কথা, কেউ রাখেনি, কেউ রাখেনা
কথা, কেউ রাখেনি, কেউ রাখেনা
কথা রাখনি তুমি,
কথা দিয়েছিলে;
শ্রাবনের বর্ষায় তুমি
তুমি মাতবে আমার সাথে।
তুমি আসো নি সেদিন;
তুমি কথা রাখোনি।
কথা রাখোনি,
কথা রাখে না কেউ।
বাবা বলেছিলেন আমাকে;
বর্ষার জলে জমা রাস্তায়,
জল ঢেলে বাড়ি ফেরার আনন্দে
আনন্দে মাতবে আমার সাথে।
জ্বর হবে, চর্ম রোগ হতে পারে, ইত্যাদি বলে
বলে কাটিয়ে দিয়েছিল সেদিন;
বাবাও কথা রাখেনি।
কথা রাখেনি,
কথা রাখে না কেউ।
বৃষ্টিভেজা পড়ন্ত আলোয়,
তুমি মিষ্টি ছোঁয়ায় ভরিয়ে দেবে
ভরিয়ে দেবে কথা দিয়েছিলে।
লজ্জা, ছিঃ, এই কেউ দেখলে কি বলবে,
ইত্যাদি বলে কাটিয়ে দিয়েছিল সেদিন;
কথা রাখনি সেদিন তুমিও।
কথা রাখেনি,
কথা রাখে না কেউ।
ওই যে বেকার ছেলের দল,
ওরা কেউ বা কোন দলের
দলের ছত্রচ্ছায়ায় ধ্বনি তোলে আরবার;
একটু ভবিষ্যৎ, একটু সুখের আশাতে।
নেতারাও ওদের কথা দেয়,
কথা দেয়, তবে ভোট পর্বের আগে।
তবে তারপর তারা চেষ্টা না কি করে;
চেষ্টা করে তারা অনেক, অনেক,
তবু পূরণ করতে পারেনা;
পারেনা পূরণ করতে তাদের দেওয়া কথা।
কথা কেউ রাখেনা,
কথা কেউ রাখতে চায় না।
কথা রাখার ইচ্ছেটা বড় ক্ষীণ,
কথা দেবার ইচ্ছে থাকে-
ইচ্ছে থাকে তবু প্রবল।
তবু কথা দিতে হয়,
কথা দিতে হয় নিজের স্বার্থে,
কখনো বা দিতে হয় রং এর স্বার্থে;
তবু কথা কথার জন্যই,
বাস্তবতার জন্য নয়।
