তারা আজও আছে
তারা আজও আছে
" আঃ।" মেঝেতে গড়িয়ে পড়ল বিদেশের দেহটা। এই নির্জন ফার্ম হাউসে তাঁর অন্তিম আহ্বান শোনার মত জনপ্রাণীও নেই।
" স্যার, আমি নিশিগন্ধা। ফোন করেছিলাম চাকরীর ব্যাপারে। অবিনাশদা পাঠিয়েছেন।"
" হুম।"
বিদেশের প্রতিটি রক্তবিন্দু উষ্ণ হয়ে উঠছে। অবিনাশ কোত্থেকে যে মেয়েগুলোকে জোগাড় করে! মেয়েটার শরীরটা মাখনের মত নরম তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এরকম শরীর বিছানায় দলে-পিষে নিঃশেষ করার উত্তেজনাই অন্যরকম। অবিনাশ এমনভাবে মেয়েগুলোর সামনে নিজেকে দাদারূপে তুলে ধরে যে অন্ধের মত বিশ্বাস করে বসে মেয়েগুলো। সেই সুযোগে অবিনাশ মেয়েগুলোকে বিদেশের ফার্ম হাউসের পথ ধরিয়ে দেয়। মেয়েটা তার বায়োডাটা দেখাচ্ছে। বিদেশ মনে মনে হাসলেন। কাগজ নয় তিনি দেখতে চান শরীরের অলিগলি।
"আমার কাজের জন্য তুমি
এক্কেবারে পারফেক্ট।"
" থ্যাংক ইউ স্যার।"
" শুধু একটা টেস্ট বাকি?"
" টেস্ট?"
বিদেশ মেয়েটাকে নিজের বুকের মধ্যে চেপে ধরে বললেন," শুধু ফিজিক্যাল টেস্টটা বাকি।" বিদেশের নাগপাশের মধ্যে মেয়েটা ছটফট করে উঠলো। বিদেশ নিজের ঠোঁটদুটো দিয়ে মেয়েটার লাল টুকটুকে ঠোঁটদুটো কামড়ে ধরলেন।
ব্যবসায়ী বিদেশ সেনের রহস্যজনক মৃত্যু। পুরো শরীর বিষক্রিয়ায় নীল হয়ে গেছে কিন্তু ওনার বিষপানের বা শরীরে কোনও বিষাক্ত প্রাণীর দংশনের প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বডি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে।
টিভির পর্দায় চোখ রেখে ঠোঁটের কোণে হাসি খেলে গেল নিশিগন্ধার। এবার পালা অবিনাশের। বিদেশও জানত না আর অবিনাশও জানেনা যে তারা আজও আছে, বিষকন্যা।