লকডাউন (১৭)
লকডাউন (১৭)
আজ সকাল থেকে মন খারাপের মেঘে মনের আকাশ কালো হয়ে আছে। কোথাও কোনও ভালো খবর নেই, আশার আলো নেই। করোনায় কিছু মানুষ সুস্থ হচ্ছেন আবার আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ এখন একটাই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে মনে? করোনায় মৃত্যু হবে বেশী নাকি না খেতে পেয়ে? করোনার মোকাবিলার জন্য লকডাউন। সব মানুষ গৃহবন্দী । বহু দোকান বন্ধ। বহু ট্যাক্সি, বহু অটো বহু রিক্সা , বহু টোটো যারা দিন আনে দিন খায় , তাদের সংসার চালানই বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ব্যহত হয়েছে। এখনি বেসরকারি সংস্থার বহু মানুষ বেকার হয়ে গেছেন। যাদের চাকরি এখনো আছে তারাও প্রচণ্ড চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন । মানসিক অবসাদে মানুষ ডুবে যাচ্ছে। অদ্ভুত পরিস্থিতি । অসুস্থ মানুষ বাড়ির বাইরে ডাক্তারের কাছে
গিয়ে রুটিন চেক আপ করতে ভয় পাচ্ছেন- যদি করোনার সংক্রমণ ঘটে ? প্রত্যেক মানুষ ভয় নিয়ে বেঁচে আছেন। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎতের চিন্তা গ্রাস করছে মানুষের মনে। যারা গৃহ সহায়িকা হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করেন –তাদের মনেও ভয়। কাজ না করে কতদিন বাড়িতে বসে টাকা পাবেন ? এদিকে লক ডাউনে বাড়ির বাইরে যাবার উপায় নেই। এদের অধিকাংশের রোজগারে তাদের সংসারের খরচা চলে। বেসরকারি কোম্পানির অনেক কর্মচারী অর্ধেক মাইনে পেয়েছেন স্বভাবতই এই সব মানুষেয়া তাদের সাংসারিক খরচা কমানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। সন্তানের শিক্ষা,পরিবারের স্বাস্থ্য, খাদ্য, এই সব চাহিদা পূরণ করে সংসার খরচায় কাটছাঁট করতে গিয়ে কিছু গৃহসহায়িকা বেকার হয়ে পড়বে। কত নিরীহ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে কবে যে অন্ধকার সরে আলো ফুটবে কে জানে।