অভয়া
অভয়া
ঢং ঢং ঢং ঢং..করে ছুটির ঘন্টা বেজে উঠল। অরুনিমার ক্লাস শেষ। হৈ হৈ করতে করতে বান্ধবীদের সাথে বেরিয়ে আসছে অরুনিমা। বছর সতেরোর অরুনিমার রূপ যেন মুক্তোর মতো ঝরে পড়ছে।
অরুনিমা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে বাসের অপেক্ষায়। প্যাঁক প্যাঁক হর্ণের শব্দটা কানে যেতে অরুনিমা পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখে এক আইসক্রীমওয়ালা কে।
সে হাঁক দিল, "ও কাকু, এদিকে ... আসুন"-
লোকটিও তার ডাক শুনে আইসক্রীমের গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে এল তাদের কাছে। অরুনিমা বলল, "কাকু দুটো ভ্যানিলা আর দুটো বাটারস্কচ দিন।"
মাঝখান থেকে ঝিমলি বলে ওঠে, "না না কাকু আমাকে কর্নেটো দিন।"
"এই যে মামনি'রা একে একে সবাইকে দিচ্ছি"-
ব্যস্ত সড়কের পাশে তাদের হাসি ঠাট্টার রোল চলছে। আইসক্রীমওয়ালা কে উদ্দেশ্য করে ঝিমলি বলে, "ও কাকা, মাথা ভর্তি পাকা চুলে একটু কলপ করলে তোমাকে বেশ সুন্দর লাগবে।"
-"কি যে বলো মা, এই আইসক্রীম বেচে যে টাকা হয় তাতে টেনেটুনে সংসারটুকু চলে, তার সাথে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ। কলপ কোথা থেকে আসবে মা!"
ঝিমলি বৃদ্ধ মানুষটির মুখের দিকে চেয়ে রইল। মনে মনে ভাবছে, "সত্যিই বাবারা এমন হয়।"
কয়েকমাস আগেই ঝিমলির বাবা মারা গেছে। বৃদ্ধমানুষটির মুখে 'মা'- ডাকটা শুনে স্মৃতির পানসিতে চড়ে পাড়ি দিল শৈশবে। সেই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে বাবার হাত ধরে আইসক্রীমের বায়না ধরার ক্ষণে। নিজের অজান্তেই চোখের দুটো পাতা ভিজে গেল।
প্যাঁক প্যাঁক.... করে আইসক্রীম কাকু এগিয়ে চলল। সংসারের বোঝা ঠেলতে ঠেলতে জুতোর শুকতলাতে হয়েছে ক্ষত। ঝিমলি অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইল বৃদ্ধ মানুষটির দিকে।
"চল চল ঝিমলি উঠে পড়, বাসটা ছেড়ে দেবে"-
অরুনিমার ডাকে ঝিমলি স্মৃতির ঘর থেকে ফিরে এল বাস্তব জগতে।
ভীড় বাসে গাদাগাদি করে চার তরুণী কোনো মতে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ একটা মাঝবয়সি লোক অরুনিমার পেছনে দাড়িয়েছে। লোকটির হাবভাব ভালো ঠেকছে না দেখে অরুনিমা বলল, "এই যে কাকু একটু সরে দাঁড়ান তো"-
নাছোড়বান্দা লোকটি বলল, "এতো অসুবিধা যখন পাবলিক বাসে না চড়ে প্রাইভেট কারে যাতায়াত করলেই হয়"।
অরুনিমা রেগে সিংহের মতো গর্জে ওঠে, "আশ্চর্য তো! তাই বলে পাবলিক বাসে চড়ে আপনি মেয়েদের প্রাইভেট পার্টে হাত দেবেন! আপনার দুঃসাহস তো কম নয়!"
লোকটি আবার সাফাই এর সুরে বলে, "ভীড় বাসে অমন হতেই পারে।" পাশের সিটে বসে থাকা ছেলেটি তখন মোবাইলটা বের করে বলে- "এতে সব প্রমাণ আছে।"
"অসভ্য কোথাকার !" এই বলে লোকটিকে সপাটে একটি চড় বসিয়ে দিল অরুনিমা।
বাসের যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপারটা জানাজানি হতেই সকলেই চিৎকার করে বলে, "মার বেটাকে"-
কন্ডাক্টর লোকটির কলার ধরে টেনে হেঁচড়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।
পরের স্টপেজে তিথি, পরী আর ঝিমলিও নেমে পড়ল। অবশেষে একটা সিট পেল অরুনিমা। আর দুটো স্টপেজ পরেই অরুনিমাও নেমে পড়বে।
জানালার পাশে বসে ঠান্ডা বাতাসে মনটা একটু স্বস্তি পেল। মিনিট কুড়ি পর সে নিজের গন্তব্যস্থলে নেমে পড়ল।
সন্ধ্যে হওয়ার মুখে অরুনিমা গলিপথ ধরে বাড়ি ফিরল। কলেজের ব্যাগটা রেখে সোজা বাথরুমে। সাওয়ারটা চালিয়ে নোংরা স্পর্শগুলো মন থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করছে। অরুনিমার মা সরমাদেবী রান্নাঘরে চা বসিয়েছেন। রান্নাঘর থেকে সরমাদেবী ডাক দিলেন " মিঠাই খাবি আয়''- চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে অরুনিমা তার মাকে বাড়ি ফেরার পথে বাসের ঘটনাটা বলল। সরলাদেবী শুনে বললেন, "এই সব লোকের জন্য ঘরের মা মেয়েরা বাসে, ট্রেনে কোথাও নিরাপদ নয়। এইজন্য তুই বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত আমি ভীষণ চিন্তায় থাকি।"
টুংটাং করে মেসেজ একে একে মেসেজ ঢুকছে ঝিমলির ফোনে। ফেসবুক খুলতেই 'হ্যাপি ফাদারস্ ডে 'মেসেজ দেখে মন কেমন ভার হয়ে গেল। সে স্নানটা সেরে হাতেমুখে চারটি খাবার গুজে তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়ল।
তিথি পরীকে ফোন করে বলে, "কি রে আজ কলেজ যাবি না?"- পরী খুকখুক কাশতে কাশতে বলে, "না রে একটু ঠান্ডা লেগেছে, কলেজে যাওয়ার মুড নেই।"
অগত্যা তিথি একাই বেরিয়ে পড়ল বাস স্ট্যান্ডের দিকে। বাসস্ট্যান্ডে ঝিমলির সাথে পরীর দেখা হতেই বলল, "আরে তুই কখন এসেছিস?"
ঝিমলি ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি নিয়ে বলে, "এই দশ মিনিট হল।"
প্যাঁ পোঁ বাসের শব্দ। অফিসটাইমে বাসে ভীড়টাও বেশি থাকে। বাসের জানালা থেকে অরুনিমা ডাক দিল, " ঝিমলি তাড়াতাড়ি উঠে পড় তোদের জন্য সিট রেখেছি"।
থ্রি সীটারে তিনজন বসে পড়ল। বাসের মধ্যে এক হকার উঠেছে, "কলা নিবে..কলা নিবে.." তিথির পাশে এসে লোকটি এসে গলা উচিয়ে বলে, "মোটা মোটা কলা নেবে"-
লোকটি ছিঁচকে চোরের মতো চাহনি দেখে অস্বস্তিবোধ করে তিথির। হাত নেড়ে বলে,- 'লাগবে না।'
তখন একটি বছর পাঁচ -ছয়ের বাচ্চা ঝুপ করে তিথির পা দুটো ধরে বলে, "পাঁচ টাকা দাও না দিদি সকাল থেকে কিছু খাইনি।"
তিথি বলে, "ওরে পা দুটো ছাড়"।
আহা ! ছেলেটার শুকনো মুখটা দেখে বড়ো মায়া হলো ঝিমলির। সে ব্যাগ থেকে পাঁচটা টাকা বের করে দিল, সাথে একটা বিস্কুট প্যাকেট। অরুনিমা বলে, "দ্যাখ এই টুকু বাচ্চা ছেলে ক্ষিদের জ্বালায় কেমন ভিক্ষা করছে। এই বয়সের বাচ্চারা মা - বাবার হাত ধরে স্কুলে যায়।"
কথা বলতে বলতে কখন কলেজ মোড়ে বাসটা এসে গেছে বুঝতে পারেনি ঝিমলিরা।
বাস থেকে নেমে ঝিমলি ওদিক ওদিক দেখতে থাকে। কানে ভেসে আসছে প্যাঁক প্যাঁক শব্দ। খানিকবাদে দেখা মিলল আইসক্রীমওয়ালা কাকুর।
" মামনিরা কি খাবে বলো"- বলে আইসক্রীমের গাড়িটা টেনে তাদের সামনে নিয়ে এল। ঝিমলি পলিথিনে মোড়া একটা বক্স এগিয়ে দিয়ে বলল, "এটা তোমার উপহার কাকা।" খুশি হয়ে কাকা সকলের পছন্দের আইসক্রীম খেতে দিল।
রাতে বাড়ি ফিরে রতন আইসক্রীমের গাড়িটা উঠোনে লাগিয়ে জুতো খুলে ঘরে ঢুকল। স্নান সেরে হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসল। গিন্নি শাক, চচ্চড়ি আর ভাত এগিয়ে দিল । হাত মুখ ধুতে গিয়ে গাড়িটার দিকে চোখ পড়তেই পলিথিনে মোড়া বক্সটার উপর নজর পড়ল। বক্সটা ঘরে এনে খুলে দেখল এক জোড়া নতুন জুতো। রতন ক্ষয়ে যাওয়া ছেঁড়া চটিটা বারবার সেলাই করে পরে। সংসারের বোঝা টানতে টানতে জুতো কেনার স্বপ্ন অধরা থেকে গেছে। পিতৃদিবসে ঝিমলির দেওয়া উপহারটা পেয়ে রতনের পিতৃহৃদয় আনন্দে ভরে গেল।
আকাশে কালো মেঘ জমেছে। দ্রুতবেগে অরুনিমা বাড়ির দিকে এগিয়ে চলল। গলির মাথায় প্রবেশ করতেই বিদ্যুতের ঝলকানিতে অরুনিমা দেখল সুজয় পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটা জলের বোতল।
-'অরুনিমা তোকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমাকে বিয়ে করবি।"
-"পাগলামি করো না সুজয় দা, আমি কিন্তু চিৎকার করব।"
গলির অন্ধকারে সুজয় অরুনিমার হাতটা চেপে ধরে। অরুনিমা এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে বলে, "তোমাকে কতবার বলেছি এভাবে আমাকে বিরক্ত করো না"।
অরুনিমা দ্রুত বাড়ির দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করে। সুজয় ক্ষেপে গিয়ে বলে, "কিসের এত দেমাক !" বলে জলের বোতলের ছিপিটা খুলে ছুঁড়ে মারল অরুনিমার দিকে। অরুনিমা যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে অরুনিমা। প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য এমন বর্বরতার শিকার হতে হবে, সে কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেনি।
পুলিশ সুজয়কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তদন্ত চলতে থাকে। উপযুক্ত প্রমাণ না মেলায় ও তদন্তের গাফিলতির কারণে সুজয় বেকসুর খালাস পায়।দুর্নীতি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জয়মাল্য পরে সমাজের বুকে ছাতি ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অরুনিমা আয়নার সামনে নিজের ঝলসানো রূপটা দেখে আঁতকে ওঠে। সে বাগানের আগাছাগুলোর দিকে চেয়ে থাকে আর মনে মনে ভাবে আগাছাকে যতই ছেটে ফেলা হোক না কেন তা আবার বেড়ে ওঠবে। তাই আগাছা নির্মূল করতে হলে স্বমূলে উৎপাটন করা প্রয়োজন । ঝিমলি, তিথি, পরী অরুনিমার পাশে এসে দাঁড়ায়।
অরূনিমার অন্তরে শুধু ন্যায় -অন্যায়ের সংঘাত চলছে অবিরত। ঝিমলিরা আর্থিক মানসিক দিক থেকে তাকে সাহায্য করে চলেছে। চারজন মিলে একটা খাবারের দোকান খুলেছে। প্রতিদিন কত মানুষের আনাগোনা, কত ভালো -মন্দ কথার মাঝে কেটে যাচ্ছে অরুনিমার দিন। অরুনিমা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।
ধীরে ধীরে সময়ের চাকা ঘুরে চলেছে। পাঁচ বছরে অরুনিমার সব বান্ধবীরা সাতপাকে বাঁধা পড়ছে। ঘর সংসার সামলেও পরস্পরের সাথে যোগাযোগটা ঠিক বজায় রেখেছে। অরুনিমার খাবারের দোকান রমরমিয়ে চলছে। সে এখন একাই দোকান সামলায়।
একটা ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ের সাথে ঝিমলি একগাল হাসি নিয়ে এগিয়ে আসছে অরুনিমার দিকে। কাছে আসতেই অরুনিমা বলে, "আরে ছোটো মা যে! " আমতা আমতা করে "মাসিমণি মাসিমণি" বলে পুচকি মেয়েটা অরুনিমার কোলে চড়ে। ঝিমলিকে হেসে হেসে অরুনিমা বলল, "মায়ের চেয়ে মাসির কদর বেশি।"
খানিকবাদে পরী এসে হাজির। "পরী এক একা যে?"
পরীর চোখ ছলছল করে। শাশুড়ির মুখের কথাগুলো মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ঝিমলি বলে " আরে বাবা বলবি তো! কি হয়েছে?"
পরী বলল, " কি বলব ওদের যা মুখের ভাষা। " -"কেন রে! তোর বর বেশ ভালো "।
পরী বলে, "হ্যাঁ রে ওর ভালোমানুষী টার সুযোগ নিয়েই ওরা আমাকে সবসময় বাঁজা মেয়ে বলে খোঁটা দেয়।" নদনের একটি ছেলে হওয়ার পর সে বলতে শুরু করেছে, "বন্ধ্যা নারী কি বোঝে প্রসব বেদনা"।
-"সত্যি আর ভালো লাগে না অরু, মাঝে মাঝে মনে হয় সব শেষ করে দিই"-
অরুনিমা বলে- পাগলামি করিস না। তোর কিছু হলে অমিতদা, তোর মা- বাবার কি হবে একবার ভেবে দেখেছিস?"
ঝিমলি বলে, "দাঁড়া এসব সমস্যার সমাধান আছে আমার কাছে। আমার দিদিরও এরকম সমস্যা ছিল। ওরা আই ভি এফের মাধ্যমে চাইল্ড নিয়েছে। "অরু বলে" তারমানে মানে টেষ্টটিউব বেবি!" ঝিমলি দিদিকে ফোন করে ডাক্তারের ফোন নম্বর ঠিকানা নিয়ে পরীকে দিল।
গরম চায়ের কাপ আর গল্প আড্ডায় জমে ওঠেছে আসর। সকলেই নিজের নিজের সংসারের সারকথা নিয়ে মত্ত। সুরুৎ সুরুৎ করে চায়ের চুমুক দিতে দিতে বলে, " হ্যাঁ রে অরু, মুকুলদার খবর কি? বিয়ে থা করেছে?"
অরুর ঠোঁটে এক ফালি চাঁদের হাসি দেখা দিল। সে বলল, "মুকুল কিছুতেই অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। সে বলে মানুষের বাহ্যিক রূপটাই সৌন্দর্যের কাপকাঠি নয়। হৃদয়ের গভীরতাই আসল রূপ সৌন্দর্য।"
পরী বলল," তাহলে তুই ওকে বিয়ে করছিস না কেন?"
অরুনিমা বলল, "সমাজের ভয়ে রে!"
পরী বলল, " দেখ অরু মুকুলদা তোকে ভীষণ ভালোবাসে। ওর সাথে তুই সুখে-শান্তিতে থাকবি।" অরু হেসে বলল, "সুখ স্বপনে আর শান্তি শ্মশানে"। ঝিমলি বলে, "ওসব কথা বলে কাজ নেই ! তোদের চারহাত এক করব আমরা"।
পরী বলে, "অনেক দেরি হল এবার বাড়ি যেতে হবে রে।বাপের বাড়ি এলে আবার দেখা হবে।" গল্পের আসর ছেড়ে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে নেই কারও, তবু যেতে হল।
★★★ ★★★★
মিঃ রায় এখন পার্টির বড়ো নেতা। লালবাতির আলো জ্বালানো গাড়িতে চড়ে সে এখন মিটিং মিছিল করে বেড়ায়। স্কুল মাঠে নারী সুরক্ষা নিয়ে ভুরি ভুরি ভাষণ দিচ্ছে। করতালিতে ভরে উঠেছে জন সমাবেশ। কথাগুলো শুনে গা গুলোতে থাকে অরুনিমার।
"রক্ষকই ভক্ষক " এটা বলতে বলতে সে স্কুল মাঠ থেকে বেরিয়ে আসে।
দুর্গাষ্টমীতে সবাই পুজোতে ব্যস্ত। সুজয়ের গায়ে কারা যেন এসিড ছুঁড়ে মেরেছে। চারিদিকে ঢাকের শব্দ। সুজয়ের আর্তনাদ কেউ শুনতে পেল না। লাল পেড়ে শাড়ি পরে অরুনিমা মায়ের অঞ্জলি দিচ্ছে। মনে হচ্ছে স্বয়ং মা দুর্গা স্বর্গপুরী থেকে ধরাধামে নেমে এসেছেন দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য ।
রুলিং পার্টির বড় নেতা সুজয় রায় অ্যাসিড আক্রান্ত হয়ে হার্টফেল করে মারা গেছে। খবরটা টিভির পর্দায় বার বার দেখা যাচ্ছে।
দুর্নীতি যখন ন্যায়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন প্রতিশোধই প্রতিবাদের একমাত্র পথ।