Sayantani Palmal

Horror Crime Thriller

4.4  

Sayantani Palmal

Horror Crime Thriller

আমি, লোনা আর...

আমি, লোনা আর...

7 mins
217



     চুলের কাঁটার মত বাঁকটা পেরিয়ে চট করে একটা বড় পাথরের আড়ালে লুকিয়ে গেলাম। আমার পেছনে আরও বেশ কিছু হাট ফিরতি মানুষ আসছে। ওরা আমাকে দেখতে পেলেই মুশকিল হয়ে যাবে। ওদের সামনে তো আর বাঁকা পথে যাওয়া সম্ভব নয়। বেশ কিছুক্ষন লুকিয়ে থাকার পর আমার অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়গুলো অনুভব করল রাস্তা ফাঁকা। আমি আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। দ্রুত পদক্ষেপে সামনের দুশ গজ রাস্তা অতিক্রম করে ঢুকে পড়লাম ডান দিকের জঙ্গুলে পথে। এবার আমাকে এগিয়ে যেতে হবে আমার অভীষ্ট গন্তব্যে। ঘড়ির দিকে তাকালাম। ঘন্টার কাঁটা আর মিনিটের কাঁটা পরস্পরকে জড়িয়ে শুয়ে আছে দুইয়ের কোলে মাথা রেখে। পথটা ক্রমশ চড়াই হচ্ছে। অবশ্য রাস্তা বলতে কোনও কিছুর অস্তিত্ব নেই এই জঙ্গলে। এখানে নিজের পথ নিজেকে করে নিতে হয়। যেমন আজ আমি চলেছি ঘন পাইনের ফাঁক দিয়ে দিয়ে। একবার কম্পাসটা বের করলাম পকেট থেকে। আমার হিসেব অনুযায়ী আমাকে একদম সোজা উত্তরে এগিয়ে যেতে হবে। আমি চলেছি এক নিষিদ্ধ অভিযানে। যে পথ এই অঞ্চলের সবাই এড়িয়ে চলে আজ আমার পায়ের তলায় সে। আসলে ভয় জিনিসটা আমার রক্তে, হৃদয়ে, মস্তিষ্কে কোথাও নিজের জায়গা করে নিতে পারে নি। তাই আমি মাঝে মাঝে ভয়কে খুঁজি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আমার পিঠে একটা ছোট রুকস্যাক। পথটা চড়াই হলেও আমার উঠতে তেমন একটা কষ্ট হচ্ছে না। ছোট থেকেই আমার শক্তপোক্ত শরীর তারপর তো নিজের কাজের খাতিরে শরীরচর্চাকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে হয়েছে। একেক জায়গায় পাইন গাছগুলো এমনভাবে ঘন হয়ে আছে যে পথ খুঁজে নিতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে কিন্তু আমি এমন একটা অপ্রতিরোধ্য মানুষ যে পথ হারিয়েও আবার আমার কাছে এসে ধরা দিচ্ছে। জঙ্গলের ভেতরে এরই মধ্যে যেন সন্ধ্যা নামছে। প্রায় দুই ঘন্টা পার হয়ে গেছে। পাহাড়ী পথে চলতে অনেক বেশি সময় লাগে। মাঝে মাঝে মনের মধ্যে সন্দেহের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। আমি ঠিক পথে চলেছি তো? কিন্তু পরমুহূর্তেই নিজের আত্মবিশ্বাসের বাঁধনটা দৃঢ় করেছি। আজ না খুঁজে পাই আবার আসবো। নতুন উদ্যমে খুঁজবো। লোনাকে যে কথা দিয়েছি আমি। আরেকটু এগোতেই আমার চোখের সামনে ধরা দিল সে। শরীরের সর্বত্র বয়সের ছাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চার্চটা। লোনা আমায় উৎসাহিত করেছে এই চার্চটায় আসার জন্য। চার্চের প্রবেশদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে আমি। অবশ্য নামেই প্রবেশদ্বার, সেখানে প্রবেশ অবাধ কারণ দরজার কোনও অস্তিত্বই আর নেই। ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ভাঙাচোরা একটা হলঘর। এটাই যে প্রার্থনাকক্ষ তার সাক্ষী দিচ্ছে দেওয়ালের গায়ে ভেঙ্গে পড়ে থাকা একটা ক্রুশ। বড় বড় আর্চওয়ালা জানালা দরজাগুলোও বলছে তারা পরিত্যক্ত।


     ছোট্ট এই চার্চটি নির্মিত হয়েছিল জেমস ব্রাউন নামে এক ধনী ইংরেজ তরুণের উদ্যোগে। সঙ্গে ছিলেন আন্দ্রে নামে একজন ধর্মযাজক। জেমসের বাবা ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার উঁচু পদাধিকারী ছিলেন। জেমস একটু পাগলাটে ছিল । ইংরেজ শাসনের শেষদিকে বাবার কাছে ভারতে আসে সে। এইখানে আন্দ্রের সাথে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা হয় জেমসের। কিছুদিন পর আন্দ্রে যখন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হন তখন জেমসও তাঁর সঙ্গী হয়। আন্দ্রের সাথে এই তিনচূড়ায় এসে পৌঁছয় জেমস। জায়গাটা ভীষন ভালো লেগে যায় তার। জেমসের খামখেয়ালি মন ঠিক করে এখানেই পাকাপাকি ভাবে থেকে যাবে। মনের মধ্যে এখানে একটা চার্চ বানানোর বাসনাও জেগে ওঠে। স্বাভাবিক ভাবেই উৎসাহ জোগান আন্দ্রে। জেমসের বাবাও সাহায্য করেন ছেলের ইচ্ছেপূরনে। মাথা তুলে দাঁড়ায় এই চার্চ। আন্দ্রেও স্থানীয় মানুষদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করতে থাকে। ইতিমধ্যে খামখেয়ালি জেমস দেশে ফিরে যাওয়া মনস্থ করে। বেশকিছু বছর পর আন্দ্রেও মারা যান। তারপর থেকেই এই চার্চে লোকজনের আনাগোনা কমতে থাকে কারণ এখনের মত এত দুর্গম না হলেও তখনও এই চার্চটা জঙ্গলের মধ্যেই ছিল। বড়লোকের খেয়ালী ছেলে জেমস অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে নিজের খেয়ালে এই চার্চ বানিয়েছিল আর আন্দ্রেরও দূরদর্শিতা কম ছিল। কালক্রমে নীচে নতুন চার্চ তৈরি হয় আর এই চার্চটা বন্ধই হয়ে যায় কিন্তু আবার বহুবছর পরে এই চার্চে কিছু মানুষের যাতায়াত শুরু হয়। তারা নাকি এখানে ভগবানের নয় শয়তানের উপাসনা করত।

 আমি ঢুকে পড়লাম ভেতরে। লোনা বলেছে আমি যদি তার দেখা পাই তাহলে আমি হতে পারব অসীম শক্তিশালী, অপ্রতিরোধ্য। 

" আহ।"


 ধীরে ধীরে চোখ মেলাম আমি। মাথাটায় বেশ ব্যথা। মেঝের একটা জায়গা ধসে পড়ে গেছলাম। অন্ধকার নেমে এসেছিল চোখে । এখনও চারিপাশে গাঢ় অন্ধকার। আমি অন্ধকারের মধ্যে ব্যাগটা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করলাম ঠিক তখনই দেখতে পেলাম তাকে। অন্ধকারেরও নিজস্ব একটা আলো থাকে সেই আলোতেই দেখলাম তাকে, " শয়তান, দ্য ডেভিল।" আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো সে। শয়তানের হাসি, যে হাসিতে থাকে হিংস্রতা, ধূর্ততা। লোনা বলেছিল তার দেখা আমি পাবই। আমার ওপর ভীষন বিশ্বাস করে মেয়েটা। ওর বিশ্বাস সত্যি হল আজ। আমার চোখে ঘুম নেমে আসছে। 




ঘরে ঢুকে দেখলাম লোনা শুয়ে আছে আমার বিছানায়। আমার নিষিদ্ধ অভিযানের সাফল্যের বার্তা শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমি ওর ঠোঁটে দীর্ঘ চুম্বন এঁকে দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম সবকিছু।

" শয়তানের দেখা পেয়েছ?" উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করল সে।

" হুম।" লোনার বুকের গভীর উপত্যকায় ডুবে যেতে যেতে সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম আমি।

" ক্রিস, আজ আমি কত খুশি তোমাকে বোঝাতে পারব না।" লোনা আমাকে আরও কাছে টেনে নিল। 

মাথাটা এখনও চিনচিন করছে। এক্কেবারে ভোরবেলায় আমার জ্ঞান ফিরেছিল। আমি মাটির নীচের একটা ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। যে জায়গাটা দিয়ে আমি পড়েছিলাম সেটা আসলে ওই ঘরের প্রবেশপথ যদিও সিঁড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই। একটু কসরত করতেই আমি অতি সহজেই ওপরে উঠে আসতে পেরেছিলাম। লোনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আদিম ক্রীড়ায় রত হবার পর আমি উঠে পড়লাম। আগামী কয়েকদিনে অনেকগুলো কাজ আছে। 



" আসছি।" 

" বাই ক্রিস।" 

লোনাকে হালকা আদর করে বাইরে এলাম আমি।

" বাইরে যাচ্ছেন?" 

উফফ! এই চশমা পরা বাঙালী ছেলেটাকে আমার একদম সহ্য হয়না। বিনয়ের অবতার একেবারে। যদিও এই ছোট্ট শহরটাকে শহর না বলে গ্রাম বলাই ভালো তাও নিরিবিলিতে থাকব বলে আমি লোনার এই ছোট্ট দোতলা বাড়িটা ভাড়া নিয়েছিলাম। একতলায় আমি আর দোতলায় লোনা থাকত। অবশ্য এখন সব একাকার। আমার আর লোনার শরীর-মন সব যখন মিলে গেছে তখন আর একতলা-দোতলা! যাইহোক পাশের বাড়িটা ফাঁকাই পড়ে ছিল। বেশ ভালো ছিল। এই নির্জন পাহাড়ের কোলে শুধু আমি আর লোনা কিন্তু গত সপ্তাহেই ওই বাড়িটায় এই বোটানিস্ট ছোকরা এসে জুটেছে। আবীর না কি যেন নাম। পাহাড়ের গাছপালা নিয়ে গবেষণা করবে, বই লিখবে। এত গায়ে পড়া ছেলে আমি দেখিনি! কোনও দিন আমার ঘরে আসতে বলিনি, নিজে থেকে কথা বলিনি তাও বুঝতে পারে না আমি ওকে অপছন্দ করি! এড়িয়ে চলতে চাই। সব সময় যেচে কথা বলতে চলে আসবে আর বোটানির কচকচানি শুরু করবে। 

" কাজে যাচ্ছেন বুঝি?" প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিইনি তাও দ্বিতীয় প্রশ্ন চলে এল।

" হুম।"

" আমি কি একটু আপনার সাথে হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারি? আসলে আমার একলা হাঁটতে ভালো লাগে না।" আকর্ন বিস্তৃত হাসি মুখে নিয়ে বলল ছোকরা।

" নাহ।" জোর গলায় নিজের আপত্তি আর বিরক্তি প্রকাশ করে আমি আমার পথ ধরলাম। পেছনে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল আবীর।



অন্ধকারের মধ্যে পাহাড়ী পথ ধরে এগিয়ে চলেছি আমি আর লোনা। 

" লোনা, এখনও সময় আছে। ভেবে দেখ। এ পথ আমার তোমার নয়। তুমি ইচ্ছে করলে ফিরে যেতে পারো।"

" নাহ, তোমার পথই আমার পথ। হোক না সে কাঁটায় ভরা। তাছাড়া স্বয়ং শয়তান তোমায় দেখা দিয়েছে। তুমি এখন অপ্রতিরোধ্য।" ওর কথা শুনে আমি শক্ত করে ওর হাতটা চেপে ধরলাম। ওর আমার সঙ্গে আসার কথা নয় কিন্তু সব বিপদের সম্ভাবনা তুচ্ছ করে ও আমার পথে পা বাড়িয়েছে। আমারও ওকে সঙ্গে নেওয়া নিয়ম বিরুদ্ধ কিন্তু আমিও ওকে উপেক্ষা করতে পারিনি।



আমার লক্ষ্য আমার সামনে, তিনচূড়া হাইড্রাল প্রজেক্ট। ভারত আর ভারতের এক বন্ধু রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগ। কাজ প্রায় নব্বই শতাংশ শেষ। দুই রাষ্ট্রের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ এই প্রজেক্ট আর তাই তো আজ আমি ধ্বংসের দূতরূপে এখানে অবতীর্ণ। গত কয়েকমাস ধরে আজকের দিনটার জন্যই আমি এই পাহাড়ে পড়ে আছি। আমার সংগৃহীত খবর অনুযায়ী আজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ঢিলেঢালা থাকবে। লোনা বলছিল শয়তানের আশীর্বাদেই আমার এই সুযোগ ঘটেছে। সত্যিই আমিও ভাবিনি এই কয়েক মাসের মধ্যেই সুযোগ পেয়ে যাব। আমি লোনার দিকে তাকালাম। অন্ধকারের মধ্যেই আমাদের দৃষ্টি বিনিময় হল। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে কাঁটা তারের ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকব আমরা আর তার কিছুক্ষণ পর আগুনের লেলিহান শিখা ছুঁয়ে ফেলবে আকাশ। গগন বিদারী শব্দে কেঁপে উঠবে তিনচূড়ার মাটি,পাহাড়। প্রচণ্ড বিস্ফোরণে শেষ হয়ে যাবে ভারতের এই স্বপ্নের প্রজেক্ট আর ওই পাহাড়ের কোলের বাড়িটার মালকিন লোনা আর তার নতুন ভাড়াটিয়া হারিয়ে যাবে এখান থেকে। হয়ত অন্য নামে, অন্য পরিচয়ে তাদের দেখা মিলবে পৃথিবীর অন্য কোনও প্রান্তে। 


কাঁটা তারের মধ্য দিয়ে ব্যাগটা ভেতরে ছুঁড়ে দিলাম আস্তে করে। ওর মধ্যেই আছে সমস্ত মারণবাণ। কোথাও কোনও বাধা নেই। 

" এত আলো কেন!" 

 চারিদিক আলোয় ভেসে যাচ্ছে। 

" ক্রিস ওরফে আলেক্স ওরফে মহাম্মদ ইসমাইল। পালাবার পথ নেই। আত্মসমর্পণ কর।"

" আবীর!"

জীবনে এই প্রথম আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। আমি আবীরকে চিনতে ভুল করেছি। আমার জন্য ওরা ফাঁদ পেতেছে বুঝতে পারিনি। আমার চারিদিকে ইন্ডিয়ান আর্মি আর পুলিশের যৌথ দল। ওরা ক্রমশ এগিয়ে আসছে। সত্যিই পালাবার পথ নেই কিন্তু আমি ধরা দেব ওদের কাছে! লোনার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম। চোখের ভাষায় সে উত্তর দিয়ে দিল। আমি মহাম্মদ ইসমাইল, একজন প্রশিক্ষিত ফিদায়ে যোদ্ধা। লোনাকে নিজের আরও কাছে টেনে নিলাম। আমার শরীরেই বাঁধা আছে প্রয়োজনে নিজেকে শেষ করার অস্ত্র। ছোট্ট একটা বিস্ফোরণ তারপর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে আমাদের শরীর দুটো। 




 এত বড় একটা মিশনের সাফল্যের জন্য অনেক প্রশংসা পাচ্ছে আবীর ওরফে কিগান। এত ভয়ঙ্কর একজন জঙ্গীর আক্রমণ থেকে তিনচূড়া হাইড্রাল প্রজেক্ট রক্ষা পেয়েছে। আমেরিকায় বেড়ে উঠলেও আলেক্স ভারতীয় খ্রিস্টান বাবা- মায়ের সন্তান। শিক্ষিত হলেও বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর কুসঙ্গে পড়ে ধর্মান্তরিত হয়ে জঙ্গী দলে যোগ দেয় সে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় এই মিশনের দায়িত্ব পেয়েছিল সে। খুব গোপন সূত্রে একটা খবর এসেছিল আর্মির কাছে। আলেক্স ছিল অত্যন্ত ধূর্ত যে কারণে তাকে ধরতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। যে বাড়িতে আলেক্স থাকত তার একতলাটা ও ভাড়া নিয়েছিল। মালিকের কথা অনুযায়ী দোতলা বন্ধ থাকার কথা কিন্তু আলেক্স দোতলাও খুলেছে শুধু তাই নয় বাড়ি মালিকের ভাইঝি লোনার যাবতীয় জিনিসপত্র এবং ডায়েরী ঘাঁটাঘাঁটি করেছে। লোনা মেয়েটার ইতিহাসও অদ্ভুত। বাবা-মায়ের একমাত্র বখাটে মেয়ে। একসময় পুরোনো চার্চে কিছু বদছেলে শয়তানের সাধনা শুরু করে। লোনাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কিন্তু কিছুদিন পরেই লোনার ধর্ষিত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ওখান থেকে। ছেলেগুলো পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। লোনার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর একতলাটা খালি করে আলেক্সকে ভাড়া দিয়েছিলেন ওর কাকা। 

 সাফল্যের মাঝেও একটা প্রশ্নের উত্তর কিগানের কাছে আজও অধরা, ইসমাইলের মত একজন জঙ্গী একটা প্রমাণ সাইজের সেক্সটয় গার্ল নিয়ে মিশনে গিয়েছিল কেন? 






Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror