ভালোবাসা থেকে যায়
ভালোবাসা থেকে যায়
ফোনটা এসেছিল বেলা তিনটায়, মিমি সবে স্কুল থেকে ফিরেছে, সন্ধ্যার ফ্লাইটে বাবিনের ফেরার কথা। অফিসের কাজে সিকিম গেছিল।
ভাই খবর পেয়ে ফোন করেছিল। আমার ভাই শিলিগুড়িতে রয়েছে তাই কিছুটা শান্তি। এয়ারপোর্টের রাস্তায় বাবিনের গাড়িটা এক্সিডেন্ট হয়েছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিল স্থানীয় লোকেরা। ও ভাইকেই আগে খবর দিয়েছিল। তারপরের কয়েক ঘন্টা কেটেছে তুমুল ব্যস্ততায়। বাবিনের সাথে ভাই একবার কথা বলালেও নিশ্চিন্ত হতে পারিনি। তাড়াহুরো করে সন্ধ্যার বাসেই রওনা দিয়েছিলাম মিমিকে নিয়ে।
ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, হঠাৎ বাসটা জোরে ব্রেক করায় মাথাটা ঠুকে গেলো সামনের সিটে। চোখ খুলে বাইরে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পেলাম না। আমার মত বেশ কিছু যাত্রির ঘুম ভেঙ্গেছে। রেডিয়াম ডায়েল বলছে রাত দুটো, ফারাক্কা ব্যারেজ পার করেছিলাম কিছুক্ষণ আগে। এতক্ষণে মালদা পৌঁছে যাওয়ার কথা। পাশের সিটে মিমি ঘুমিয়ে কাদা। বাসে যাতায়াতের অভ্যাস নেই ওর। ফ্লাইটে বা এসি ট্রেনেই যাতায়াত করি আমরা।
কিন্তু গত পনেরো দিন থেকে ট্রেন বন্ধ উত্তরবঙ্গের। বৃষ্টি আর বন্যায় কি এক ব্রিজ ভেঙ্গে গেছে। আর বেলা তিনটায় যখন ভাইয়ের ফোনটা এলো তখন আর ফ্লাইট নেই।
বাসের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল আমার পাশের ফ্ল্যাটের চৌবেজি। ওনার ট্রান্সপোর্ট বিজনেস। বাবিনকে সবাই পছন্দ করে। সবাই চিন্তিত। ছ বছরের মেয়েকে নিয়ে একা বহুবার উত্তরবঙ্গ গেলেও বাসে এই প্রথম। ছেড়া ছেড়া মেঘের ফাঁকে চাঁদ যেন লুকোচুরি খেলছে।
অন্ধকারে চোখ সয়ে যেতেই বুঝলাম চারদিকে জল থৈ থৈ করছে। মালদায় বন্যা হয়েছিল তবে জল নেমে গেছিল শুনেছিলাম। বাসের যাত্রীদের আলোচনায় বুঝলাম গত দু দিনের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে। মহানন্দার সাথে এবার গঙ্গার জল ও ঢুকতে শুরু করেছে। সামনের একটা ব্রিজের উপর দিয়ে জল যাচ্ছে। ওদিকে ফোনে নেট ওয়ার্ক নেই। এতক্ষণ যে মনের জোরে চলছিলাম তা বন্যার খড়কুটোর মত ভেসে গেল। মিমিকে বুকে চেপে ধরলাম। কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমেছিল। তারা উঠে এসে তাদের পরিবারদের নেমে পড়তে বলল। জল নাকি হু হু করে বাড়ছে। সামনেই একটা ধাবা আর পেট্রোল পাম্প আছে। অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিচ্ছে। বাস কখন চলবে ঠিক নেই। চারদিকে চাপচাপ অন্ধকার আর কুলুকুলু জলের শব্দ। তারসাথে কেমন একটা ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।
মুহুর্তের মধ্যে বাস খালি হয়ে গেছিল। কনডাকটার বলল এখানে ডাকাতি হয় খুব। একা বাসে বসে না থেকে ধাবায় চলে যেতে। এমনিতে আমি সাহসী হলেও এমন বিপদে কখনো পড়িনি। ততক্ষণে ড্রাইভার লাইট নিভিয়ে দিয়েছে । আমিই শেষ যাত্রী। পেছনে দুটো বড় ট্রাক দাঁড়িয়ে। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। সাথে একটা ঢাউস সাইড ব্যাগ। ভগবানের নাম নিয়ে মিমিকে কোলে নিয়ে ব্যাগ নিয়েই নেমে পড়লাম। এত উঁচু বাস রাস্তাতেও পায়ের পাতা ডোবা জল। চুড়িদার ভিজে যাচ্ছে। অন্ধকারে লোকজন তেমন চোখে পড়ল না। সামনের দুটো বাস ফাঁকা। আমি নামতেই ড্রাইভার আর কন্ডাকটার কোথায় যেন হারিয়ে গেল। গা ছমছম করে উঠল। একটাকা রাত জাগা পাখি টিটি করে তীক্ষ্ম চিৎকার করে উড়ে গেলো মাথার উপর দিয়ে। মিমিকে কোলে নিয়ে জল ঠেলে এগোতে কষ্ট হচ্ছে বেশ। কোনো আলো নেই, লাইন দিয়ে ট্রাক মেটাডোর বাস সব দাঁড়িয়ে। কয়েক পা এগোতেই দু জন লুঙ্গি পরা ট্রাক ড্রাইভারকে দেখতে পেলাম। ওদের মোবাইলের আলোয় বহুদূর অবধি গাড়ির লাইন চোখে পড়লেও ধাবা বা পেট্রলপাম্প দেখতে পেলাম না কোথাও। লোক দুটো আমাকে ঐ অবস্থায় দেখে বিশ্রি রসিকতা করে উঠল নিজেদের মধ্যে। দু এক ফোঁঁটা বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে আবার।পা চালিয়ে একটু এগোতেই হঠাৎ একটা লম্বা অবয়ব বেরিয়ে এল একটা গাড়ির পেছন থেকে। পরনে বর্ষাতি, পায়ে বুট। আমি মিমিকে ওড়নায় ঢেকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ লোকটা পথ আটকালো।
-''একা এত রাতে কোথায় যাচ্ছিস?''
গলার স্বর শুনে চমকে তাকালাম। এ স্বর আমার পরিচিত, আব্বাস। আমার কলেজের বন্ধু। ওকে এভাবে এখানে দেখবো কখনো ভাবিনি। এই দুর্যোগের রাত্রে এত বছর পর সহপাঠী কে দেখে পরম আত্মীয়ের মত মনে হল আমার। বললাম -''তুই এত রাতে এখানে?''
-''ফিরছিলাম এ পথে। আটকে গেছি। ''
-''আমিও, একটা বিপদে পড়ে এই দুর্যোগের মধ্যে এভাবে ছুটে চলেছি। এখন মেয়েকে নিয়ে কি যে করি?''
-''আমার সাথে আয়। আমি দেখছি। একটা ব্যবস্থা ঠিক হবে। '' ও জোর করে ব্যাগটা টেনে নিল। বলল -'' মেয়েকে আমার কোলে দিতে পারিস, জল ভেঙ্গে অনেকটা যেতে হবে। ছাতা আছে ?''
-''না, মানে এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসেছি ছাতা বা রেনকোট আনিনি রে। ''
ও মিমিকে টেনে নিল নিজের কোলে। আমি ওদের পেছনে এগিয়ে চললাম। জলের ছপছপ শব্দ ছাড়া আর শব্দ নেই তেমন। আধ মাইল মত হেঁঁটে দূরে আলোর রেখা দেখতে পেলাম। ভাগ্যিস আব্বাস ছিল। না হলে যে কি হত!! এতটা পথ এভাবে একা মেয়েকে কোলে নিয়ে যাওয়া!!
অবশ্য ধাবায় পৌঁছে দেখি তিল ধারণের জায়গা নেই আর। তিনটে ধাবাই ফুল। বৃষ্টির ছাট থেকে বাঁচতে পেট্রল পাম্পে বহু লোক আশ্রয় নিয়েছে।
আমি অসহায়ের মত আব্বাসের দিকে চাইতেই ও বলল -''এই ব্রিজটা পার করলে আরো দুটো ধাবা আছে। ওদিকে জল কম। কোনো বাস বা ছোট গাড়ি যদি ফিরে যায় শিলিগুড়ি তবে চলেও যেতে পারবো। ''
আমিও মন্ত্র মুগ্ধের মত চললাম ওর সাথে। আব্বাস এক সময় আমায় পছন্দ করত বেশ বুঝতাম। কখনো পাত্তা দেইনি। ও কখনো সেভাবে বলেনি। দুজনেই জানতাম ধর্মীয় সীমারেখার কথা। খুব সুন্দর কবিতা লিখত ও। আজ এই বিপদের রাতে ওকে দেবদূত মনে হচ্ছিল।
ব্রিজের উপর দিয়ে বইছে নদী। জল যদিও হাঁঁটুর নিচে। সেসব পার করে উল্টোমুখি গাড়ির লাইন ধরে এগিয়ে একটা ধাবা পেলাম। লোক রয়েছে অল্প। বড় ধাবা বেশ। আব্বাস ম্যানেজার কে বলে আমাদের নিয়ে দোতলায় উঠে এল। কোনের একটা ঘর খুলে দিল একটি কর্মচারী। ঘরে একটা টিমটিমে বালব হলুদ আলো ছড়াচ্ছে। ড্রাইভাররা বিশ্রাম করে হয়তো এসব ঘরে। ভ্যাপসা গন্ধ। আমি ইতস্তত করছিলাম ঢুকতে। এভাবে এত রাতে ওর সঙ্গে এক ঘরে...
-''তোরা শুকনো পোশাক পরে নে। মেয়েকে ভেজা জামায় রাখিস না। আমি দেখি ওদিকে গাড়ির কি ব্যবস্থা হয়। '' ও মিমিকে শুইয়ে নেমে গেল নিচে।
আমি তাড়াতাড়ি মেয়ের পোশাক বদলে দিলাম। ঘুমালে আমার মেয়ে কিছুই টের পায় না। গভীর ঘুম। জেগে থাকলে খুব দুষ্টু ও।
ঐ তেল চিটে বিছানায় ওকে শুইয়ে নিজের প্যান্ট বদলে নিলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পর আব্বাস ফিরল। বলল -''একটা সুমো শিলিগুড়ি ফিরছে। চল, ওতে চলে যাই। ওদিকে জল কম, ভোরেই পৌঁছে যাবো। ''
আমার হাতে অন্য উপায় নেই। এত রাতে এখানে বসে থাকার চেয়ে এগিয়ে যাওয়া ভালো। আব্বাস যখন রয়েছে চিন্তা কি?একটু পরেই সুমো এগিয়ে চলল গাড়ির মিছিলের পাশ দিয়ে। মাঝের সিটে মিমিকে শুইয়ে ওর মাথাটা কোলে নিয়ে বসেছি। আব্বাস বর্ষাতি গায়েই সামনে বসেছে। খুলতে বলেছিলাম, বলল পথে নামতে হতে পারে, বৃষ্টিতো ঝরেই চলেছে একভাবে।
বড় রাস্তায় গাড়ির লাইন, সে পথ ছেড়ে সুমো একটা সরু পথ ধরেছিল। হয়তো শর্টকাট। আমি এতক্ষণে একটু সাহস পেয়েছি। বললাম -'' তোর কথা বল, কোথায় আছিস? কি করছিস? ''
-''শিলিগুড়িতেই আছি। ব্যবসা করছি একটা। ''
ওকে বাবিনের কথা বললাম। কিন্তু ও তেমন আগ্ৰহ দেখালো না। শুধু বলল -''ভালো হয়ে যাবে তোর বর।''
একটু চুপ করে থেকে আবার বললাম -''বিয়ে করেছিস?'' ও দু দিকে মাথা নাড়ল।
-'' কলেজে থাকতে কত কবিতা লিখতিস , এখনো লিখিস?''
ও হাসল, বলল -''যাকে লিখতাম সে তো দেখতোই না। বাদ দে। বিয়েও আর হল না এ জীবনে। ''
-''এমন করে বলছিস যেন জীবন শেষ, আমাদের অনেক বন্ধুরা সবে বিয়ে করছে এখন। তুই ও করে ফেল। ''
-''আর হবে না রে। ভাগ্যে নেই। যাকে ভালবাসলাম সাহস করে বলতেই পারলাম না কখনো। ''
-'' তাতে কি হয়েছে, নতুন কাউকে খুঁজে নে। দেখবি মনের মত সাথী পাবি। ''
ওর দীর্ঘশ্বাস শুনতে পেলাম। বলল -''বাদ দে ও সব। আর ভাবি না আমি। আসল ভালোবাসাকে কি ভোলা যায়!! ভালোবাসা থেকে যায় রে...। ''
আমি কথা ঘোরাতে দু একটা প্রশ্ন করে আলাপটা চালিয়ে যেতে চাইলেও ও তেমন উৎসাহ দেখালো না।
পূব দিক লাল হচ্ছে ধীরে ধীরে, গাড়ি বেশ জোরেই ছুটছে। কে জানে বাবিন কেমন আছে!! ভাই বলেছে চিন্তা করতে না। খোঁজ ও নিতে পারছি না। মোবাইলে টাওয়ার নেই। ঘুমন্ত মিমির দিকে চেয়ে মনকে শক্ত করলাম।
এখন আব্বাসকে নিয়ে এত ভাবার সময় নেই। আর ও কার কথা বলছে কে জানে।
-''তোর বরের কিছুই হবে না। একটু পরেই পৌঁছে যাবি তুই। '' আব্বাস আবার বলল।
আমি ঠাকুর কে স্মরণ করে কপালে হাত ছোঁওয়ালাম।
দু দিকে চা বাগান আর দূরে পাহাড় ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। আবছা মেঘ আর কুয়াশার চাদর সরিয়ে কমলা বলটা উঁকি দিচ্ছে আকাশের কোনে। একটু পরেই পথে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেল। শহরে ঢোকার মুখেই নেওটিয়া হাসপাতাল। আব্বাস গাড়ি থামাতেই মিমিকে নিয়ে নেমে পড়লাম। ও বলল -''তুই যা, আমি গাড়িটা ছেড়ে দিয়ে আসছি। ''
-''ভাড়া.... কত টাকা?''
-''তুই ঢোক, আমি এসে বলছি ।'' একটা বড় আম্বুলেন্স বের হচ্ছিল। তার পেছনে লাল সুমোটা গেটের দিকে এগিয়ে গেল।
লবিতে ভাই বসে ছিল। দু চোখে রাত জাগার ক্লান্তি। আমায় দেখেই ছুটে এল। বলল -''কি করে এলি তোরা এত ভোরে? মালদায় আবার জল বেড়েছে। সব গাড়ি আটকে গেছে। আমার চিন্তায় ঘুম হয়নি সারারাত।তোকে ফোনেও পাচ্ছিলাম না। ''
-''আরে এক বন্ধু পৌঁছে দিল। বাবিন কই?''
-''জিজু ঠিক আছে। সব রিপোর্ট ওকে। একটু কেটে ছড়ে গেছে, একটা হাত ভেঙ্গেছে। আজ প্লাষ্টার হবে। কিন্তু তুই...''
-''আরে আব্বাস কে মনে আছে তোর। আমার সাথে পড়ত। ওর সাথে মালদার কাছে দেখা হঠাৎ। ও হঠাৎ একটা সুমো জোগাড় করে পৌঁছে দিল। ''
-''ক...কে.... আব্বাস !! ?''
-''শেখ আব্বাস, আরে আমাদের বাড়ি আসত তো, তোর মনে নেই। আমার সাথে পড়ত। দাঁড়া, ও আসছে এখনি। গাড়িটা ছাড়তে গেছে। ''
আমার ভাই দ্রুত বাইরে বেরিয়ে এলো। পেছন পেছন আমি!! বাইরে রাত শেষ হয়ে সবে দিন শুরু হয়েছে। চারদিক ফাঁকা। আব্বাসকে দেখতে পেলাম না!! গাড়িটাও নেই!!
মিমি জেগে গেছে। অবাক হয়ে তাকাচ্ছে। ওকে ভাইয়ের কাছে দিয়ে এগিয়ে গেলাম রাস্তায়। নাঃ, নেই।
ভাইকে বললাম -''আচ্ছা পাগল ছেলে, সারাটা রাত জেগে ভূতের মত এলো। আমায় পৌঁছে দিল। উবে গেলো ! ফোন নম্বরটাও নিতে ভুলে গেলাম জানিস !''
-''দিদি, তুই শিওর ওটা আব্বাস ছিল ? লাল সুমো কি ?''
-''হ্যাঁ, কিন্তু লাল তোকে কে বলল?''
ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল কয়েক সেকেন্ড। তারপর ধীরে ধীরে বলল
-''জিজুর গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল একটা লাল সুমো। ব্রেক ফেল করে একটা বড় গাছে ধাক্কা খেয়েছিল গাড়িটা। ড্রাইভার আর একজন যাত্রী ছিল। স্পট ডেড। ''
-''ঈশ.... চিনিস ওদের ?''
-'' শিলিগুড়ির গাড়ি, আর যাত্রী ছিল তোর বন্ধু ... আব্বাস। বডিটা পোষ্ট মর্টমে গেছে তুই ঢোকার একটু আগেই। ওর বাড়ির লোক এসেছিল। এই তো আম্বুলেন্সে নিয়ে গেলো। আব্বাস দা একটা কালো রেনকোট পরে ছিল , রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। ব্যবসায় কাজে যাচ্ছিল ওরা....''
আমার কানে আর কিছু ঢুকছিল না। চারপাশটা কাঁপছে। ভাই না ধরলে পড়েই যেতাম।
সারাটা রাত এত গল্প করলাম, কত কি বললাম.... ও শুধু বলেছিল বাবিন ভালো হয়ে যাবে। আচ্ছা, আমি তো আব্বাসকে নেওটিয়া হাসপাতাল বলি নি। ও কি করে জানল? তবে কি ও...
মরে গিয়েও ও আমায় ভোলেনি, আমার বিপদে এত অল্প সময়ে আমায় পৌঁছে দিল ওরা ?? তা কি বাবিনের দূর্ঘটনা ওদের সাথে হয়েছিল বলে? নাকি ...!!
ও কি যেন একটা কথা বলেছিল.... ভালোবাসা থেকে যায়!! তাই কি আমার বিপদের রাতে ও আমায় এভাবে বাঁচিয়ে দিল !!