অব্যক্ত বিদ্রোহ
অব্যক্ত বিদ্রোহ
চতুর্দিকে কদর্যতার খন্ড খন্ড ধ্বংসস্তূপ সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভের হাসি হাসছে ।চোখের তলায় শুকিয়ে যাওয়া জলের কালো ছোপ ছোপ দাগ। কপোল গড়িয়ে নেমে যাওয়া জলের ধারার ধূসর কালো লম্বা টান। ভেতরে আগে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলতো এখন দাউদাউ করে জ্বলছে। হতে পারে ভষ্মিভূত হওয়ার আগে এই আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে দিয়ে যাবে। পিঠ পোড়ে এ কথা বলতেও অনেক কষ্ট, ছোট্ট করে বল পি পু। ঘুম অতি প্রিয়। জাগার ইচ্ছেই নেই যখন ঘুমোও ভালো করে আর উঠতে হবে না। সেখানে গিয়ে কি বলবে যাবার আগে কথা গুলো গুছিয়ে রেখো, না হলে ধরা পড়ে যাবে যে। তোমাদের বুকের ভিতরে কোন বাঘ হ্যাঁচর প্যাঁচর করে না। গর্জন করে ওঠার মুরোদে কুলোয় না। ভীরুর দল কোথাকার। তোমরা কুলাঙ্গার। ঘুমোও ভালো করে তোমাদের দিয়ে কোন কাজ নেই। আমি উলঙ্গ শিশু হয়ে থাকতে চাই না তাই কাপড় খুঁজি।
তোমরা গায়ের কাপড় ফেলে দিচ্ছ আশ্চর্য! ধ্বংসের উৎসব এর মাঝেও কেউ এসে আমায় এক টুকরো কাপড়ের চেলি দিয়ে ঢেকে দিয়ে যায়। তার জন্য গর্ব হয়
তাকে আমি শতবার প্রণাম করি। তোমরা তো তাকে দেখতেই পাও না, তোমাদের চোখ বন্ধ তাই চোখে পড়ে না।
কোন কারণে দেখে ফেললেও মুখ টিপে চোখে ইশারা করে তোমরা মিট মিট করে হাসো। তোমাদের দেখে আমার ও হাসি পায়, হাহাহাহাহা। মনে মনে আমি অট্টহাসি হাসি হাহাহাহাহা।