মনুষ্যত্বের পথ চেয়ে
মনুষ্যত্বের পথ চেয়ে
সকাল সকালই রৌদ্র বাবুর রাগ চরমে আজ। গ্রীষ্মের দাবদাহে সকাল দশটাতেই দুপুর দুটোর ঝাঁঝালো আমেজ। রাজধানীর রাস্তায় দৈনন্দিন ব্যস্ততায় যে যার কাজে ছুটছে। শহুরে ব্যস্ত রাস্তার এক ধারে পড়ে রয়েছে ট্রাক -পিষ্ট জবজবে রক্তে মাখা মুমূর্ষ এক পিতার দেহ। যন্ত্রণায় বুজে আসা চোখের পাতা আলতো করে খুলে তিনি যেন কারো এগিয়ে আসার পথ দেখছেন। হতে পারে মানবিকতার অথবা মনুষ্যত্বের। মিনিট গড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায় কারো দেখা মেলে না। শুধু চোখে ভেসে উঠছে বাড়ি থেকে আসার সময় ছোট্ট খোকার নিষ্পাপ চেহারাটি, মাথার মধ্যে ঘুরছে তার আবদার ভরা মুখের কথা- "বা-ব্বা-আ' আমাল দন্য
এত্তা ভো গা-আ-আ-লি আমবে? ভেতর থেকে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসে। আরে এইতো এইতো একটি অটো গাড়ি থামলো। ড্রাইভারটি নেমে এলো।
চতুর্দিকটা ভালো করে তাকিয়ে নিয়ে আধমরা মুমূর্ষ
লোকটির কাছাকাছি পড়ে থাকা হ্যান্ড সেটটি তুলে নিল। খোকার বাবার কানে অটোরিক্সাটি চলে যাওয়ার শব্দ কানে এলো।