STORYMIRROR

Nikhil Mitra Thakur

Tragedy

4  

Nikhil Mitra Thakur

Tragedy

হৃদয়ের আদালতে জয় হলো কি

হৃদয়ের আদালতে জয় হলো কি

1 min
400

 
 আজ চৈত্র মাসের শেষ দিন। রাত শেষ হলেই বছর শেষ হবে। সকাল থেকে নির্জলা উপোষ করে বাড়ির সামনে শিব মন্দিরে গিয়ে রুনু প্রার্থনা করে আগামী বছরে যেন সবার ভাল হয়। স্বভাব বশতঃ নিজের সুখের প্রার্থনা করতে গিয়েও রুনু তা করতে পারলো না। সবার মঙ্গল কামনায় ওর ব্রত হয়ে রইলো। কয়েকটা বছর আদালত আর ঘর করে ওর কেটে গেল। এই বছরের শুরু থেকে মাঝে মাঝেই নাওয়া খাওয়া ভুলে ওকে এখান ওখান ছোটাছুটি করতে হয়েছে। আদালতের রায়ে ছেলের দায়িত্ব পাবে কি না সেই দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কেটেছে। জীবনে যাকে সবচেয়ে মূল্যবান জায়গা দিতে চেয়েছিল তাকেই জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। ডিভোর্সের মামলায় ওর জয় হলো ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ের আদালতে কি আদৌ জিত হলো? প্রেম,ভালোবাসা,বিয়ে,সংসার এসব যা কিছু একজন স্বাভাবিক মানুষের জীবনে জৈব সারের মতো কাজ করে সেগুলো এখন ওর জীবনে নরকে পৌঁছানোর সিঁড়ি। তাই রুনুর বুকের মাঝে শরতের মেঘে ঢাকা সূর্যের মতো সুখের আশা উঁকি মেরে লুকিয়ে যাচ্ছে। আদালতের রায়ে ছেলের পরিচর্যার দায় দায়িত্ব রুনু পেয়েছে। তাই রুনুর ঘাড়েই কৈফিয়ত দেওয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য এসে পড়েছে। ওর জীবনে অত্যাচারহীন,অপমানহীন,স্বাধীনতার স্বাদ আসবে। কিন্তু,বার্থ সার্টিফিকেট থেকে স্কুলে ভর্তি পর্যন্ত সর্বত্র পিতৃপরিচয় হিসাবে সমরজিৎ এর নাম থাকবে। ছেলে বড় হয়ে বিচ্ছেদের কারণ জিজ্ঞেস করলে কি উত্তর দেবে ও ? চক্রাকারে কি জীবনে আবার কালবৈশাখী আসবে?


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy