ইচ্ছে পূরণ
ইচ্ছে পূরণ
ইচ্ছেধরী নদীর ধারে গজিয়ে ওঠা একটা বাঁশ ঝাড়ে দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসে লাল কাপড় বাঁধে মনস্কামনা পূর্ণ হবে বলে।
গৈরী ও শিবু ঘর ছেড়েছিল প্রেমের টানে, দুজনে বিয়ে করবে বলে। কিন্তু,বাড়ির লোকের তাড়া খেয়ে চলে আসে এক অচেনা নদীর তীরে। দুস্কৃতিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঝাঁপ দেয় নদীর জলে।
তিনদিন পরে তারা ওঠে নদীর এই ঘাটে যেখানে আছে অলৌকিক বাঁশের ঝাড়। এখানে আসা মানুষ জন তাদের তুলে বাঁশ ঝাড়ের কাছে নামিয়ে সেবা শুশ্রূষা করে। গৈরী ও শিবু সুস্থ হয়ে বুঝতে পারে তারা নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে এসে পৌঁছে গেছে।
ওখানে থাকা মানুষ জন বলতে থাকে লক্ষীন্দর ও বেহুলা আবার জন্ম নিয়েছে।
চাঁদ সওদাগরের ছেলে লক্ষীন্দরকে বাসর ঘরে সাপে কামড়ে ছিল। মৃত স্বামীকে নিয়ে কলার ভেলায় ভাসতে ভাসতে বেহুলা এই ঘাটে যখন পৌঁছায় তখন তার স্বামী জীবিত হয়ে ওঠে।
কলার ভেলায় থাকা বাঁশ থেকে এই বাঁশ ঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস। এই ঝাড়ের বাঁশ গুলো রাতে সব সাপ হয়ে যায়।
এই ঝাড় থেকে যারা বাঁশ কাটতে গিয়েছে তাদের হয় মৃত্যু হয়েছে, না হয় অন্য কোন চরম পরিণতি হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন সেই বিশ্বাস থেকে শিবু ও গৈরীর ওখানে থাকার ব্যবস্থা করে। সব মানুষজন ফিরে গেলে গোধূলি লগনে বাঁশ ঝাড় সাক্ষী রেখে শিবু ও গৈরী বিয়ে করে।
