Manasi Ganguli

Classics

4  

Manasi Ganguli

Classics

প্রাপ্তি

প্রাপ্তি

8 mins
298



প্রাপ্তি 

    আজ আমার ৫০ তম জন্মদিন। বিশাল আয়োজন হয়েছে। প্রচুর নিমন্ত্রিত। এসব ব্যবস্থা করেছে আমার ফ্যাক্টরির কর্মীরা ও ছেলে মেয়ে মিলে। ও হ্যাঁ, আমি এখন একজন সফল স্বর্ণ-ব্যবসায়ী। পড়াশুনায় বরাবরই খুব ভাল ছিলাম, খুব ভাল রেজাল্ট করে স্কুল থেকে বেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চান্স পেয়েও পয়সার অভাবে পড়তে পারিনি। কমার্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করি, ফার্স্টক্লাস পাই, তারপর ব্যাঙ্কলোন নিয়ে এমবিএ করি। ক্যাম্পাসিং-এ খুব ভাল একটা কোম্পানিতে চাকরিও পাই, ভাল প্যাকেজ, কিন্তু মাথার মধ্যে সর্বদা ঘুরপাক খেত ব্যবসা করব আর তা সোনার। মোটা টাকা মাইনে পাবার ফলে অল্পদিনেই বেশ কিছু পুঁজি তৈরি করে ফেললাম, তারপর লোন নিয়ে বাকিটা। প্রথমে ছোট করেই শুরু করেছিলাম, বাড়তে বাড়তে আজ আমি স্বর্ণ-ব্যবসায়ীদের মধ্যে পরিচিত এক নাম। আমি এখন শুধু একজন সফল স্বর্ণ-ব্যবসায়ীই নই, সফল একজন মানুষও। ফ্যাক্টরী ও দোকান মিলে ২০০ জন কর্মচারী আজ আমার কাছে কাজ করে।

আজকে আমার জন্মদিনে ব্যবসায়ীমহল পুরো নিমন্ত্রিত। আর নিমন্ত্রিত আমার আত্মীয়-স্বজন সকলে, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে। ভেতরে ভেতরে বেশ একটা আত্মতৃপ্তি অনুভব করছি আমি আজ। আত্মীয়-স্বজন সকলেই জানে আমার ব্যবসার ব্যাপারে, তবু আজ সবাই এসে নিজের চোখে দেখে যাক আমার সাফল্য। আমার গলায় মোটা মোটা তিন ছড়া সোনার হার, হাতে মোটা ব্রেসলেট, দুহাতের সবকটা আঙ্গুলে হিরে, মনি-মানিক্য ঝলমল করছে। আমার বউয়ের সর্ব অঙ্গ সোনায় মোড়া। না, দেখনদারি স্বভাব আমার কোনদিনই নয়, কিন্তু ছোট থেকে একটা জ্বালা আমায় কুরে কুরে খেয়েছে রোজ,দিনের পর দিন। আর সেই জ্বালা মেটাতে আজ এই দেখনদারি। মনে পড়েছে আমার মায়ের অপরাধীর মত মুখ করে চুপসে একা এককোণে বসে থাকা, শেষে নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে আমাদের দুইভাইকে নিয়ে না খেয়ে বেরিয়ে আসা সেই দিনের কথা।

আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি, ভাই ক্লাস থ্রি, খুবই কষ্টের সংসার ছিল আমাদের। একসময় বাবা একটা ফ্যাক্টরিতে খুবই ভাল পজিশনে চাকরি করতেন। তখন আমরাও খুব বিলাসিতায় দিন কাটাতাম। কিন্তু ফ্যাক্টরিতে ক্রমাগত লোকসান হতে থাকায় ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমরা খুব ছোট। অনেকদিন বসে থেকে জমানো টাকা ধ্বংস করে যখন আর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না, বাবা তখন যেমনতেমন একটা কাজ খুঁজছিলেন কোনোরকমে দিনাতিপাত করার জন্য। মায়ের তেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না যা দিয়ে বাবার পাশে দাঁড়াবেন। সেইসময় জীবন যুদ্ধ কাকে বলে দেখেছি আমরা। আরামে থাকতে থাকতে হঠাৎ একদিন আমাদের অভাবের মুখ দেখতে হল। আগে কোয়ার্টারে থাকতাম। বাবা একটা জমি-বাড়ির স্বপ্ন দেখছিলেন কেবল, সে সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল হঠাৎ আসা এই ঝড়ে। খুব সামান্য ভাড়ায় এক কামরার একটা ঘর, একটুকরো বারান্দা, উঠোন পেরিয়ে টালির রান্নাঘর আর বাগানের একপ্রান্তে এক বাথরুম পায়খানার ব্যবস্থা হল। কিন্তু সেই ভাড়াটুকু দিতে গেলেও তো কিছু কাজের দরকার। পরিচিত এক ব্যক্তি একটা দোকানের খাতা লেখার কাজের কথা বললে নিরুপায় হয়ে বাবা তাই মেনে নিলেন। সেসময় দেখেছি আমরা মায়ের লড়াই। ঘরে বসে শাড়ির ফলস পার বসানো, বাড়িওলার অনুমতি নিয়ে তাদের বাগানে সবজি ফলানো, যেমন করে হোক আমাদের দুই ভাইয়ের মুখে দুটো অন্ন তুলে দিতে আর আমাদের লেখাপড়াটা যাতে বন্ধ না হয় তার বন্দোবস্ত করতে। বুঝতে পারতাম কতদিন মা অজুহাত দেখিয়ে না খেয়ে থাকতেন। হয়তো আমাদের পরের দিনের সংস্থান রেখে নিজে উপোস দিতেন। তখন ছোট থাকায় মা যা বলতেন মেনে নিতাম। কোনোদিন বলতেন, "খিদে নেই", কোনোদিন "পেট ব্যাথা", এভাবেই চলছিল আমাদের অভাবের সংসার। এর মধ্যে আমার কাকার ছেলের পাঁচবছরের জন্মদিনে আমাদের নিমন্ত্রণ হল। সেখানে থাকবেন আরো অনেক নিমন্ত্রিত ব্যক্তি, ঘটা করে জন্মদিন পালন হবে। মা খুব ইতস্তত করছিলেন যেতে, কী-ই বা দেবেন উপহার! বাবা কোথাও যেতেন না। আত্মীয়-স্বজন সবাই তখন জানে আমাদের অবস্থা, তবু নিজেদের মান রাখতে ভদ্রস্থ কিছু তো একটা দিতে হবে। মা নিজের হাতের সোনার চুড়ি ভেঙে একটা আংটি গড়িয়ে আনলেন স্যাকরার দোকান থেকে। এত অভাবেও মায়ের সোনায় কোনেদিন হাত পড়েনি, আমাদের পড়াশুনা যাতে কোনোভাবে বন্ধ না হয় তারজন্য সেগুলো যক্ষের ধনের মত মা আগলে রাখতেন। এই সামাজিকতা রক্ষা করতে গিয়ে তাতে হাত পড়ল। তবু মায়ের মুখে সেদিন দেখেছিলাম হাসি, আর চোখে জল আমাদের জন্য রাখা পুঁজিতে হাত পড়ার জন্য। সবার সামনে আর ছোট হতে হবে না, হাসিটুকু সেইজন্য। জন্মদিনের সেই উৎসবে গিয়ে আলো ঝলমলে বাড়ির মধ্যে আমার নিজেকে কেমন বেমানান লাগতে লাগল। ওদের কেমন দামি পোশাক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, আর আমাদের পোশাক যেন ম্রিয়মাণ সেখানে। মায়ের শাড়িটাও যেন অন্যদের তুলনায় বড্ড বেশি সাধারণ মনে হচ্ছিল আমার। তখন আমার বারো বছর বয়স, একটু বুঝতে শিখেছি। তফাতটা ভালই করতে পারছিলাম। একটু চুপসেই ছিলাম সেইজন্য। তাছাড়া কাকার বড়লোক শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসেছেন একগাদা তত্ত্ব সাজিয়ে তাদের আদরের ভাগনার জন্য।

কত উপহার আসছে, ঘর ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। মা আংটিটা কাকিমার হাতে দিতে কাকিমা একঘর লোকের সামনে বলে উঠলেন, "এসবের কি দরকার ছিল দিদি? তোমাদের কী এখন সেই অবস্থা আছে? মিছিমিছি কতগুলো টাকা খরচ করলে বল তো"। মায়ের মুখটায় নিমেষে অন্ধকার নেমে এল। এমনিতে অভাবে দিন কাটাতে কাটাতে আমাদের চেহারায়ও তখন একটা দীন-দরিদ্র ছাপ পড়ে গিয়েছিল। দেখলে যে কেউই তা বুঝতে পারার কথা। তবু কাকীমার সবার সামনে ওইভাবে বলা মোটেই ঠিক হয়নি। ওদিকে সবাই হৈ চৈ করছিল, দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। কতদিন পর এরকম একটা জমজমাট উৎসব বাড়িতে গিয়ে ভালোই লাগছিল কিন্তু হঠাৎ গোল বাধল কাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে আনা সোনার চেনটা খুঁজে না পাওয়ায়। তত্ত্বের মধ্যে ছিল সেটা। মামারা কাকার ছেলেকে সেটা পরানোর জন্য বার করতে গিয়ে আর খুঁজে পান না। চারদিক তন্ন তন্ন করে খুঁজে না পেয়ে তাদের সন্দেহের তীর গিয়ে পড়ল আমার ওপরে। নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল সোনার আংটি উপহার দিয়ে এখন সামাল দেবার জন্য সোনার চেনটা নাকি আমি চুরি করেছি। এমনভাবে তারা বলাবলি করতে লাগল তা আমার মায়ের কানেও পৌঁছাল। আমরা কোনো কিছু না করেও অপরাধী হয়ে গেলাম নিমেষে। আর আমি তো চোর হয়েই গেলাম। শেষে কাকার শালা আমায় টেনে নিয়ে গিয়ে সার্চও করলেন জামা-প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে। না পেয়ে বললেন, "কোথাও লুকিয়ে রেখেছে, যাবার সময় নিয়ে যাবে"।সে এক বিচ্ছিরি পরিবেশ। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে তখন, আর আমি অপরাধ না করেও কুঁকড়ে গেছি তখন। কিন্তু ঈশ্বর সহায়। কাকা তখন সেখানে ছিলেন না, খাওয়া-দাওয়ার দিকে দেখাশোনা করছিলেন। ভেতরে এলে সব শুনলেন তিনি, আর বললেন, "ওটা তো আমার কাছে। সোনার জিনিস তত্ত্বের সঙ্গে সাজিয়ে রাখা দেখে আমি সেটা যত্ন করে আলমারিতে তুলে রেখে দিলাম তো। আমার ভুল হয়েছে কাউকে বলা হয়নি। এদিকওদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে ভুলে গেছি কিন্তু তার জন্য যে নিমেষে এতকান্ড ঘটে যাবে কে জানত?" আমার দিকে আঙুল তোলায় কাকা বিরক্ত হলেন। আমার কাছে এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, "ওদের ভুল হয়ে গেছে, কিছু মনে করিস না"। কাকা আমাকে বরাবরই ভালোবাসতেন। কাকার যখন বিয়ে হয়নি আমায় কাকা কত বেড়াতে নিয়ে যেতেন আর ছোট থেকেই আমি পড়াশোনায় খুব ভাল হওয়ায় কাকার আমার প্রতি একটা দুর্বলতা ছিলই। এই ব্যাপারটায় কাকা তার শ্যালকদের প্রতি, শ্বশুরবাড়ির প্রতি একটু বিরূপ হলেন। মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন কিন্তু নিজের ছেলের জন্মদিন, তাই এই নিয়ে আর কিছু হৈচৈ করলেন না। পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় তাই হাঁকডাক করে সবাইকে খেতে নিয়ে যেতে লাগলেন। মীমাংসা যখন হয়ে গেল আমি নিইনি মা তখন সবার অলক্ষ্যে আমাদের দুই ভাইকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন সেই উৎসব বাড়ি থেকে। খুব খিদে পেয়েছে তখন। বাড়ি ফেরার পথে মা খানিকটা মুড়ি কিনে নিয়ে এলেন। সেই মুড়ি জল দিয়ে ভিজিয়ে একটু চিনি দিয়ে আমাদের খেতে দিলেন আর নিজে চোখের জল মুছতে মুছতে না খেয়ে শুয়ে পড়লেন। বাবাকে আর এসব কিছু বললেন না। এমনিতেই চাকরিটা চলে যাবার পর থেকেই বাবা খুব কম কথা বলতেন। হয়তো তিনি কষ্ট পেতেন আমাদের ঠিকমতো ভরণপোষণ করতে পারছেন না ভেবে। তাঁর মধ্যে হয়তো একটা অপরাধবোধ কাজ করত। বাবা বেশিদিন বাঁচেননি। আমি হায়ার সেকেন্ডারি পাস করে কলেজে ভর্তি হবার পরপরই বাবা একদিন কাজ থেকে ফিরে বুক চেপে ধরে শুয়ে পড়লেন আর উঠলেন না, চোখও খুললেন না। একটা ডাক্তার ডাকারও সময় দেননি। হয়তো অসুবিধা কিছু ছিল শরীরে, ডাক্তার দেখিয়ে পয়সা খরচ করার সাধ্য ছিল না বলে কাউকে কিছু বলেননি। এরপর লড়াই আরও কঠিন হল। আমি কলেজের সময়টুকু বাদে সারাদিন টিউশন করতে লাগলাম। আমাদের কষ্ট দেখে বাড়িওয়ালা ভাড়া নেওয়া বন্ধ করে দিলেন। বললেন, "বাবু যখন চাকরি পাবে তখন ভাড়া দিও"। তাঁদের কোনও সন্তানাদি ছিল না, আমাকে ওঁরা নিজের ছেলের মতই ভালবাসতেন। তবু কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা তাঁদের জন্য অনেক করতেন। বাড়িওয়ালি জেঠিমার শরীর খারাপ হলে মা ওঁদের রান্না করে দিতেন, কাজের লোক না এলে ওঁদের ঘর মোছা, বাসন মাজা করে দিতেন, অসুস্থ হলে সেবা করতেন। ছোট থেকে দেখেছি মা আধপেটা খেয়ে থেকেছেন। কোন মন্ত্রবলে মা এত পরিশ্রম করতে পারতেন জানি না। মায়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। মা বুক পেতে আমাদের আগলে রেখেছিলেন বলেই তো লেখাপড়াটুকু শিখতে পেরেছি। মনে মনে সব সময় প্রতিজ্ঞা করেছি মাকে তাঁর অপমানের জ্বালা থেকে মুক্তি দেব। নিজের অপমান, অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পাবার আশায় দিন গুনেছি। আজ সেই দিন এসেছে। আমি তাই আজ সমস্ত আত্মীয়-স্বজন, নিকট-দূর সকলকে নিমন্ত্রণ করেছি। আমার কাকা আজও বেঁচে আছেন। গুরুজনদের আশীর্বাদ আমার পাথেয়। কাকা এসে মাকে বলেছেন, "বৌদি বাবু আমাদের দেখিয়ে দিল। কোথা থেকে কোথায় এসে পৌঁছেছে আজ ও। কত কষ্ট করে পড়াশোনা করে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় অত বড় চাকরি পেল। স্বইচ্ছায় সে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করল। আজ ব্যবসায় ও যে কতটা সফল তা তো বোঝাই যায়। এক ডাকে ওকে চেনে সবাই। তুমি রত্নগর্ভা বৌদি।" মা বলেন, "সবই তোমাদের পাঁচজনের আর ঈশ্বরের আশীর্বাদ"। আমি শুনছি, দেখছি আমার মায়ের সেদিনের অপমানের ওপর প্রলেপ পড়ছে আর আমার জ্বালা জুড়োচ্ছে। কাকীমা এলেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে, মাকে প্রণাম করলেন। সেদিন বোধহয় আমার অভাবী দীন-দরিদ্র মা প্রণামের যোগ্য ছিলেন না। এক এক করে দেখলাম আমার কাকার শ্যালকরা, তাঁদের স্ত্রীরা সকলে এলেন হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে। আমার নিমন্ত্রণের কার্ডে লেখাই ছিল, "কোনও উপহার আনলে গ্রহণ করতে আমরা অপারগ। ভালোবেসে একটু ফুলের সুরভি ছড়াতে পারেন কেবল"। তাই ক্রমশঃ ফুলের পাহাড় জমে উঠছে ঘরে। কাকার শ্যালকরা সঙ্কোচ কাটিয়ে আমার মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন, আমতা আমতা করে বললেন, "শুভ জন্মদিন, ভালো থেকো"। আর কিছু তাঁদের বলার ছিল না। আমি আমার মায়ের দেওয়া শিক্ষার অবমাননা করিনি সেদিন, গুরুজনদের সকলকে প্রণাম করে তাদের যথেষ্ট যত্নআত্তি করেছি সেদিন। আর কিছু চাইনি আমি। আমি সুখী, আমি খুশি।

সব মিটে গেলে আমার মা বলেছিলেন, "বাবু, তুই যে সব ভুলে সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলি এতে আমি খুব খুশি"। আমি মাকে বললাম, "আজ তোমায় খুশিটুকু দিতেই এত আয়োজন। যে তোমাকে একদিন অপরাধ না করেও সবার সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল, সবার সামনে তাকে আমি আজ রানীর মত করে উপস্থাপন করলাম। তোমায় সবাই সম্মান দিল, আমার ৫০ তম জন্মদিনে এটাই আমার সবথেকে বড় প্রাপ্তি।"


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics