Sharmistha Mukherjee

Horror Crime Thriller

3  

Sharmistha Mukherjee

Horror Crime Thriller

আরশির আতঙ্ক 🧟‍♀️ পর্ব ২

আরশির আতঙ্ক 🧟‍♀️ পর্ব ২

19 mins
259



যাইহোক দুজনেই মনের জোরে সাহস করে রান্না শেষ করে সব খাবার নিয়ে খাবার টেবিলে নিয়ে রাখলো । তবে এবার বাকি দরকারী জিনিস আনার জন্য দুজনেই একসাথে রান্নাঘরে গেল । আরশি আসলে তারাকে একা যেতে বলতে পারছিল না । দুজনেই খেতে বসলো , হঠাৎ জিৎ এর ফোন এলো । আরশি খেতে খেতে ফোন ধরে বললো , " হ্যালো জিৎ , বলো ? আজকে সারাদিন কেমন কাটলো ? " অপরদিক থেকে জিৎ উত্তর দিলো , " ধূর! রোজ যেমন কাটে । কিন্তু তোমাকে খুব খুব মিস করছি সোনা । ইচ্ছা করলেও তোমার কাছে যেতে পারবো , সেই কতদূর গিয়ে দিব্যি আছো । আর এখানে আমি একদম একা । " আরশি বললো, " মন খারাপ কোরো না, আমি খুব তাড়াতাড়ি কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে যাবো । তখন কিন্তু তোমাকেও ছুটি নিতে হবে মশাই , কোনো বাহানা শুনবো না । " আরও অনেক কথা হোলো ওদের দুজনের তারপর আরশি ফোনটা কেটে তারার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল । তারা তখন করুণ দৃষ্টিতে আরশির দিকে তাকিয়ে আছে । আরশি বললো , " কিরে! কি হোলো , ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো ? কিছু বলবি ? " তারা মুখটা কাচুমাচু করে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো , " দিদি তুমি ছুটি নিয়ে কয়েকদিনের জন্য চলে গেলে আমি কোথায় থাকবো ? এখানে একা থাকতেও পারবো না আবার বাড়িতেও যেতে পারবো না । তাহলে আমার কি হবে ? " তারার কথা শুনে আরশি হেসে উঠে বললো , " আরে পাগলি, তোকে আমার সাথে নিয়ে যাবো । তোকে কি আমি একা রেখে যেতে পারি ? " আরশির কথা শুনে তারা আচমকা আরশিকে জড়িয়ে ধরে বললো , " সত্যি দিদি তোমার মতো মানুষ হয় না । আমি সারাজীবন তোমার কাছে থাকবো । আচ্ছা দিদি ঐ জিৎ দাদা কি তোমার ...... " । তারার কথা শেষ হবার আগেই আরশি বললো, " হ্যাঁ, ওর নাম তৃষানজিৎ । আর এক বছর পর আমরা বিয়ে করবো । " তারা বললো , " তার মানে সামনের বছর ? " আরশি বললো , " না তার পরের বছর , মানে এখনও দুবছর । " ওদের দুজনের মধ্যে এই কথা চলছে এমন সময় হঠাৎ বাথরুমে প্রচন্ড জোরে জল পড়ার শব্দ শুনে দুজনেই অবাক হয়ে যায় । তারা বললো , " কি হোলো বলোতো ? এতোক্ষণ তো জল পড়ার শব্দ ছিল না । " আরশি বললো , " সেটাই তো ভাবছি ! কি হচ্ছে কিছুই তো বুঝতে পারছি না । থাক জল পড়ুক , আগে চুপ করে খাওয়া শেষ কর । " এই বলে আরশি খেতে শুরু 

করলো । তারাও শুরু করলো খাওয়া কিন্তু দুজনের মনেই তখন ভীষণ ভয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে । খাওয়া শেষ করে দুজনে একসাথে গেল বাথরুমের দিকে , ভয়ে ভয়ে দরজা খুলে দুজনে একসাথেই ঢুকে

পড়লো । বাথরুমে ঢুকে দুজনেই অবাক সারা বাথরুম জলে থৈথৈ করছে অথচ কোনো কল খোলা নেই । তারা এদিকে ওদিকে তাকাতেই হঠাৎ চীৎকার করে ওঠে, 

" দিদি " । আরশি বললো , " কি হোলো ? চীৎকার করলি কেনো ? " তারা তখন বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে বেসিনের উপরের আরশির ( আয়না ) দিকে । 

তারাকে বিস্ফারিত চোখে বেসিনের উপরের আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরশিও সেদিকে তাকাতেই ভয়ে কাঁপতে শুরু করে । আয়নার গায়ে তখন রক্ত দিয়ে লেখা " I want revenge " । তারা লেখাপড়া জানে না তাই কি লেখা আছে বুঝতে না পেরে ভয়ে ভয়ে আরশিকে বললো, " ও দিদি , ওটা কি লেখা আছে গো ? ইস্ কেনো যে লেখাপড়া শিখলাম না ! শিখলে নিজেই বুঝতে পারতাম । ও দিদি , বলোনা কি লেখা আছে ? " আরশি তারার দিকে না তাকিয়েই বললো, " আমি প্রতিশোধ নিতে চাই " । তারা অতো ভয়ের মধ্যেও আরশিকে একটু ধাক্কা দিয়ে বলে , " ও দিদি, কিসব বলছো ! আমি আবার কি করলাম ? " আরশি হকচকিয়ে উঠে বললো, " আরে ধুর ! ওখানে লেখা আমি প্রতিশোধ নিতে চাই । কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না এটা কি হচ্ছে ? কেনইবা হচ্ছে ? কে করছে এইসব ? আচ্ছা তারা কেউ ইচ্ছা করে এখান থেকে আমাদের তাড়ানোর জন্য কিছু করছে নাতো ? নয়তো আমি এই বাড়িতে কেনো এই শহরেই একেবারে নতুন , তাহলে আমার সাথে কেন ? " এই বলে চুপ করে গেল । তারা আবার বেসিনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো , " দিদি ঐ দ্যাখো লেখাটা নিজে থেকেই মুছে গেছে । দ্যাখো , দ্যাখো বাথরুমে একফোঁটা জল পড়ে নেই । পুরো বাথরুম শুকিয়ে গেছে । কি যে হচ্ছে কিচ্ছু বুঝতে পারছি না । " আরশি হতাশ হয়ে বললো , " চল গিয়ে শুয়ে পড়ি । শোন তারা আজকে তুই সোফায় না শুয়ে আমার সাথে বিছানায় শুয়ে পড়বি । তোকে একা আলাদা সোফায় শুতে হবে না । " তারা একটু ইতস্ততঃ করে বললো , " কিন্তু দিদি আমি তোমার বিছানায় শোবো তোমার অসুবিধা হবে নাতো ? " আরশি বললো , " কিসের অসুবিধা ? আমিতো নিজেই বলছি আমার সাথে এক বিছানায় শুতে । " তারা মুখে কিছু বললো না শুধু বাঁদিকে একবার মাথা কাত করে সম্মতি জানালো । দুজনেই একসাথে বেডরুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো । দুজনেই শুয়ে রইলো ঠিকই কিন্তু কারো চোখে ঘুম নেই । যাইহোক কোনোরকমে আধো ঘুমে রাত কেটে সকাল হয়ে গেল । কিন্তু দুজনেই এতো ভীতসন্ত্রস্ত যে কফি করার জন্য রান্নাঘরে এমনকি ঘুম থেকে উঠে প্রাত্যহিক কর্মের জন্য বাথরুমে পর্যন্ত যাওয়ার সাহস নেই । হঠাৎ আরশির মাথায় একরাশ চিন্তা ভীড় করে আসলো , " আজকে আমি অফিস চলে গেলে তারা এখানে একা থাকবে কি করে ! "

তারাকে একা ফেলে রেখে আরশি কি করে অফিসে যাবে এই নিয়ে চিন্তা করছে তখন তারা বললো , " কি হয়েছে দিদি ? কি ভাবছো ? " আরশি বললো , " ভাবছি তোকে একা রেখে অফিস যাবো কি করে ? " তারা বললো , " ওহ! এই নিয়ে ভাবছো ? আরে কিছু হবে না তুমি যাও । আমি ঠিক থাকবো , কোনো অসুবিধা হলে ফোন

 করবো । তোমার ফোন নম্বরটা দিয়ে

 যেও । " এই বলে তারা মনের ভয় চেপে রেখে সোজা চলে গেল রান্নাঘরের দিকে । যেতে যেতে বললো , " দিদি তুমি স্নান করে তৈরী হয়ে নাও । এখনো তো দেরী আছে , ততোক্ষণে আমি রান্না আর তোমার টিফিন করে নেবো । এখনি কফি আনছি । " আরশি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লো কিন্তু বাথরুমের দিকে যেতে গিয়ে আবার ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো । মিনিট খানেক দাঁড়িয়ে তারপর মনে মনে বললো, " না, যাই হোক আমি কিছুতেই ভয় পাবো না । বাথরুমের আয়নার দিকে তাকাবোই না । না ভয়ের কিছু নেই " ভাবতে ভাবতে বাথরুমে ঢুকে গেল । কোনোরকমে ব্রাশ করে মুখ ধুয়েই বেরিয়ে এলো বাথরুম থেকে । সোফায় বসে মোবাইলটা খুলে দ্যাখে রাত দুটোর সময় জিৎ এর চার - পাঁচটি মিসডকল । " এতো রাতে ফোন করেছিল ? কিছু হয়নি তো " ভেবে জিৎকে ফোন করলো । জিৎ তখনও ঘুমোচ্ছে । দু - তিন ফোন বেজে কেটে

 যায় । চতুর্থ বার ফোন ধরে জিৎ ।

 " ঘুমজড়ানো কন্ঠে বলে , " হ্যালো, কে ? "

অপরপ্রান্ত থেকে আরশি বলে , " আরে আমি আরশি " । জিৎ বললো , " হুম, বলো ? " আরশি বললো , " তুমি কাল রাত দুটোর সময় চার- পাঁচবার ফোন করেছিলে ? আসলে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই ..... " । আরশির কথা শেষ না হতেই জিৎ বললো, " আরে আরে , wait a minute । আমি ফোন করেছি ? আমিতো কাল রাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । আমিতো ফোন করিনি । " আরশি বললো , " কেনো মজা করছো জিৎ ? তোমার নম্বর থেকে পাঁচ পাঁচটা মিসডকল এসেছে আর তুমি বলছো ফোন করোনি ? Strange !! " জিৎ বললো , " আমি সত্যিই ফোন করিনি । আরশি কি ব্যাপার বলোতো ? কিছু হয়েছে ? তুমি ঠিক আছোতো ? " আরশি বললো , " না না কিছু হয়নি তো । আমি একদম ঠিক আছি । এই তো আরেকটু পড়ে অফিস যাবো । এবার আপনিও উঠে পড়ুন মশাই , অফিসে যেতে হবে তো । " এই বলে আর কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দেয় । ততোক্ষণে তারা কফি নিয়ে চলে আসে । কফি খেতে খেতে ফোনের ব্যাপারটা তারাকে জানায় । তারপর দুজনেই নির্বাক । তারা বললো , " কি যে হচ্ছে কিছু বুঝতেই পারছি না । দিদি তুমি একটা কাজ করো, ঐ যে কি যেন নাম লোকটার ! আরে যে আমাকে এখানে এনে দিল , কি যেন নাম ? " আরশি বললো ,

 " মিঃ রবার্ট " ? তারা বললো , " হ্যাঁ, হ্যাঁ , তুমি ওনাকে সব কিছু জানাও । উনিতো তোমাকে এই ফ্ল্যাট ঠিক করে দিয়েছে । দিদি তার মানে সেদিন মিসেস কর আমাদের একথাই বলতে গিয়েও বললেন না । " আরশি বললো , " হুম, ঠিক বলেছিস । রবার্টের সাথে কথা বলতে হবে , কিন্তু আর কয়েকদিন দেখি কি হয় । আর মিসেস করের সাথেও কথা বলতে হবে । " তারা বললো , " আচ্ছা ঠিক আছে , এখন যাও গিয়ে স্নান করে আসো । অফিস যেতে হবে না নাকি ? " আরশি বললো, " জানিস তারা আমি যেদিন প্রথম বাথরুমটা দেখেছিলাম সেদিন যেন আনন্দে প্রায় পাগল হয়ে গেছিলাম । এতো সুন্দর , কিন্তু এখন বাথরুমে ঢুকতেই খুব ভয় করে । তারা বলছি তুই একবার আমার সাথে বাথরুমে চল " । তারা বললো , " সেকি তুমি স্নান করবে আর আমি দাঁড়িয়ে থাকবো ? " আরশি বললো , " না না , একবার বাথরুমে ঢোকার আগে ভালো করে দেখে নেব । তুই থাকলে একটু সাহস পাবো । " তারা বললো , " আচ্ছা চলো । " 

আরশি তারাকে নিয়ে খুব সন্তপর্নে বাথরুমের দরজা খুলে এদিকে ওদিকে উঁকি দিয়ে দেখতে লাগলো । তারপর তারার হাতে একটু চাপ দিয়ে বললো , " না রে তারা, সব ঠিক আছে । আচ্ছা তুই দরজার বাইরে দাঁড়া, আমি তাড়াতাড়ি স্নান করে বেরিয়ে আসবো " এই বলে আরশি স্নান করতে ঢুকে গেল । যেই বাথরুমে বাথটাবের মধ্যে নিশ্চিতে শরীর এলিয়ে দেবে ভেবে একসময় উৎফুল্ল ছিল , আজ সে কোনোরকমে স্নান সেরেই ছুটে বেরিয়ে আসলো । বাথরুম থেকে বেরিয়ে বেশ একটু সাহসী ভঙ্গিমায় তারাকে বললো , " একটু তাড়াতাড়ি স্নান করে নিলাম বুঝলি ! নয়তো অফিস যেতে দেরী হয়ে যাবে । অফিস না থাকলে বেশ আরাম করে বসে স্নান ....... " আরশির কথা শেষ না হতেই তারা ফিক্ করে হেসে বললো , " ঠিক আছে , ঠিক আছে । এখন যাও তৈরী হয়ে খেতে আসো । আমি টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছি । " আরশি চলে গেল তৈরী হতে । জামাকাপড় পড়ে সেজেগুজে একেবারে pretty woman টি হয়ে সোজা হাজির খাবার টেবিলে । আরশি খেতে বসেই তারাকে বললো , " তুই নিজের জন্য দুপুরের খাবার রেখেছিস ঠিক করে ? " তারা " হ্যাঁ " বললেও আরশি আবার বললো , " চল, দেখে আসি তোর জন্য কি রেখেছিস ? " বলে নিজেই হনহন করে গিয়ে তারার দুপুরের খাবার দেখে এসে চটপট নিজের খাওয়া শেষ করেই অফিসের দিকে রওনা দিলো । যাবার সময় আরশি তারাকে বললো , " শোন তারা , খুব সাবধানে থাকবি । কোনও অসুবিধা হলেই সাথে সাথে আমাকে ফোন করবি " বলে চলে যায় । আরশি চলে যাওয়ার পর তারার একা একা খুব ভয় করতে থাকে কিন্তু কোনোরকমে নিজের মনকে স্বান্তনা দিয়ে নিজেকেই নিজে সাহস জোগায় । টেবিল থেকে আরশির খাওয়ার বাসন তুলে নিয়ে চলে যায়

 রান্নাঘরে । রান্নাঘরের সিঙ্কে বাসন ধোওয়ার সময় আবারও অদৃশ্য কারো উপস্থিতি টের পেল তারা । তারার মনে হোলো কেউ যেন ওর ঠিক পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে , তবুও জোর করে মনে সাহস এনে কাজ শেষ করলো । সারাদিন ঘরের কাজ করার

সময়ও সেই অদৃশ্য উপস্থিতি তারা অনুভব করলো । ভয়ও পেয়েছিল কিন্তু তবুও আরশিকে ফোন করেনি । এভাবে সারাদিন কেটে যায় । সন্ধ্যা ছয়টার সময় আরশি ফেরে অফিস থেকে । তখন তারা সোফায় বসে হিন্দিতে স্বরবর্ণ লেখা অভ্যাস করছিল । 

আরশি বাড়িতে ফিরে তারাকে বললো , " তারা একটু কফি খাওয়াবি ? " তারাও " ঠিক আছে " বলে চলে গেল রান্নাঘরে আর আরশি গিয়ে ঢুকলো নিজের শয়নকক্ষে । আলমারি খুলে জামা বের করতে গিয়ে আরশি " তারা " বলে চীৎকার করে উঠলো । তারাও তাড়াতাড়ি চুল্লি বন্ধ করেই ছুটে এলো আরশির ঘরে " কি হয়েছে দিদি ? চীৎকার করলে কেন ? " আরশি তখন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে আলমারির ভিতরে । আরশির দৃষ্টি লক্ষ্য করে তারাও তাকালো আলমারির ভিতরে । দুজনেই পুরোদস্তুর অবাক হয়ে যেন পাথরের মূর্তি হয়ে যায় । আরশি বললো , " এগুলো কার জামাকাপড় ? এগুলোতো আমার না ? এইসব আমার আলমারিতে এলো কোথা থেকে ? এগুলোতো সব বিদেশী দামি দামি পোশাক ! " তারাও হাঁ হয়ে তাকিয়ে রইলো । আরশি কাঁদতে কাঁদতে হতাশ হয়ে বিছানায় বসে পড়ে তারাকে বললো , " এখানে কি হচ্ছে বলতো ? আমি আর কিছু ভাবতেই পারছি না , নিজেকে কেমন যেন অসহায় মনে হচ্ছে । " তারা আরশিকে ধরে নিয়ে বাইরে বসার ঘরের সোফায় বসায় , তারপর জলের বোতল দিয়ে বলে, " এই নাও জল খাও । আমি এক্ষুনি আলমারি থেকে সব বের করে দিচ্ছি " বলে চলে গেল আরশির শোবার ঘরে । ঘরে ঢুকে আলমারির ভিতরে তাকিয়ে অবাক , " দিদি, ও দিদি, আরে একি ভূতুড়ে কান্ড ! আলমারির ভিতরে এখনতো সব তোমার জামাকাপড় । আগে যা দেখেছিলাম এখন আর কিচ্ছুই নেই । " আরশিও দৌড়ে গিয়ে দেখলো । তারপর আবার দুজনেই ফিরে এসে সোফায় বসে পড়লো । এভাবেই নিত্যনৈমিত্তিক ভূতুড়ে কার্যকলাপ চলতেই থাকে । ওরা দুজনেই খুব ভয় পেত ঠিকই কিন্তু কোনোদিনও কোনো ক্ষতি ওদের হয়নি বলে একটু ধাতস্থ হয়ে গিয়েছিল এই সব ভূতুড়ে কার্যকলাপে । রোজ অফিস থেকে ফিরে আরশি আর তারা গল্প করে, খাওয়া- দাওয়া করে, আর ভৌতিক কার্যক্রম দ্যাখে তাও আবার 

চাক্ষুস । আরশির মা , জিৎ ও মোনালি রোজ ফোন করে কিন্তু আরশি ওদের কোনোকিছু কোনোদিন জানায়নি । এভাবে প্রায় মাস চারেক পর একদিন আরশি অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে ঘরে ঢুকেই প্রচন্ড ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় । 

ঘরের মধ্যে ধপ করে কিছু পড়ার শব্দ শুনেই তারা তাড়াতাড়ি আলো জ্বালায় । সবাই দ্যাখে আরশি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে মেঝের উপর । তারা মুখে জলের ছিটা দিলে ধীরে ধীরে চোখ খোলে আরশি । চোখ খুলেই ফ্যালফ্যাল করে বোকার মতো সবার দিকে তাকিয়ে থাকে যেন কোনো অজানার দেশে হঠাৎ করেই এসে পড়েছে । তারপর ধরমর করে উঠেই জিৎকে জড়িয়ে ধরে বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে , " জানি না আমি কি স্বপ্ন দেখছি , নাকি আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ? " আরশিকে আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরে জিৎ বললো , " না এটা স্বপ্ন নয় সোনা । It's a surprise for u. Happy Birthday My Love . ঐ দ্যাখো কে কে এসেছে ।"

 জিৎ - এর কথা শুনে আস্তে আস্তে

 জিৎ- এর বুকের থেকে মাথা তুলে দেখলো মোনালি এবং ওর স্বামী উজান অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে । মোনালিকে দেখেই আরশি ছুটে গিয়ে জরিয়ে ধরে । অনেকদিন পর প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা । সারা ঘরের দিকে তাকিয়ে দেখলো ওর জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর করে বসার ঘরটি সাজানো হয়েছে । জিৎ আরশিকে বললো, " আরশি তুমি ওভাবে অজ্ঞান হয়ে গেলে কেনো ? তোমার কি শরীর খারাপ নাকি ? " আরশি তারার মুখের দিকে একটু তাকিয়ে তারপর বললো , " না না , আসলে ঘরটা অন্ধকার দেখে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই । যাইহোক তোমরা আসবে কই আমাকেতো আগে বলোনি ! " মোনালি বললো , " এটাই তো সারপ্রাইজ ডার্লিং , আগে বললেতো আর সারপ্রাইজ দেওয়া যেতো না । আচ্ছা তুই তো অন্ধকারে কোনোদিন ভয় পেতিস না তাহলে আজকে হঠাৎ ...... " মোনালির কথা কেটেই আরশি বললো , " ও কিছু না, ছাড় । তারপর তোমরা এসেছো কখন ? " উজান বললো , " দিন কুড়ি আগেই সব ব্যবস্থা করেই রেখেছিলাম আমরা । এটা জিৎ আর মোনালির পূর্ব পরিকল্পনা ম্যাডাম । " জিৎ বললো , " আমি দুদিন আগেই তারাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম । আমরা দুপুরে এসে সব ব্যবস্থা করেছি । অনেক কথা হয়েছে এখন যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো । আর হ্যাঁ, তোমার বিছানার উপর দুটো সারপ্রাইজ রাখা আছে । " আরশি বাধ্য মেয়ের মতো বেডরুমে চলে গেল । যাবার সময় তারাকে বললো , " এই তারা একটু আয়তো আমার সাথে । " তারাও আরশির সাথে আরশির ঘরে চলে গেল । তারা আরশির ঘরে গেলে আরশি বললো , " তারা এখন কি করি বলতো ,আমার এই ফ্ল্যাটে যা সব ভূতুড়ে কান্ড ঘটে সারাদিন । ওরা তো কিছুই জানেনা । যদি কোনো সমস্যা হয় ? " তারা বললো , " দিদি তোমার নিজে থেকে কিছু বলার দরকার নেই , যদি ওরা সেসব কিছু বুঝতে পারে তখন সব খুলে বলা যাবে । তুমি চিন্তা কোরো না । এখন ভালো করে সেজেগুজে তৈরী হয়ে নাও । আমি তোমাকে সাহায্য করছি তৈরি হতে । " আরশি দেখলো বিছানার উপর দুটো উপহারের বাক্স রাখা । দুটো উপহারের বাক্স খুলেই একেবারে লাফ দিয়ে উঠলো । একটিতে একটা সুন্দর লাল গাউন , আরেকটাতে গাউনের সাথে ম্যাচিং করা মুক্তোর কানে - গলার সেট । গলার হার এবং কানের দুলে রুবি বসানো । গাউন পড়ে, তার সাথে ম্যাচিং জুয়েলারী পড়ে অপূর্ব লাগছিল আরশিকে । আরশি বেডরুম থেকে বাইরে আসতেই জিৎ হাঁ করে তাকিয়ে রইলো । যাইহোক শুরু হোলো বার্থডে সেলিব্রেশন । কেক কাটা , নাচ - গান হৈচৈ করে বেশ ভালোই কাটলো আরশির জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টি । আনন্দের মাঝে আরশি এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিল ভৌতিক কান্ডের কথা । হঠাৎ তারার দিকে চোখ পড়তেই আরশি দেখলো তারার চোখ - মুখ কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে আছে । আরশি জিৎ , মোনা আর উজানকে বললো , " Excuse me , তোমরা গল্প করো আমি এখনি আসছি " বলেই তারাকে নিয়ে বেডরুমে চলে গেল । " কিরে তারা তোর চোখ- মুখ এরকম লাগছে কেনো ? আবার কিছু টের পেয়েছিস ? " তারা ভয়ে ভয়ে বললো , " দিদি রান্নাঘরে .... " বলেই চুপ করে যায় । আরশি বললো, " রান্নাঘরে কি বল ? কি হয়েছে ? " তারা বললো , " তুমি আমার সাথে চলো রান্নাঘরে , নিজের চোখেই দেখবে । " আরশি আর তারা দুজনেই রান্নাঘরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় আরকি ! রান্নাঘরের দেওয়ালে তখন রক্ত দিয়ে বড়ো বড়ো করে লেখা , " There will be no party here . I can't tolerate any party . I want revenge . I will kill everyone . I will not leave anyone . I say stop the party ". তারা বললো , " দিদি আমিতো কিছু বুঝতে পারছি না কি লেখা আছে । তুমি বলো কি লেখা । " আরশি বললো , " তারা ওখানে লেখা আছে , এখানে কোনো পার্টি হবে না । আমি কোনো পার্টি সহ্য করতে পারি না । আমি প্রতিশোধ নিতে চাই । আমি সবাইকে মেরে ফেলবো । কাউকে ছাড়বো না । আমি বলছি পার্টি বন্ধ করো । " তারা সব শুনে আরশিকে বললো , " দিদি এবার কি হবে ? " আরশি বললো, "কাউকে কিছু বলতে হবে না , দাঁড়া " বলে একটা কাপড় দিয়ে লেখাগুলো ভালো করে মুছে দিলো । কিন্তু যতোই মুছে ফেলছে লেখাগুলো ততোই আবার ফুটে উঠছে । কিছুতেই মোছা যাচ্ছে না । তারা বললো , " দিদি এবার কি হবে ? লেখাগুলোতো মোছাই যাচ্ছে না । " আরশি বললো , " শোন তারা , রান্নাঘরে কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না । রান্নাঘরের যা কাজ আমি আর তুই সামলে নেব । কিরে বুঝেছিস ? " তারা উপর নীচে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো । তারপর দুজনেই কিছু খাবার নিয়ে চলে গেল খাবার টেবিলে । তারা এক এক করে খাবার গরম করে দিতে থাকলো আর আরশি টেবিলে গুছিয়ে রাখতে রাখতে সবাইকে বললো , " এই সবাই চলে আয় । খেতে খেতে গল্প করা যাবে । " সবাই মিলে চেয়ার টেনে বসে পড়লো । ডান দিকে প্রথমে আরশি তারপর জিৎ আর বাঁদিকে আরশির ঠিক উল্টো দিকে মোনালি আর পাশে মোনালির স্বামী উজান । তারা সবাইকে পরিবেশন করছিল তখন মোনালি বললো , " এই তারা, তুমিও বসে পড়ো । আমরা সবাই মিলে নিজেরাই নিয়ে নেব । " একথা শুনে তারা আরশির দিকে তাকালে আরশি বললো , " হ্যাঁ, আয় তুইও বসে পড় । সবাই মিলে বেশ জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে অনেকদিন পর । " আরশির সম্মতি পেয়ে তারাও বসে 

পড়লো । খেতে খেতে আর গল্প করতে করতে সবাই এতোটাই মশগুল হয়ে গেল যে কারো সময়ের কোনো খেয়াল ছিল না । হঠাৎ মোনালি বললো , " এই তোমরা গল্প করো আমি একটু ওয়াশরুম থেকে 

আসছি । " একথা শুনেই আরশি আর তারার মুখ শুকিয়ে যায় ।

আরশি তড়িঘড়ি তারাকে ইশারা করে মোনালির সাথে বাথরুমে যেতে বলে দেয় । তারাও আগে আগে বাথরুমে উঁকি মেরে সব দেখে নিয়ে মোনালিকে যেতে বলে । এতে মোনালির একটু সন্দেহ হলেও কিছু না বলে বাথরুমে ঢুকে গেল । মোনালি বাথরুমে ঢুকে গেলেও তারা বাইরেই অপেক্ষা করছিল । মোনা বাথরুম থেকে বেরিয়ে তারাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খুব অবাক হয়ে আরশিকে বলে, " কিরে তারাকে কি তুই আমার উপর নজরদারি করতে বলেছিস নাকি ? " আরশি বললো, " আরে না না তুই তো এখানে নতুন তাই আর কি ! জিৎ কিন্তু উজানের সাথে কথার ফাঁকে আরশির মুখে একটা অস্বস্তি লক্ষ্য করে । সবাই আবার একসাথে গল্পে মশগুল । প্রায় দেড় ঘণ্টা সবাই খুব গল্প করলো । উজান বললো, " আরশি ডিয়ার! আমার আর মোনার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হবে তো নাকি ? " আরশি বললো, " আরে হবে হবে সেটা আর বলতে হবে না । " যাইহোক তারাকে বলে আরশির বেডরুমের পাশের বেডরুমে মোনা আর উজানের শোয়ার ব্যবস্থা 

করলো । জিৎ বললো, " আমি আর আমার হবু বৌ এক ঘরেই শুয়ে পড়বো। একথা শুনে আরশি তারাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল । তারাও খুব ভয় পেয়ে যায় বসার ঘরে সোফায় একা শুতে হবে ভেবে তবুও সাহস দেখিয়ে আরশিকে বললো, " উফ্! দিদি তুমি আর দাদাবাবু শুয়ে

 পড়ো । আমার কোনো অসুবিধা হবে না । আমি সোফায় শুয়ে

 পড়ছি " এই বলে আরশিকে ঠেলে ঘরে ঢুকিয়ে দিল । আরশি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়লো । ওদিকে পাশের ঘর থেকে মোনা আর উজানের ফিসফিস কথা শোনা যাচ্ছে । আরশি শোয়ার পর জিৎ বহুদিন পর হবু বৌকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরলো । শুরু হোলো আদরের সাথে সাথে হালকা 

মান - অভিমানের খুনসুটি । অনেক আদর আর কথার মাঝেও আরশি কিন্তু তারাকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল । তারা খুব ভয়ে ভয়ে সোফার উপর বালিশ নিয়ে একটা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘাপটি মেরে পড়ে রইলো । আরশির চোখেও ঘুম নেই ।ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকতে থাকতে তারা একসময় ঘুমিয়ে পড়ে । আরশি একবার উঠে ঘরের দরজা ফাঁক করে তারাকে ঘুমোতে দেখে আবার শুয়ে পড়লো জিৎকে জড়িয়ে ধরে । হঠাৎ গোঙানির শব্দে আরশির ঘুম ভেঙে যায় , চোখটা খুলে বিছানার পাশের টেবিলে রাখা রেডিয়াম দেওয়া ঘড়িতে সময়টা দেখে নেয় । তখন রাত পৌনে তিনটে ।আরশি জিৎকে না জাগিয়ে ভয়ে ভয়ে উঠে ঘরের স্বল্প আলোর বাতিটা জ্বালিয়ে দরজা খুলে 

বাইরের বসার ঘরে যেখানে সোফায় তারা শুয়েছিল সেদিকে তাকিয়ে রীতিমতো চমকে ওঠে । হঠাৎ খেয়াল করে পাশের ঘরের দরজার ফাঁক থেকেও আলো দেখা যাচ্ছে । মোনা গোঙানির শব্দ শুনে দরজা খুলে সোফার দিকে তাকিয়ে চীৎকার করে ওঠে । মোনার চীৎকারে উজান এবং জিৎ লাফ দিয়ে উঠে পড়ে । বাইরের ঘরের সোফার দিকে তাকিয়ে সবার চোখ কপালে উঠে গেছে । মোনা ভয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে ধপ্ করে পড়ে যায় । সোফার উপর তখন তারা শুয়ে নেই , তারা তখন শূন্যে ভাসতে ভাসতে ভয়ে গোঙাচ্ছে । সবাই উঠে ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিতেই তারা ধপ্ করে সোফার উপর আছড়ে পড়ে । সোফার উপর পড়েই তারা প্রচন্ড ভয় পেয়ে চীৎকার করে কেঁদে ওঠে । আরশি সাথে সাথে দৌড়ে গিয়ে তারাকে জড়িয়ে ধরে । একদিকে তারার ভয়ার্ত কান্না আর অন্যদিকে ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মোনা । আরশি, জিৎ আর উজান তিনজনেই ঠিক করলো বাকি রাতটুকু আরশির বেডরুমে সবাই একসাথে কাটিয়ে দেবে । আরশির বিছানায় মোনাকে শুইয়ে দিয়ে

 চোখে - মুখে জলের ছিটা দিতেই মোনার জ্ঞান ফিরে আসে । বিছানার উপর মোনা, তারা শোয়া আর আরশি, জিৎ ও উজান বসে 

থাকলো । উজান আরশিকে প্রশ্ন করলো , " কি ব্যাপার বলতো আরশি ? যা দেখলাম একটু আগেই সেটা ঠিক কি ছিল তা কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি । এবার তুমি যদি খুলে বলো তাহলে আমরা সবাই মিলে কিছু একটা করতে পারি । "উজানের কথা শুনে আরশি তারার মুখের দিকে তাকালে তারা কাঁদো কাঁদো গলায় বললো , " আরশি দিদি, আর কিছু না লুকিয়ে সবটুকু বলে দেওয়াই ভালো । তুমি যা জানো বলো, তারপর আমি বলছি । "

আরশি আর তারা প্রথম থেকে সব ভৌতিক কার্যকলাপের ঘটনা খুলে বললো । সব শুনে মোনা বললো, " এইজন্যই তারা বাথরুমের সামনে ওরকম ব্যবহার করছিল ? তুই আগে কেনো সব খুলে বলিস নি ? "

অন্যদিকে জিৎ বললো , " আরশি তোমার সাথে রোজ ফোনে কথা হয়, তখনও তুমি কিছু জানাও নি কেনো? তারা তুই তো বলতে পারতি ? " আরশি আর তারা মাথা নীচু করে থাকলো । তারা বললো , " জানো দাদা বাবু ! আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম , হঠাৎ মনে হোলো কেউ আমার পিঠের নীচ থেকে হাত দিয়ে আমাকে আস্তে আস্তে উপর দিকে তুলছে । হাতদুটো বরফের মতো ঠান্ডা । আমি ভয় পেয়ে মুখের থেকে চাদরটা সরিয়ে দেখি আমি সোফার থেকে উপরে উঠে ভাসছি । তখনও সেই হাতদুটো আমাকে শূন্যে তুলে ধরে আছে । তোমরা উঠে না এলে জানি না আজ কি হোতো । " এই বলেই আবার কাঁদতে শুরু করলো । আরশি আর মোনা দুজন মিলে তারাকে শান্ত করলো । সবাই মিলে বাকি রাতটুকু জেগেই কাটিয়ে দেয় । তারা বলে, " দিদি দ্যাখো সকাল ছয়টা বাজে, সকাল হয়ে গেছে । আমি যাই সবার জন্য কফি করে আনি । " তারার কথা শুনে আরশি বললো " না তোকে একা যেতে হবে না, আমিও যাচ্ছি চল । " মোনা বললো, " চল আমিও যাই তোদের সাথে । " উজান বললো , " শালী সাহেবা, আমরা দুজন মানে আমি আর আপনার উনি গিয়ে বাইরের ঘরের সোফায় বসছি । আপনারা মহিলা বাহিনী গিয়ে কফি আর সাথে কিছু বিস্কুট নিয়ে আসুন " । আরশি মজার ছলে বললো, " যো হুকুম জনাব! " বলে তিনজন মিলে চলে যায় রান্নাঘরের দিকে ।


    🧟‍♀️ 🧟‍♀️ ক্রমশ প্রকাশ্য *********



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror