সময়টা ছিলো সকাল বেলা
সময়টা ছিলো সকাল বেলা
প্লাটফর্মে এসে, ট্রেন পাওয়া, পেয়ে ট্রেইনে বসে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষা।
সাথে আসেপাশের দৃশ্য দুচোখ দিয়ে পরিদর্শন করাটা তো নিত্য স্বভাব।
আর আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আজও চারপাশটায় দুচোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম।
একসময় এক বৃদ্ধা মহিলাকে দেখলাম, গায়ে কম্বল জড়িয়ে কোথাও যেন যাচ্ছে।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসলে তিনি এই স্টেশনেরই বাসিন্দা। তিনি শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। কেউ তাকে উঠিয়ে
যায়গা ত্যাগ করতে বলেছেন।
তাই উঠে চলে যাচ্ছেন। তার বিছানা পত্রর, মানে যেসব বিছিয়ে তিনি শুয়েছিলেন সেসব তার হাতে শোভা পাচ্ছে।
ধীরে ধীরে তিনি চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেন।
এর পর চোখ গেল, ফ্লাইং ওভার ব্রিজের নিচের সিঁড়িটা ঘেঁষে শুয়ে রয়েছে এক ডগি।তার পাশের হাত পা ছড়িয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে তার পিচ্ছি একমাত্র বাচ্চা।
তার শুয়ার স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে যেনো কোন রাজ্য জয় করে নবাব পুত্তুর ক্লান্ত হয়ে এসেছে।
আর ক্লান্তি দুর করতেই নিশ্চিন্তে ঘুমচ্ছে।
বিশ্বজয়ের তৃপ্তিতে তার কোন চিন্তা ভাবনাহীন ভাব টা যেনো চোখে পড়ার মতো।
তাকে দেখলেই বড় মায়া লাগে। মনে হচ্ছে ঘুমন্ত শরীর টা একটু ছুয়ে দিয়ে আসি।
তার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ হুইসেল বেজে উঠলো।
প্রথমে অপেক্ষা করতে বিরক্ত লাগলেও আজকের এই মনোহর দৃশ্যে মনটা ছুয়ে গেছিলো।
আর একটুও খারাপ লাগছিলো না।
তারপরও সময় হয়ে এলো। ধীরে ধীরে ডগিগুলোও চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে গেলো.....
_________________