশ বছর বয়সে বিধবা হওয়ার পর থেকে নিজে হাতে সামলাচ্ছেন স্বামীর স্থাপন করা "বিশ্বাস গার্মেন্টস্", তিল-তিল করে গড়ে তুলেছেন বিশাল বড় এই বিজনেস এম্পায়ার। আজকের দিনে সারা দেশ জুড়ে বিশ্বাস গার্মেন্টসের কোটি টাকার কারবার।

- "এতক্ষণে তোর আসার সময় হল? ঘড়ি দেখেছিস?"
- "তুমি তো জানো মম, এইসব কাজে একটু সময় লাগে।"
- "তা কতগুলো ভূত ধরলি রে অভ্র?" ব্যঙ্গের সুরে ঠোঁট ওল্টালেন প্রতিভা দেবী, "যত্তসব বুজরুকি! তোর ওই বন্ধু'টারও বলিহারি। কোথায় শুভজিৎ তোকে এসব পাগলামির হাত থেকে বিরত রাখবে, উল্টে সে নিজেই তোকে ইন্ধন জোগায়।"
- "আরে ছাড়ো তো মম। তাও ভাল যে শেষে গিয়ে একটা আত্মার দেখা পেলাম। যাই, গিয়ে স্নানটা সেরে আসি।"
- "স্নান করবি এই ঠাণ্ডায়, তাও আবার এত রাতে?"
- "আর বোলো না! চার্চটার যা ছিরি....ভিতরে শুধুই মাকড়সার জাল আর শুকনো পাতার আস্তরণ। মাটিতে ধুলোবালির মধ্যেই আসন পেতে বসতে হয়েছিল। মনে হচ্ছে যেন এখনও জামা-কাপড়ে ধুলো কিচকিচ করছে।"
- "যা তবে। কিন্তু গীজারের জলটা ব্যবহার করবি বলে দিলাম। খবরদার যেন ডিসেম্বর মাসের শীতে ট্যাঙ্কের ওই কনকনে জলে স্নান করার বাহাদুরি দেখাতে যাবিনা। ততক্ষণ আমি বরঞ্চ প্রিয়া কে বলছি ডিনার রেডি করতে।"
- "ওকে মম।"

পুত্রবধূ কে রাতের খাবার গরম করার আদেশ দিয়ে প্রতিভা দেবী সবে নিজের ঘরে গিয়ে একটু বসেছেন, হঠাৎ বাথরুম থেকে অভ্র ডাক দিল।
- "মম! এদিকে এসো। মনে হচ্ছে গীজার বিগড়ে গেছে।"
দ্রুত পায়ে বাথরুমে গিয়ে দেখেন, অভ্র টাওয়েল পরে বাথটবের পাশে ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
- "কী হল? স্নান করলি না?"
- "গীজার'টা মনে হয় গেছে। এত ঠাণ্ডা জলে কি আর স্নান করা যায়?"
- "কই দেখি?"

এগিয়ে গিয়ে কল খুললেন প্রতিভা দেবী। সঙ্গে-সঙ্গে কল থেকে মোটা ধারায় বেরিয়ে আসা উষ্ণ ধূমায়িত জলে পুরো বাথটব ভরে গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই।
- "কোথায় গীজার খারাপ হল? এইতো কী সুন্দর ধোঁয়া ওঠা গরম জল পড়ছে। কিন্তু...." প্রতিভা দেবী মুখ বাঁকালেন, "জলে এমন উৎকট তীব্র গন্ধ কীসের রে?"
- "প্লিজ মম, এসব ধোঁয়া আর গন্ধের কথা এখন ছাড়ো। গীজার'টা সত্যিই বিকল হয়েছে। আগে তুমি জলে হাত চুবিয়ে দেখো, জলটা কিন্তু একফোঁটাও গরম হয়নি।"
- "স্ট্রেঞ্জ!" বলে প্রতিভা দেবী জলে হাত চোবালেন।

- "মাই গড্!!" বাথটবে হাত দেওয়া মাত্রই একটা গগনবিদারী আর্তনাদ করে ছিটকে গেলেন প্রতিভা দেবী। অভ্র'র ঠোঁটের কোণে একটুকরো বাঁকা হাসি খেলে গেল।
- "এসব কী ইয়ার্কি হচ্ছে অভ্র! জলটা....জলটা এত বেশি গরম হয়ে গেল কী করে? আহ্! হাতটা পুড়ে গেল আমার।"
অভ্র'র মুখের কুটিল হাসিটা সামান্য চওড়া হল।
- "আরে না মম, এইটা তো জল নয়। এইটা আসলে কনস্যান্ট্রেটেড সালফিউরিক অ্যাসিড। চেনা-চেনা লাগছে বুঝি এই কেমিক্যালের নামটা? আর আমিও অভ্র নই। আমি........"

প্রতিভা দেবী হতবাক চোখে তাকিয়ে দেখলেন, মুহূর্তের মধ্যেই তার ছেলের চেহারায় একরকম অলৌকিক পরিবর্তন ঘটতে আরম্ভ করেছে। অভ্র'র শরীরটা ক্রমশঃ রূপান্তরিত হয়ে উঠছে একটা মেয়েলি আকারে। একটু-একটু করে মুখ থেকে চামড়া আলগা হয়ে খসে পড়ছে। ত্বকের আবরণ সরে গিয়ে ভিতর থেকে উঁকি মারছে মাংসের গোলাপী স্তর। ডান চোখটা পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে; কালো মণিটা গলে গিয়ে ধারণ করেছে ভয়াবহ এক ঘোলাটে সাদা রং। ঠোঁটজোড়া বিশ্রী ভাবে পুড়ে কুঁকড়ে গেছে, এখন সেইখান দিয়ে দাঁতের উলঙ্গ পাটি দৃশ্যমান। বিভিন্ন জায়গায় পুড়ে গিয়ে চামড়ায় টান ধরেছে। ক্ষতস্থানগুলো থেকে দরদর করে গড়িয়ে পড়ছে কষ।

- "মোহনা....?"
- "হ্যাঁ, আমিই মোহনা। বিশ্বাস পরিবারের পুত্রবধূ। আপনার ছেলে আমার মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারলেও....এই গোটা পরিকল্পনার পিছনে নাটের গুরু তো আপনি, তাই না মা? কী সুন্দর টাকা ছড়িয়ে আমার কেসটা ধামাচাপা দিয়ে দিলেন! দীপাবলীর বাজিতে মুখ পুড়ে গেছিল, তাই না? এবার দেখুন বাজির পোড়া আর অ্যাসিডের পোড়ার মধ্যে কত পার্থক্য।"

প্রেতিনী এগিয়ে এসে চেপে ধরল প্রতিভা দেবীর হাতদুটো। পিঠে সজোরে এক ধাক্কা দিয়ে ঠেলে ফেলে দিল অ্যাসিড ভরা বাথটবের ভিতরে।
- "হেল্প! বাঁচাও!" যন্ত্রণায় ছটফট করে উঠলেন প্রতিভা দেবী, "মোহনা, আমাকে বাঁচাও প্লিজ! আর পারছি না এই জ্বালা সহ্য করতে। আমার সারা শরীর পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। কে কোথায় আছিস! রতন, আমাকে বাঁচা!"
- "কী হল মা, খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝি? মজা লাগছে না অ্যাসিডে পুড়তে? আর কাকে যেন ডাকছিলেন এখনই? ভদ্রতার মুখোশ পরা তোমাদের মতো নরপিশাচদের বাঁচাতে আজ কেউ আসবে না মা, কেউ আসবে না!"

লোহার মতো শক্ত দুটো হাত দিয়ে নিজের শ্বাশুড়ির শরীরটা অ্যাসিডের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছে মোহনা। এক চুলও এদিক-ওদিক নড়তে দিচ্ছে না। ব্যথার চোটে প্রতিভা দেবীর শরীরটা থরথর করে কাঁপছে। এক সময় কাঁপতে-কাঁপতে দেহটা শিথিল হয়ে পড়ল। অ্যাসিড ভরা বাথটবের তলানি'তেই পড়ে রইল বিজনেস টাইকুন প্রতিভা বিশ্বাসের গলিত শরীরের অবশিষ্ট অংশটুকু।

**************

একই রাতে এত বড় একটা ভি.আই.পি. পরিবারে ঘটে যাওয়া জোড়া খুনের ঘটনা পুলিশ মহকুমার ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। অনেক তদন্ত চলেছিল তারপর। সন্দেহের বশে বাড়ির বউ প্রিয়া বিশ্বাস, বৃদ্ধ চাকর রতন মণ্ডল এবং মৃতকের বন্ধু শুভজিৎ রক্ষিত কে আটক করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছিল পুলিশ। তবে প্রমাণের অভাবে তিনজনেই ছাড়া পেয়ে গেছিল। শেষমেশ অমীমাংসিত রয়ে যায় বিশ্বাস গার্মেন্টসের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী শ্রীমতী প্রতিভা বিশ্বাস ও তার একমাত্র পুত্র শ্রী অভ্রজ্যোতি বিশ্বাসের আকস্মিক মৃত্যুর রহস্য।

আজ মনে অপরিসীম শান্তি পেয়েছে মোহনা। নিজের পালকের মতো হালকা সূক্ষ্ম শরীরটা হাওয়ায় ভাসিয়ে উড়ে চলেছে রূপালী মেঘের উপর দিয়ে। এতদিনে ওর মর্ত্যধামের সব অসমাপ্ত কাজগুলো ফুরিয়েছে। মনের আনন্দে মোহনা উড়ে চলেছে নির্মল জ্যোৎস্নার দেশে, যে দেশে নেই কোনও ঘৃণা, নেই কোনও কষ্ট। নেই সুন্দর-কুৎসিত, বড়লোক-গরীব, শহুরে-গেঁয়োর ভেদাভেদ। নেই মিলনের আনন্দ, নেই বিরহের যন্ত্রণা। আছে শুধু শান্তি....চিরশান্তি।

**** সমাপ্ত ****


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror