আমি খুনী নই
আমি খুনী নই


আচ্ছা গলাটুকু ফালা ফালা করলেই
আমি খুনী ?
ও ও যে ক্রমাগত অদৃশ্যভাবে অনেককিছু
কেটেছে , জ্বালিয়েছে ... তার বেলায় ?
শুরু হয়েছিলো প্রতিদিনের বাসে যাতায়াতে ,
এ...এই যো এইখানটা... দেখুন ...
কোমরে ঘা হয়ে গেছে ...
তারপর পুজোর চাঁদা নিয়ে ...
বাড়ি এসে দাদুকে কলার ধরে মার ...
গা জোয়ারি করে বাড়ির সামনে ব্লক করে
ক্লাবঘর গড়ে তোলা ...
বাবা বলতে গেলে মাঝরাস্তায় ফতুয়া ছিঁড়ে ...
আহ ... সেদিনের সেইমুখটা কি কষ্টের ... হাহাহা ...
বাবা কেমন ভারসাম্য খুইয়েছিলেন তারপর ।
এরপর ওষুধের দোকানের সামনে
আমার শরীরকে আবার পাওয়ার কামনা ...
শাড়ির পাড় ছিঁড়ে ওষুধগুলো বুকে করে
ছুটছি , ছুটছি , ছুটছি ...
তবুও হার মানিনি , কেনই বা মানবো ?
বরং মনে হয়েছিলো এবার হয়তো
এর শেষ দেখতে বা দেখাতে হবে ...
হ্যাঁ দেখাতেই হলো ;
আজ আমার বন্ধুর সাথে মন্দারমণি এসে
রুমের দরজা ওইভাবে বন্ধ হবে ভাবিনি ।
শরীর থেকে কিছুমাত্র সম্ভ্রম নামার আগে
ফলকাটা ছুরিতে মারলুম এক কোপ ,
গলাটা ফালি করতে লাগলো ১৫ মিনিট ।
এটাতেই থামতে পারতাম ,
সেই কাঁটা কবেকার উপড়ানো শেষ কিন্তু ;
আমার বান্ধবীটিকে খুঁজে পাওয়া জরুরী ছিলো ।
পেলামও নীচে রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারের সামনে ।
" কিরে হয়ে গেলো ? "
" হুম আর কতক্ষণ লাগে ? "
" চ স্নানে যাই , ও যাবে না ? "
" ঘুমুচ্ছে । চ আমরাই যাই । "
ঢেউ কাটিয়ে হাত ধরে একটু মাঝখানে গেছি ,
ওর তখন খুব আনন্দ ;
ঢেউয়ে গোটা শরীর ভিজিয়ে যাচ্ছে যে ।
পিছন থেকে ওর চুলের গোছা ধরে
আমি জলের মধ্যে ডুবিয়ে দি ,
" ছা... ড়ড়... কষ্ট ... "
কি ভাগ্যিস কেউ বোঝেও নি মাঝসমুদ্রের খেলা ।
একসময় ওর ফ্যাকাসে মুখটা শূন্যে তাকিয়ে
ভেসে গেলো মাঝদরিয়ায় ।
এবার বলুন আমি খুনী ?
আমি কি খুনী ... কী হলো বলুন ...
পুলিশ ডাকবেন পরে ...