বোবা কাঠের পুতুল
বোবা কাঠের পুতুল


বোবা কাঠের পুতুল
© সুমিত দরানী
দিগন্ত কোন রেলগাড়ির মত দিন ছুটে যায়..
অনায়াসে চিঁড়ে দেয় যত ইচ্ছে!
সভ্যতার রামধনু রং আজ ফিকে;
হয়তো তারা জ্বলছে ধিকে ধিকে ।
সূর্যের তাপে পুড়ে যায় রাস্তার পদচিহ্ন
ছাপ রয়ে যায় হিংসার আগুনে..
এর মাঝে আমরা তিতাস চোখে চেয়ে আছি,
শূন্য তাঁরার পথে..
স্বপ্নের মতো উড়ে যাই আরেক স্বপ্নের সাজানো দেশে।
পাখি হতে চাই হয়তো বা; তবুও চারিদিক নিস্তব্ধ!
আগুনের পরশমনি খেয়েছি গা-গ্ৰসে ...
নিত্যদিন হাড়িয়ে যায় ফুলের সুবাস,ছন্দ..
ভীড় রাস্তা পিষে ফেলে রৌদ্রের
শাসনে
আমরা কী অন্ধ?
এই রং, এই গন্ধ, এই ছোঁয়া সবই বোধহয় ছায়া
ধূলো জমা শুষ্ক পথের মতো নিষ্প্রাণ, জরাজীর্ণ
রঙ্গমঞ্চ তৈরী: অভিনয় শুরু জীবনের শেষ মুহূর্তে,
কয়েকটি কাঠের পুতুল বাতাসে ভেসে ওঠে
মুখে তোলে , ঠোঁট নড়ে কিন্তু..!
শব্দরা বোবা হয়ে যায়।
তোমরাও কী বোবা হয়ে রবে!
এই আমি ও কী বোবা হয়ে যাই..?
কলমের খোঁচায় ঝড়ছে রক্ত, অবিরাম..
শকুনের দল ওৎ পেতে আছে ..
কাঠের পুতুল এখন তুমি বোবা নও।
নাচার সময় সমাপ্ত!
এখন নতুন জীবন শুরু ..
তোমার রঙ্গমঞ্চ সাজানো তোমার প্রিয় শব্দে...