তোমাদের এই নগরে..
তোমাদের এই নগরে..
তোমাদের এই নগরে..
এক বৃষ্টির মুখরিত তুরাগ নদীর তীরের মত
জলধারা উপচে পড়ে.,
ভাসিয়ে নিয়ে যায় তোমাদের যত ফেলনা।
পঁচা নর্দমার কীট গুলো উল্লাস করে তখন
তোমরা কী শুনতে পাও ওদের শব্দ?
বোধহয় না!
আকাশের খসে পরা তাঁরা গুলো জমাট বাঁধে
আলো আধো অন্ধকার ..
দূরের ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা একা ল্যাম্পপোস্ট..
আকাশের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে !
কেন ..! তোমরা কী জানো..?
এই নগরে কত মিছিল,কত মোকদ্দমা চলেছে..
গাঢ় কালো রাস্তায় পদচিহ্ন এঁকে।
সভ্যতার ইতিহাসে এই নগরে বলি হয়েছে মানবতা
ঝড়েছে শতশত প্রতিশ্রুতির রক্ত,
রক্ত রং তোমরা দেখেছো?
বোধহয় ছুয়েছো ..
উলঙ্গ হয়ে সারা শরীরে প্রলেপ নিয়েছো তুমি!
<p>কিংবা ! হয়তো এই আমি..
শোনো..
দূরের ওই আকাশ জুড়ে পেঁজা মেঘ যখন গম্ভীর হয়
অভিশাপ জড়িয়ে ধোঁয়া ওঠে রেলের ইঞ্জিন হয়ে..
তোমার সবুজে ঘেরা নগর হয়ে ওঠে ধূসর
তখন কোমল ফুলের গন্ধে মরচে পড়ে।
ধানের শীষে জমে অভিশপ্ত ছাই
এক অদৃশ্য আগুনে দগ্ধ হয়ে যায় ...
তোমার, আমার এই ক্লান্ত নগর.
দেখেছো সেই দৃশ্য..!
এই নগর দেখেছে তোমাদের আমাদের লালসা..
ইতিহাসের পাতা ছবি হয়ে ওড়ে প্রজাপতির ডানায়
ফুলের গন্ধ খুঁজে ফেরে তার হারানো পৃতি ..
আজও সেই রেল ছুঁটে চলে টকবক চালে।
কিছুই বদলায় নি..
না বদলেছি এই তুমি, আমি।।
না বদলেছে এই নগরী..!