স্কুল কলেজে র বেদনা
স্কুল কলেজে র বেদনা
স্কুল-- " আমরা এইভাবে আর কতদিন আটকা আর একা থাকবরে?? কেউ এখন স্কুলের কথা ভাবেওনা ।
আমাদের এখানে কতো জনের কতো বন্ধু হতো,,, গল্প করত। কিছু অনুষ্ঠান হতো,,, সবার প্রিয় ছিল। সব এখন বন্ধ । এখন আর কেউ ভাবেওনা ।"
কলেজ -- " থাম না। আমাদেরই বা কে মনে রেখেছে বলতো ??? ওই বন্ধুত্ব এখন ওয়াটস্যাপ, ফেসবুকে হয়।
কলেজ মানে,,,,, এখন কেউ আসবেও না। লকডাউনে এখন আমরা বন্ধই থাকব।
শুধু এখন ওই অনলাইনে পড়াশোনা। ওতে কোন শিক্ষা হয়??? ওই একটুখানি
তা আসতে হবেনা । আমরা একাই থাকব । অতো ভাববি না । পরে বুঝবে আবারও,,,, আমরা কে।
খেতে পেলে শুতে চায়,,, এখন ওই অবস্থা। "
স্কুল -- " সত্যি রে । লকডাউন উঠে গেলেও আমাদেরকে সেই আটকেই রেখেছে। ছেলে,, মেয়েরা আর পড়তেও আসবে কিনা কে জানে ।
তবে এই রোগটার জন্যই হলো । ও আমাদের আটকে দিয়ে একা করেদিল ।
আগে স্কুল থেকে ভালো রেজাল্ট করলে বলতো এই স্কুল থেকে পাস করেছি । আমাদের কতো সুখ্যাতি হতো। এখন আর কোন সম্মান দেয়না। "
কলেজ-- "হমম্। আমাদের এখানেও তো নাম করা কোন স্টুডেন্ট পাস করলে,,, কলেজটাকে সবাই কি দারুণ বলতো । আর শুনিসও??
এই হারামজাদা করোনা রোগটার জন্যই তো হলো । অসভ্য, বাঁদরটা যায় আর না। শালা ২০ সালটাকে বিশে ভরিয়ে দিল ।
কেন নিজ দেশে ফিরে যা। আর কতো অতিথির বাড়ি যাবি, ঘুরবি, আর শয়তানের মতন মারবি???
যাওয়ার আর নাম নেই । যতদিন শুয়ে থাকা যায় শুই ।
মনে হয় গিয়ে বলি,,, তোর লজ্জা হয়না?? কতোদিন আর বিরক্ত করবি??? বেরোবি,,, না ঝাঁটা মারতে মারতে বের করব???
শয়তান একটা ।"
স্কুল-- " এতো মাথা গরম করিসনা । ও কাউকে পাত্তাও দেয়না জানিস? ওর মন বলে কিছু নেই । পুরো পৃথিবীকে ও ধংশ করতে চায় ।"
কলেজ-- " সবাই মিলে লাথি মারলে ও ঠিক বেরোবে ।
শয়তান,,,, মানুষ মারছে । আসলে ও একটা ক্রিমিনাল। মানুষকে মারতে এসেছে । হতচ্ছাড়া, লম্পট । ভাইরাস বলে ওকে পুলিশ ধরতে পারছেনা । এটাই ওর আনন্দ।"
স্কুল-- " এবার ওর আনন্দ যাবে ঘুচে ।
ভাক্সিন বেরোচ্ছে ।"
কলেজ -- " ও শুধু তুই শুনছিস । ও কবে আসবে জানিসও না । কি আর করা যাবে??? মানুষের ভালো ও তো ভাবা উচিত । আমরা শান্তই থাকি,, বদমাশটা যতক্ষণ না যাচ্ছে ।"
স্কুল-- " সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম,,, কচি কচি বাচ্ছাগুলো আবারও আমার কাছে আসবে । ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজলে ওদের মন আনন্দে ভরে যাবে ।"