" সঙের শিবরাত্রি"
" সঙের শিবরাত্রি"


শিশু- এ বাপ! তুমি কে গো? তুমার মাথায় এতনা জটা !গায়ে কি !এতনা ছাইপাঁশ মাখ্যেছ!
মহাদেব- আমি শঙ্কর কৈলাস থেকে আসছি।
শিশু- শুন জটাবাবা !শুনেছি উখানে শিব বলে কেউ থাকে, আজ নকি উহার পুজা হছে। তুমি চিনহ?
মহাদেব- চিনি রে।
শিশু- শিব বাবাকে দেখল্যে একটা কথা বইলব্যে তো গরীরের ছেইল্যারা না খাতে মরছে।মানুষ উহার পাথরের মুরতিটাই দুধ,মধু, ঘি,কলা, হুকা কলকা আরহ কতনা কি দিছে।সব পাছে কি?
মহাদেব-ঠিক আছে বাবা।আর কি করতে হবে বল।
শিশু - চল হাউ শিব থানটাই নিজেই দ্যাখো দুধটা কেমন নালা দিয়ে বইহে যাছে। আর দেখ হামার মা মরা বহিনটা এক কাপ দুধ পাছে নাই।
মহাদেব- ( সজল নয়নে) বাছা একটু জল দে তো।
শিশু- লাও
মহাদেব- দুধ আনলি যে!
শিশু- শিব ঠাকুরের জন্যে লতুনমা রাখেছ্যে বাবু তুমি খাও।
মহাদেব- বাবু !খোকা তুই চিনলি কেমনে?
শিশু- তুমার ডুগডুগি দেখেই বুঝেছি বাবু ছুটুর লে দেখছি উটা লিয়ে তুমি বান্দর লাচ দেখাও আর তুমার চোখের জলে যে নীল রঙটাও ধুয়ে গেছ্যে। বাবু তুমার কপালে রক্ত কেন্?
মহাদেব- সঙসাজে বেশ পুজার মন্ডা মিঠাই পাতেছিলি। আচমকা একজন দুধ ঢালতে অ্যাইল তখন গুটাই পুটাই দিলি দৌড়। পেছনেল্যে কে যে ঢিল ঠুকে দিলল্য!বেটারা হামকে ধরইত্যে পারে নাই।
শিশু- সঙসাজে বাবু এতনা ফল মিস্টি পাইল্যে। সত্যি শিব হলে!
খিল খিলিয়ে হেসে উঠল দুজনে।