কাছিমের মাথা
কাছিমের মাথা


নদীর ওপারে যে জঙ্গল — সেখানে গ্রামবাসীরা যায় মৌচাক, জংলী জড়িবুটি, জঙ্গলের কাঠ... ছোটখাটো জন্তুর টানে। ফোনের সিগনাল, হিংস্র জীব-জন্তুর ভয়, আর 'অভয়ারণ্য'-র লুকোচুরি সামলে চলে। জঙ্গলের ভেতর একটি লুকনো হ্রদ আছে। সেদিকে কেউ যায় না — হুঁশিয়ারী। । অরণ্য-রক্ষীরাও নাকি ওদিকটা এড়িয়ে চলে। বাঘ-ভাল্লুকের ভয়ে নয়। অন্য কিছু।
বহু বছর ধরেই উপজাতিরা জঙ্গলে শিকার করে, রসদ নিয়ে যায়। কড়া আইন ছিল — হ্রদের কোনো জীবকে হত্যা করা যাবে না! জলের পোকাকেও না।
সেই হ্রদে, একবার শালুক-পাতার আড়ালে শান্ত কচ্ছপদের দেখে এক ব্যাধের শখ হল "কাছিম রেঁধে খাই"। নেশার ঘোরে নিষেধ ভুলে গেল। নিয়ে গেছিল চারটে কচ্ছপ; ছাউনিতে ফিরে বেরলো তিনটে কচ্ছপ আর একটা কালচে মালসা। যেমন মালসা নিয়ে ফকিররা ভিক্ষা করে।
কচ্ছপগুলো কেটে খেতে অসুবিধে হল না। অসুবিধে হল রাতে... যখন ব্যাধ দেখল তার লিঙ্গটা ঠিক একটা কচ্ছপের মাথার মত হয়ে গেছে! দুটো চোখ, হাঁ করা মুখ।
জঙ্গলে যাওয়ার নাম শুনলে তার হাত-পা কাঁপত। তার মেয়েছেলে চলে গেল অন্য মরদের বাসায়। দিনে সব ঠিক থাকলেও, রাত হলেই দেখত লিঙ্গটার দুটো চোখ ফুটছে, হাঁ করে খাবি খাচ্ছে কচ্ছপের মাথাটা।
অবশেষে, একদিন ওই কালচে মালসাটা নিয়ে কোথাও চলে গেল ব্যাধ। নিখোঁজ।
এখনও, কারো বউ পালালেই গ্রামের মোরলরা দেখে, রাতের বেলা সেই 'বউ-পালানো' গ্রামবাসীর লিঙ্গটা কাছিমে মাথার মত হয়ে যাচ্ছে কি না!