ঝড়
ঝড়
গাড়ির নম্বর মিলিয়ে এগিয়ে আসছে তার প্যাসেঞ্জার,চমকে ওঠে সুতনু,এ কাকে নিতে এসেছে ও এয়ারপোর্টে!সফারের পোশাক পরা সুতনু মাথার টুপিটাকে একটু বেশি সামনে ঝুঁকিয়ে নিল মুখটাকে আড়াল করতে,প্রিয়ার হাত থেকে স্ট্রলিব্যাগটা নিয়ে ডিকিতে তুলে গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়ায় সুতনু। প্রিয়া উঠলে দরজা বন্ধ করে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে সে,"ওটিপি দিন ম্যাডাম"বলে লুকিং মিরারে একঝলক দেখে নেয় তার় প্রিয়াকে।
সুতনু স্টার্ট দেয়,মাঝেমাঝে ব্যাকসিটে গা এলিয়ে বসে থাকা প্রিয়াকে লুকিং মিরারে দেখার লোভ সামলাতে পারছে না সে। হঠাৎ প্রিয়া সোজা হয়ে বসতেই দেখে লুকিং মিরারে দুটো চেনা চোখ। চারচোখে মিলন হলেও প্রিয়া কিন্তু চুপ,সুতনু নিশ্চিন্ত হল প্রিয়া চেনেনি তাকে। সঠিক ঠিকানায় গাড়ি পৌঁছালে পিছনের দরজা খুলে দিল সুতনু, প্রিয়া নেমে এগিয়ে যায়,সুতনু পিছনে স্ট্রলিটা নিয়ে। ফ্ল্যাটের চাবি খুলতেই সুতনু স্ট্রলিটা ভিতর ঢোকাতে গেলে প্রিয়া দরজা বন্ধ করেই সপাটে তাকে জড়িয়ে ধরে,"কি ভেবেছ চ
িনতে পারিনি?কোথায় পালিয়ে ছিলে আমায় ছেড়ে? জানো না আজও আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি?"সুতনু বুঝতে পারে ধরা পড়ে গেছে,বলে,"কি করব,তোমার অত ভাল বিয়ের সম্বন্ধ এল আর আমি বেকার,কি করে তোমার পথের কাঁটা হতে পারি?"
"ভাল?"ব্যঙ্গোক্তি প্রিয়ার,"একটা লম্পট,দুশ্চরিত্র,কেবল টাকাই আছে,এই তিনবছরে একদিনও আমায় ছুঁয়ে দেখেনি জানো?সে ফুলে ফুলে মধু খেয়ে বেড়ায়। আজ আমি সব সম্পর্ক চুকিয়ে চলে এলাম তাই।সেদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসতাম না,যদি তুমি পাশে থাকতে। তোমার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাধ্য হয়ে,না হলে তখন কোথায় যেতাম আমি?আজ সুতনু তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই, বাবা-মাও পরপর চলে গেলেন,এই ফ্ল্যাট এখন আমার। ঈশ্বরের ইচ্ছায় আজ আমি তোমাকে ফিরে পেলাম,তুমি আর আমায় ফেলে যেও না,আজ থেকে এই বাড়িতেই শুরু হোক তোমার আমার ভালোবাসার সংসার"। সুতনু মৃদু আপত্তি জানায়,"আমি আজ ওলার ড্রাইভার,কেমন করে তা হয়?" সুতনুকে শেষ করতে না দিয়েই প্রিয়া তার ঠোঁটের উপর ঠোঁট চেপে তাকে থামিয়ে দেয়,এরপর দুজনের শরীরজুড়ে ওঠে উথালপাতাল ঝড়।