লকডাউন (২১)
লকডাউন (২১)
একটা নতুন সকাল। ভেবেছিলাম আজকের সকাল অন্য রকম হবে লগডাউন উঠে যাবে। মানুষ চিন্তামুক্ত হবে, পৃথিবীর অসুখ সেরে যাবে কিন্তু লগডাউন চলবে। করোনায় সংক্রমণ বাড়ছে। তাই এখন মানুষের স্বার্থে মানুষকে বাড়িতেই থাকতে হবে। পড়াশুনো থেকে অফিসের কাজ সবই অনলাইনে চলছে। কিছুই থেমে নেই তবুও মানুষ অবসাদে ভুগছে। গভীর রাতে ঘুম দুচোখের পাতায় কড়া নাড়ায় না। প্রত্যেক মানুষের জীবনে দুঃশ্চিন্তা ও দীর্ঘশ্বাসের যুগলবন্দী চলছে। একটা অনিশ্চয়তা প্রত্যেকের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। মানুষ অবসাদে ভুগছে। মানুষ বিষাদে আচ্ছন্ন। ছোটদের মনেও বিষাদ ছুঁয়ে যাচ্ছে অনলাইনে পড়াশুনো চললেও তাদের ভালো লাগছে না চার - দেওয়ালের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকতে। ভালো না লাগলেও এই ভাবেই থাকতে হবে যেমন : ছোট্ট তিয়ার মা-বাবার অনলাইনে অফিসের কাজ বাড়ির কাজ সামলে তাকে গল্প শোনানোর অবকাশ হচ্ছে না তাই whatsapp এ তাঁর মিমি(মাসি) রোজ উপেন্দ্রকিশোর সমগ্র থেকে একটা করে গল্প ভয়েস ক্লিপ করে পাঠায় । সেই শুনে ছোট্ট তিয়া খুশি আবার মিমিও বেজায় খুশি। লীলা মজুমদার, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায়ের গল্প না শুনে বাঙালি শিশুর শৈশব সম্পূর্ন হয়না।কত অসম্পূর্ণ কাজ আছে সেইগুলো এবার করতে হবে। এই ভাবে অনন্তকাল চলবে না তাই আমরা অবসাদ নয় যোগাসন করি মেডিটেশন করি। না পড়া বই পড়ি, গান শুনি – নিজেদের সমৃদ্ধ করি।