স্ট্রিগয়
স্ট্রিগয়


রোমানিয়ার ট্রানসিলভানিয়া প্রদেশের এইদিকটা মোটামুটি জনবিরল বললেই চলে। আজ শনিবার,আজ এখানকার মানুষদের মনে কাজ করে এক অজানা আতঙ্ক। এই শনিবারের অভিশপ্ত দিনটাতেই নাকি কবর থেকে উঠে আসে স্ট্রিগয়। স্ট্রিগয় শুধু মানুষ নয়,জীবজন্তুর রূপ ধারণ করতে সক্ষম,প্রয়োজনে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। স্ট্রিগয় যে ব্যক্তিকে আক্রমণ করে তার দেহের সমস্ত রক্ত পান করে নিজের প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করে।
রোমানিয়ায় হানিমুন কাটাতে এসেছে অজয় আর পায়েল। অজয় একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু পৃথিবীতে এতো সুন্দর জায়গা থাকতে জনবিরল পর্বতসঙ্কুল রোমানিয়া কেন! আসলে বাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলা পড়ে অজয় যে কবে রোমানিয়ার এই ভৌতিক পরিবেশের ফ্যান হয়ে গেছে তা অজয় নিজেই জানে না!
পুরনো ভাঙা চার্চের কাছাকাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অজয় আর পায়েল। শনিবারের এক সোনালী বিকেল। কাছাকাছিই নাকি কোনো পরিত্যক্ত কবরস্থান আছে। হঠাৎই আকাশ কালো করে প্রচণ্ড ঝড়,সেই সাথে বৃষ্টি। কোনোওমতে হোটেলে ফিরল দুজনে।
রাতের বেলা। হোটেলে হাত ধরাধরি করে বসে আছে দুজনে। দুজনের চোখেই প্রেমের ভাষা। কিন্তু এ কি হচ্ছে অজয়ের! চোখদুটো এমন লাল টকটকে দেখাচ্ছে কেন,সারা মুখ এমন বীভৎস কেন হয়ে উঠছে,কিসের একটা পচা গন্ধ বেরোচ্ছে যেন,ঠোঁটের আগা থেকে বেরিয়ে আসছে একজোড়া তীক্ষ্ণ শ্বদন্ত।আর নিজেকে সামলাতে পারছে না পায়েল। সে যেন এক সম্মোহনে রয়েছে। অজয়ের অঙ্কশায়িনী হল সে।