Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Rima Goswami

Horror Tragedy Thriller

3  

Rima Goswami

Horror Tragedy Thriller

রুবির খাজানার খোঁজে

রুবির খাজানার খোঁজে

4 mins
277


গাড়িটা হু হু করে ছুটে চলেছে হাইওয়ে দিয়ে রাতের অন্ধকার ভেদ করে । গন্তব্য মুরাই প্রদেশের বিখ্যাত সেই গুহা যেখানে নাকি আছে রুবি পাথরের বিশাল খাজানা । কথিত আছে ওখানে বহু লোক গেছে কিন্তু আসল গুহাটাই কেউ খুঁজে বের করে উঠতে পারেনি । অনেকে মারা গেছে দুর্ঘটনায় আবার অনেকে নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে । ইভেন গভর্মেন্ট ও পারেনি ওই বিপুল রত্ন ভান্ডার উদ্ধার করতে । ধীরে ধীরে সবাই ওই বিপুল রুবির আশা ছেড়ে দিয়েছে । লগ্নজিতা আর সাক্য দুজনেই নাম করা অস্ট্রোলজিস্ট , ওদের বিয়ে হয় নিজেদের কমিউনিটি গেটটুগেদারে আলাপ থেকে । সাক্যর বহুদিনের রিসার্চ এই মুরাই প্রদেশের পাহাড় নিয়ে । দীর্ঘ গবেষণা করে সাক্য এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে মাঘী পূর্ণিমার বিশেষ তিথিতে আশ্লেষ নক্ষত্রের চূড়ান্তে থাকার সময়ই ওই রুবি পূর্ন গুহা দৃশ্যমান হয় । কোন দেবগনা নারী যার সিংহ রাশি আর তার জন্ম বৃহস্পতিবার রাতে তার পক্ষেই সম্ভব ওই গুহা ভেদ করার । লগ্নজিতার আসল নাম আন্না কিন্তু সাক্য নামটা খেলো এই যুক্তিতে নতুন নাম এভিডিবিট করে লগ্নজিতা রাখে । আসলে আলাপের পরই সাক্য লগ্নজিতার জন্মর সময় আর বাকি সব নথি জেনে নেয় কৌশলে তার পর জেনে যায় এই মেয়েই সেই মেয়ে যার অপেক্ষায় সে ছিল এত দিন । জাতিকার নাম লগ্নজিতা হওয়াটা বাঞ্চনীয় মনে হয় সাক্যর যে লগ্নকে জয় করে নিতে পারে । সেই মত সব কিছুই হয়ে যায় ঠিকঠাক , বিয়ের পর লগ্নজিতাকে জানিয়ে দেয় সে এক বিশেষ অভিযানে সে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই আর এতে স্ত্রীর সঙ্গে যাওয়াটাই মঙ্গলজনক । লগ্নজিতা পেশায় এক অস্ট্রোলজিস্ট হলেও তার এই ব্যাপারে কোন জানকারী ছিলোনা , সে কিছু না বুঝেই স্বামীর সাথে যেতে রাজি হয়ে যায় । বহুক্ষণ ড্রাইভের পর ওরা পৌঁছে যায় মুরাল প্রদেশের ওই গুহার এলাকায় । গাড়ি পার্ক করে সাক্য লগ্নজিতা এগিয়ে যায় ওই গুহার দিকে । গ্রহ নক্ষত্রের পূর্ন মিলন হয়ে গেছে ততক্ষণে তাই গুহা এখন দৃশ্যমান । লগ্নজিতা সভয়ে জানতে চায় সাক্য কে এই অজানা জায়গায় এসে এভাবে একটা গুহার ভিতরে আচমকাই ঢুকে যাওয়াটা কি ঠিক হবে ? সাক্য আর ধৈর্য রাখতে পারছে না , শান্ত সদা হাস্যময় স্বভাবের সাক্য ধমকে ওঠে স্ত্রীর উপর । চলো তাড়াতাড়ি লগ্ন থাকতে থাকতে ওই গুহায় প্রবেশ করে রুবি ভাণ্ডার তুলে আনতে হবে আজ না পারলে এই মাহেন্দ্র ক্ষন আসবে একান্ন বছর পর । লগ্নজিতা অবাক ! রুবি এই সাক্যর বিশেষ অভিযান ! এক প্রকার অনিচ্ছা নিয়ে সে এগিয়ে যায় সাক্যর সাথে । গুহার দরজার কাছে আসতেই সাক্য স্ত্রীকে ইশারা করে আগে প্রবেশ করতে । লগ্নজিতা ভয়ে ভয়ে ঢোকে গুহার মধ্য আর মুখের উপর দিয়ে একরাশ চামচিকে উড়ে যায় ডানা ঝাপটিয়ে । টর্চের আলোর সাহারায় এগিয়ে যেতে থাকে ওরা দুজনে , একসময় থকে যায় ওরা । এই গুহার কি শেষ নেই ! কোথায় সেই রুবির খাজানা ? লগ্নজিতার নিঃস্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ওর অষ্থমার সমস্যা আছে । সাক্যকে বার বার সে ফিরে যাওয়ার কথা বলে কিন্তু তার চেনা সেই সাক্যর সাথে এই মানুষটার অনেক অনেক তফাৎ ! এই সাক্যর না আছে মায়া না দয়া । এক জায়গায় এসে ওরা পৌঁছায় যেখান থেকে কেমন একটা জল বয়ে যাবার কূল কূল শব্দ আসছে । ক্লান্ত বিধস্ত লগ্নজিতা বসে পড়ে ওখানে , জলের পিপাসা যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে ওই অদৃশ্য জলের শব্দে । সাক্য এদিক ওদিক দেখতে থাকে আর দাঁড়িয়ে যায় সেই জায়গায় যেখানে গুহার আকৃতি ত্রিভুজের মত হয়ে এসেছে । ত্রিভুজ আকারের ওই কোনে একটু ফাঁক দিয়ে গলে যায় সরীসৃপের মত আর পৌঁছে যায় সেইখানে যা ওর লক্ষ্য ছিল এতক্ষণ । ইউরেকা ইউরেকা বলে চিৎকার করতে থাকে সাক্য । ওই ট্রাইব্যুনালের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে এক ঝর্ণার ধারা আর তার পাশেই পড়ে আছে সেই রুবি ইতস্তত এদিক ওদিক । টর্চের আলো পরে সেই রুবি গুলোর লাল রঙ ঠিকরে যাচ্ছে গুহার চারদিকে । ঘড়ি দেখে নেয় সাক্য হাতে আর বেশি সময় নেই সে একটা একটা করে রুবি তুলে একটা কাপড়ের পোটলা তে ভরে । যা পরিমান রুবি আছে নিতে গেলে জীবন শেষ হবে না তবে লগ্ন শেষ হয়ে গেলে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে আর তারা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এই গুহায় । এগুলি মূল্যবান রুবি তাই এক পোটলা নিয়ে যেতে পারলেই সে বিশ্বের ধনীদের মধ্য একজন হয়ে যাবে । পোটলা ভর্তি করে সে বেরিয়ে আসে ওই স্থান থেকে আর দেখে লগ্নজিতা পড়ে আছে , ওকে ডাকতে গিয়ে সাক্য আবিষ্কার করে লগ্নজিতার মৃত্যু হয়েছে সাফকেশনের ফলে । ওর বডি বইতে গেলে এই গুহার এতটা রাস্তা পেরোনো সম্ভব হবে না । তাই ওকে এখানে রেখেই সাক্য বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্তে আসে । ছুটে ছুটে সে প্রায় পৌঁছেই যায় গুহার মুখের কাছে কিন্তু বেরোনোর প্রাক মুহুর্তে দ্রুত বন্ধ হয়ে যায় গুহার মুখ । সাক্য অনেক চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই পাথুরে দেওয়ালের সাথে যুদ্ধে পেড়ে ওঠে না । বন্ধ গুহায় খাদ্যহীন , সঙ্গীহীন এই রুবির পোটলা সাক্যর কোন কাজেই আসবে না । দীর্ঘ একান্ন বছর পর এই গুহা কোন এক লগ্নজিতাই খুলতে পারবে হয়ত ! ততদিন কি সাক্য পারবে এই দীর্ঘ কারাবাস কাটাতে ? পাগলের মত রুবির পোটলাটার দিকে তাকিয়ে থাকে সাক্য এক দৃষ্টিতে , যেগুলোর আকাঙ্ক্ষাতে নিজের তৃষাত্ব স্ত্রীর মুখে তুলে দেবার জন্য জলের পরিবর্তে ওই প্রাণহীন রুবি গুলোকে বেছে নিয়েছে । রুবি গুলো যেন ব্যাঙ্গের হাসি হাসছে ওর দিকে তাকিয়ে , ফিসফিস করে সাক্যর কানে বলছে দেখো তো সাক্য আমাদের চিন্তে পারো কি না ? আমরা তোমার সেই লোভ , সেই আকাঙ্খা গুলো যার জন্য তুমি তোমার স্ত্রীকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিয়েছো । আমরা আজ তোমার হাতের মুঠোয় কিন্তু তবু তুমি আজ শুন্য কেবলই শুন্য ।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror