রম্যকথা: বড়লোক ও পাগল
রম্যকথা: বড়লোক ও পাগল


হাসি কান্না হীরা পান্না : বড়লোক ও পাগল
কিছুদিন আগে পথ চলতে শুরু করেছিলো এই হাসিকান্না হীরাপান্না সিরিজটি। পায়ে পায়ে আমরা যাত্রাপথের শেষে এসে গেলাম প্রায়। কোনো কিছু শেষ হয়ে এলে মনের মধ্যে দুঃখ হয় ভারী। যেন আর তাকে দেখতে পাবো না। দুঃখ বড়ো সূক্ষ জিনিষ। আঁটোসাঁটো মনের ঘরেও কখন কোন ফাঁকে যে সে ঢুকে পড়ে, অনেক সময় বোঝাও যায় না। শ্রাবন মাসের পড়ন্ত বিকেল, সন্ধ্যে হবো-হবো। খোলা মাঠের দূর সীমানায় কালো মেঘ ধেয়ে আসছে দেখে হঠাৎ মন ভারী হয়। ছোটবেলার কথা ভেবে দুঃখ হয়, মনে ভীষণ কান্না জমে ওঠে। কেন এমন হয়, কেউ জানে না।
কিন্তু দুঃখের মধ্যেও সুখ, কান্নার মধ্যেও হাসি নাকি খুঁজে নিতেই হবে। জীবন আমাদের কাছে এমনটাই তো দাবী রাখে। এই শেষ পর্বটি তাই বড়লোক ও পাগলদের নিয়ে। দুনিয়ার কোনো রম্যরচনা বোধহয় এই দুই শ্রেণীকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ হতে পারে না। বড়লোক মানে যাদেরকে আমরা আজীবন টাটা-বিড়লা বলে চিনি এবং অধুনা কখনো কখনো আম্বানি সম্বোধনে সম্বোধিত করি। আর পাগলদের চিনবেন না, এতো বড়ো পাগল আপনি নিশ্চয়ই নন।
প্রশ্নটা হলো, বড়লোকেরা প্রকৃতই কি লোক হিসেবে বড়ো ? একবার এক হাইওয়ে দিয়ে বাইকে করে যেতে যেতে দেখি রাস্তার ধারে বসে ছোট ছোট কয়েকটা বাচ্চা ছেলেমেয়ে ফুলকপি সাজিয়ে বিক্রি করছে। "নাও না, একটা ফুলকপি নাও না, ভালো ফুলকপি।" অনুরোধ নাকি আবদার, নাকি প্রার্থনাই হবে হয়তো। বাড়িতে ফুলকপির প্রয়োজন আছে কিনা সেসব জানি না। তবু বাইক দাঁড় করিয়ে নামলাম। নিষ্পাপ এই মুখগুলোকে উপেক্ষা করে সোজা বেরিয়ে যেতে পারি, এতো বড়ো সাহস ভগবান আমাকে দেয়নি।
একটি বাচ্চা মেয়ের কাছে তার ফুলকপির দর করলাম। একটা দশ টাকা, দু'টো নিলে পনেরো টাকা। এতো সস্তা ? মনে মনে ভাবলাম। তাকেই বললাম, "দু'টো ফুলকপি দে তাহলে।" সে বড়ো দেখে দু'টো ফুলকপি দড়ি দিয়ে বেশ বেঁধে দিলো। ফুলকপি দু'টো নিয়ে একটা কুড়ি টাকার নোট বাড়িয়ে দিলাম। আট কি দশ বছর বয়স হবে মেয়েটির। আমার কাছ থেকে কুড়ি টাকার নোটটা নিয়ে অসহায়ভাবে বললো, "আমার কাছে তো কোনো পয়সা নেই, তোমাকে ফেরত দেবো কীভাবে ?"
মাত্র পাঁচটা টাকাও নেই। সেই করুণ দৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে আমি আমার কর্তব্য পালন করলাম। বললাম, "থাক তাহলে, রেখে দে।" সে বললো, "নেবে না কপি ?" আমি হেসে উত্তর দিলাম, "না, কপি নিচ্ছি। তুই টাকাটা রেখে দে। পাঁচ টাকা নাহয় পরে নেবো।"
দেখলাম কর্তব্যপরায়ণতা সেও কিছু কম শেখেনি। সে আমাকে দাঁড় করিয়ে আশেপাশের বন্ধুদের কাছে ছুটে গেলো। সবাই ওরই সমবয়সী। ঠিক ফেরত টাকা জোগাড় করে এনে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো হাত। মুখে কি ঊজ্জ্বল একটা হাসি। যেন আমার টাকা ঠিক ঠিক ফিরিয়ে দিতে পেরে সে গর্বিত, আনন্দিত। কি অমলিন, কি সুন্দর সেই হাসি।
একটা গরিব, দিন-আনি-দিন-খাই পরিবারের বাচ্চা মেয়েও পাঁচ টাকা অন্যায্য নিতে চায় না। আর কত ধনকুবের আমাদের দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিচ্ছে। মেরে দিতে তাদের বুক কাঁপে না। প্রকৃত গরিব যে কে, মাঝে মাঝে সত্যিই বুঝতে পারি না। হিসেবে গরমিল হয়ে যায়।
কিন্তু আমাদের হিসেব ঠিক রাখার জন্য, অর্থাৎ বড়োলোক ও পাগলের পাল্লা সমান সমান রাখতে, একটা পাগলের গল্প হয়ে যাক এখানে। এই পাগল এমনি পাগল না। বিয়ে হয়েছে। সুস্থ-সবল মানুষ। পয়সাকড়িও ভালোই আছে। তবু বিয়ের কয়েকদিন পরেই বউ ডিভোর্স চাইলো। একদিন জোড়ে এসে হাজির হলো ম্যারেজ রেজিস্টারের অফিসে।
ম্যারেজ রেজিস্টার ওদেরকে চিনতে পারলেন। ওনারা ডিভোর্স চান শুনে যারপরনাই অবাক হয়ে বললেন, "সেকি! এই তো ক'দিন আগেই তো আপনাদের বিয়ে হলো। আমিই তো ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করালাম। তারপর হলোটা কী ? আমাকে খুলে বলুন তো দেখি আজ এইখানে কীভাবে এসে পৌঁছলেন দু'জনে ?"
"ও একটা পাগল।" সখেদে জানালেন গৃহবধূটি। "সবকিছু এতো আক্ষরিক অর্থে নেয়, সবকথার শুধু আক্ষরিক জবাব দেয়। আমি ওর সাথে সংসার করতে পারবো না।"
ম্যারেজ রেজিস্টার তাকালেন এবার ভদ্রলোকের দিকে। তিনি তার দিকের কথাটাও একবার শুনতে চান। পাগল ভদ্রলোক একটুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, "আমরা তো বাসে করে এলাম এখানে।"
ম্যারেজ রেজিস্টারের কথায় মনে পড়লো উকিলদের কথা। ম্যারেজ রেজিস্ট্রি যারা করেন, তারা ততো উঁচু দরের উকিল তো নন। কিন্তু অনেক উকিল আছেন যারা হাই-ফাই লেভেলের এবং বিশাল বড়োলোক। তাদের বড়লোক হবার রহস্য নিয়ে একবার একটা কাহিনী শুনেছিলাম। কোনো উকিল আমার নামে মানহানির মামলা করার আগেই বলে রাখি, এটা শোনা গল্প। সত্যি-মিথ্যে জানি না।
তো এরকম এক বড়োলোক উকিলের কাছে সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়ে এক ভদ্রলোক এসেছেন। জমি-বাড়ি এবং ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত তার অনেকগুলো প্রশ্ন ছিলো উকিলবাবুর কাছে। কিন্তু সেসব শুরু করার আগে তিনি ভাবলেন, উকিল মানুষের কাছ থেকে সাবধান - টাকা-পয়সা ও দক্ষিনা সংক্রান্ত বিষয়গুলি প্রথমেই পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। তাই তিনি উকিলবাবুকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কনসালটেশনের জন্য কত টাকা ফীজ নেন জানাবেন ?"
উকিলবাবু বললেন, "তিনটি প্রশ্নের জন্য দশ হাজার টাকা আমার রেট।"
ভদ্রলোকের চোখ কপালে উঠে গেলো। বললেন, "দশ হাজার ? এটা বড়ো বেশি লাগছে না ?"
উকিলবাবুর চটজলদি জবাব, "হ্যাঁ, এটা বেশি নিশ্চয়ই। আপনার তিন নম্বর প্রশ্নটা বলুন।"
এটা তো গেলো ভীষণ পেশাদার উকিলের কথা। এবার শোনা যাক সমান-সমান আরেকটা গল্প। এক পেশাদার অভিনেতার গল্প। সেই অভিনেতা ইদানিং খুব নাম করেছে। একের পর এক সিনেমা তার হিট। ভদ্রলোক বিশাল টাকা উপার্জন করেন। কিন্তু কোথাও কোনো সমাজকল্যাণমূলক কাজে এক পয়সাও দান করেন না।
একবার কাছাকাছি একটা ক্লাবের ছেলেপুলেরা ভাবলো ওনাকে গিয়ে ধরবে। ক্লাবের ফুটবল মাঠটা পরিচর্যা করবার জন্য কিছু টাকা আদায় করবে। সেইমতো একদিন তারা গেলো অভিনেতার বাড়ি।
ভদ্রলোক বাইরে আসতেই ক্লাবের একটি ছেলে বললো, "দাদা, আপনার তো বিশাল নাম-ডাক। অনেক প্রতিপত্তি শুনেছি। আমরা একটু এলাম, আমাদের ক্লাবে কিছু টাকা চাঁদা দেন যদি, ভালো হয়।"
অভিনেতা একটুও অভিনয় না করে বললেন, "তোমরা শুধু বাইরেটাই দেখো। ভেতরের খবর কিছু তো জানো না। জানো, আমার একমাত্র ভাই, ক্যান্সারে শয্যাশায়ী। প্রতি সপ্তাহে তার চিকিৎসার খরচ তিন লক্ষ টাকা। জানো তোমরা ?"
ক্লাবের ছেলেরা একটু হকচকিয়ে গেলো। বাস্তবিকই তারা এতো খবর জানতো না। তবু একজন আমতা-আমতা করে কিছু বলতে যাচ্ছিলো, ভদ্রলোক আরো খাদে গলা নিয়ে গিয়ে বললেন, "কী আর বলবো তোমাদের। আমার জামাইবাবু। দু'বছর আগে একটা অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাওয়ার পর থেকে ওদের সংসার দেখার মতোই কেউ নেই। দিদির একটা ছেলে আছে বারো বছরের, একটা মেয়ে আট বছরের। বলতে গেলে একরকম অনাথ ওরা আজ। কে আছে ওদের আমি ছাড়া ? তারপর আমার নিজের শ্বশুর। পুরো প্যারালাইসিস। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। তার চিকিৎসার লাখ লাখ টাকা খরচ।"
ছেলেরা মানে মানে সরে যেতে পারলে তখন বাঁচে। কিন্তু ভদ্রলোক আরো বলছিলেন, "আমার মেজো পিসে। দুটো কিডনিই তার অকেজো। কত টাকা যে জলের মতো খরচ হয় ওনার চিকিৎসায়। অতি কষ্টে বেঁচে আছেন তিনি। খবর রাখো এসবের ?"
ছেলেদের পান্ডা এবার বললো, "ঠিক আছে, দাদা আমরা সত্যিই এতোকিছু জানতাম না। ঠিক আছে, আমরা তাহলে আসি আজকে।"
"হ্যাঁ, যাও যাও।" অভিনেতা ভদ্রলোক ফাইনাল স্পিচ দিলেন, "এদেরকেই যখন আমি এক পয়সাও দিই না, তোমরা কী করে আশা করো ?"
এই গল্প শুনে আপনার যদি মনে হয় অভিনেতা লোকটি খুব কৃপণ, তাহলে আমি নিশ্চিত যে আপনি সেই সর্দারের গল্পটা শোনেননি।
এক সর্দার, অগাধ টাকার মালিক। অনেক রকম বিজনেস তার এবং তিনি ভাগ্যে একদম বিশ্বাস করেন না। একদিন তার এক বন্ধু তাকে জপালো যে একবার একটা লটারির টিকিট কিনেই দেখ না। কে বলতে পারে, কপাল থাকলে জ্যাকপট লেগেও যেতে পারে। এই বলে অনেক করে সে বোঝালো।
সর্দারের মন চাইছিলো না লটারি কাটতে। কিন্তু সর্দার বলে কথা। সর্দারদের হৃদয় হয় বিশাল বড়ো। বন্ধু বারবার করে বলতে থাকায় তিনি শেষমেশ রাজি হলেন। আর পরিচিত একটা দোকান থেকে দু'টো লটারির টিকিটও কিনলেন।
এক সপ্তাহ পরে লটারির রেজাল্ট বেরোলে দেখা গেলো ভাগ্য তার সত্যিই সুপ্রসন্ন। ওই দু'টো টিকিটের একটা টিকিটে একদম জ্যাকপট-ই লেগে গেছে। পঞ্চাশ কোটি টাকা প্রাইজ।
খবর শুনে তার সেই বন্ধুটি তৎক্ষণাৎ এসে হাজির। নাচতে নাচতে এলো সে। এসে দেখে সর্দার মনমরা হয়ে বসে আছে ঘরে। সে জিজ্ঞাসা করলো, "কী ব্যাপার দোস্ত ? তোর জ্যাকপট লেগে গেছে। এটা তো খুশির সময়। তুই মন খারাপ করে আছিস কেন ? জ্যাকপট কি লাগেনি তাহলে ?"
সর্দার মুখ ব্যাজার করে বললো, "না, সে তো লেগেছে। চেকও পেয়ে যাবো। কিন্তু মন থেকে কষ্টটা কিছুতেই যাচ্ছে না। সেকেন্ড টিকিটটা কেন যে কিনলাম, ওটার পুরো পয়সাটা নষ্ট হলো।"
উকিল হলো। অভিনেতা হলো। সর্দারও হলো। তাহলে আমাদের প্রিয় ডাক্তারবাবু কেন বাদ যান।
প্রিয় মানে ইনি আমার অত্যন্ত পরিচিত, আমাদেরই পাড়ার ডাক্তার। একদিন এক পাগল তার চেম্বারে আসে। পাগল মানেই আমাদের চোখে যেমন চালচুলোহীন ভবঘুরের ছবি ভেসে ওঠে, সেরকম পাগল নয়। ইনি এমনি ভদ্র-সভ্য, কিন্তু মাথায় গন্ডগোল আছে।
পাগল এসে বললো, "ডাক্তারবাবু, আমার শরীরে কী যে হয়েছে, কী রোগ বাসা বেঁধেছে জানি না। শরীরের যেখানেই ছুঁই, সেখানেই খুব লাগছে। সারা শরীরেই এটা হচ্ছে।"
ডাক্তারবাবু এরকম রোগের মাথামুন্ডু কিছু বুঝতে পারলেন না শুনে। বললেন, "কই দেখি। কোথায় ব্যাথা দেখান দেখি।"
পাগল তখন এক আঙ্গুল দিয়ে প্রথমে তার গলায় স্পর্শ করলো। আর ব্যাথার চোটে চিৎকার করে উঠলো। তারপর আঙ্গুল দিয়ে বুকে স্পর্শ করলো, আর ব্যাথায় চিৎকার করে উঠলো। তারপর পেটে স্পর্শ করেও কঁকিয়ে উঠলো। এইভাবে ক্রমে কোমর, উরু, পা থেকে গোড়ালি অব্দি সব জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করেই ব্যাথায় আওয়াজ করে উঠলো।
সব দেখে ডাক্তার বললেন, "বুঝেছি। দেখি শুয়ে পড়ুন তো। আপনার শরীরে কিছু হয়নি। আঙ্গুলটা ভেঙে গেছে, ব্যান্ডেজ করে দিতে হবে।"
আরেক বড়লোকি পাগলের গল্প বলি। সে স্টেশানের পাশে একটা গলির মধ্যে চট পেতে শুয়ে ছিলো। মাথার পাশে একটা কৌটো রাখা, পথচলতি মানুষজন টাকাপয়সা দিয়ে মাঝে মাঝে সাহায্য করে, তাইতেই ওর চলে। সবই ঠিক। তাহলে বড়োলোকিয়ানাটা হলো কোথায় ?
বড়োলোকিয়ানা হলো ওর ওই কৌটোর পাশে একটা প্ল্যাকার্ড দাঁড় করানো ছিলো। তাতে লেখা ছিলো, "এখন ঘুমাচ্ছি। নীরবতা বজায় রাখুন। দয়া করে কৌটোতে পয়সা ফেলে আওয়াজ করবেন না। নোট দিন।"
শেষ করার আগে এক বড়োলোক পাগলের গল্প বলবো। শহরের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিংয়ে তার থ্রি-বেডরুম ফ্ল্যাট। দামি দামি জিনিষে সাজানো। সব ঘরে এসি লাগানো। সারাদিন এসি চলে। রাজার মতো থাকেন তিনি। মাসে তার ইলেকট্রিক বিলই আসে দশ লক্ষ টাকা।
একদিন ইলেকট্রিক কোম্পানির লোক তাকে ফোন করলো। "স্যার, পরিবেশ বান্ধব পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা একটা সার্ভে করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি আপনার ইলেকট্রিক বিল অত্যাধিক বেশি আসছে। এটা একদমই স্বাভাবিক নয়। তাই ইলেকট্রিক লাইনে কোনো ফল্ট বা কোনো লিকেজ আছে কিনা যাচাই করার জন্য আমরা আপনার ফ্ল্যাটে আমাদের টেকশিয়ানকে পাঠাতে চাই।"
ভদ্রলোক বললেন, "নিশ্চয়ই। আপনি চিন্তা করবেন না, পাঠিয়ে দিন। আমার ফ্ল্যাটের দরজা সবসময় সবার জন্য হাট করে খোলাই থাকে।"
ইলেকট্রিক কোম্পানির লোক বললো, "ঠিক আছে স্যার। আমাদের আর আসতে হবে না। আপনি দরজাটা এবার থেকে বন্ধ রাখবেন। তাহলেই বিল কম আসবে।"
এই পর্বে এই পর্যন্তই। আপনাদের সঙ্গে আবার কখনো দেখা হয়ে যাবে অন্য কোথাও, অন্য কোনো কাহিনীর মালায়। তবে শেষ করার আগে একটা মোক্ষম খবর দিয়ে যাই। কোনো বড়োলোক হয়তো কোনো কারণে পাগল হয়ে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু কোনো পাগলকে আমি আজ পর্যন্ত কোনোদিন বড়োলোক হতে দেখিনি।
~ সমাপ্ত