Jeet Guha Thakurta

Crime Fantasy Thriller

4.0  

Jeet Guha Thakurta

Crime Fantasy Thriller

ফেলুদা বনাম জটাদা: পঞ্চম পর্ব

ফেলুদা বনাম জটাদা: পঞ্চম পর্ব

7 mins
246


ফেলুদা বনাম জটাদা: পর্ব ৫


জটাদার ডাকেই ঘুম ভাঙলো সকালবেলা। "খবর আছে রে। উঠে পড়। মিস্টার ডিসুজা ফোন করেছিলেন।"


আমি বিছানায় উঠে বসে বললাম, "কী ব্যাপার ?"


"পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দিয়েছে আজ সকালে। কজ অফ ডেথ ইজ পয়জনিং। পেটে সায়ানাইড পাওয়া গেছে।"


"সায়ানাইড ? সে তো মারাত্মক বিষ! আর কিছু বলেছে রিপোর্টে ?"


"না। কিন্তু লালবাজারের একজন অফিসার, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, আমার পরিচিত। আমার ক্লাসমেট ছিলো। আমি তাঁকে ফোন করেছিলাম কালকে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য।"


"তারপর ?"


"জোগাড় করে দিয়েছে।"


"কী বলছে ফরেনসিক রিপোর্টে ?"


জটাদা একটু যেন হেসে বললো, "কী আর বলবে! ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী কোথাও কোনো বিষ পাওয়া যায়নি।"


"বিষ পাওয়া যায়নি ?"


"না। কেক, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্য কোনো স্যাম্পেলেই সায়ানাইড বা ওইজাতীয় কোনো বিষ ছিলো না। অথচ পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলছে পেটে আর্সেনিক পাওয়া গেছে।"


শুনে একটু হতাশই হলাম আমি। বললাম, "তাহলে কোনো খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে, এই থিওরিটা খুব একটা ধোপে টিঁকছে না। পয়জনিং তাহলে হলো কীভাবে ?"


"আসল খাবারে বিষ না থাকলেও, বিষ অনেক ভাবেই একজনের খাবারে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।" জটাদা ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে করতে বললো, "কিন্তু মোটিভ ? মোটিভ কি ?"


আমি ফোনটা তুলে পিঙ্কিকে একটা মেসেজ করে দিলাম, "কথা আছে, চলে আয়।" পিঙ্কিদের বাড়িটা এখান থেকে তিনটে বাড়ি পরেই। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই চলে এলো সে। বাড়ির ফ্রক পরেই চলে এসেছে। ঘরে ঢুকেই বললো, "কী ব্যাপার ?"


জটাদার কাছ থেকে শোনা খবরগুলো আমি জানালাম। পিঙ্কি সব শুনে বললো, "আচ্ছা, আমি কাল বাড়ি ফিরে একটা কথা ভাবছিলাম সারারাত। কাল অ্যালিস্টার নামের লোকটা বলছিলো যে ওদের অ্যান্টিকের দোকান আছে একটা। আর মিস্টার ডিসুজার যে সিগারেট কেসটা চুরি গেছে, সেটাও অ্যান্টিকের। তাহলে... অ্যালিস্টার কি জড়িত থাকতে পারে এই চুরিতে ?"


আমার মাথায় অন্য একটা কথা ঘুরছিলো। একটু ভেবে আমি বললাম, "আচ্ছা... এটা তো মারিয়ার জন্মদিন ছিলো। এই দিনটাকেই বেছে নেবার কী কারণ ? তাহলে... এমন কি হতে পারে যে মারিয়ার উপরেই হয়তো কারুর কোনো আক্রোশ ছিলো, আর তাকেই খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিলো তার জন্মদিনের পার্টিতে ? কেকের মধ্যে কিছু মিশিয়ে দিয়ে ?"


জটাদা আরো দু'বার ঘরের এমাথা ওমাথা করার পরে ঘুরে দাঁড়ালো হঠাৎ। বললো, "সেটা হলেও ব্যাপারটা অতো সহজ নয় রে ঋভু। কেকের মধ্যে বিষ পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বলছে কোনো খাবারেই বিষ মেশানো ছিলো না। তার মানে পটাশিয়াম সায়ানাইড বা সোডিয়াম সায়ানাইড, কিছু একটা আলাদা করে দেওয়া হয়েছে ভিকটিমকে। এখন ধন্ধটা হলো, মারিয়াকেই যদি টার্গেট করা হয়ে থাকে তোর কথামতো, তো পিউ কে কেন সায়ানাইড দেওয়া হলো ? আর পিউকেই যদি টার্গেট করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটার মোটিভ কী... এটাই প্রশ্ন।"


"সেটা ঠিক। টার্গেট যদি মারিয়া হয়, তাহলে মারিয়ার খাবারেই তো মেশাতো।" বলতে বাধ্য হলাম আমি।


"আপাততঃ আজকের প্ল্যান কী জটাদা ?" পিঙ্কি একটু পরে জিজ্ঞাসা করলো।


"রেডি হয়ে নে তোরা। দশটার মধ্যে আমাদের বেরোতে হবে। উত্তর কলকাতাটা একটু ঘুরে আসা যাক।"


আমি বললাম, "উত্তর কলকাতা ? দাঁড়াও, এক সেকেন্ড। আমি আন্দাজ করি। মিস্টার ডিসুজার সেই পরিচিত প্রোমোটারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি কি আমরা ?"


"একদম কারেক্ট।" জটাদা চায়ের কাপ শেষ করে বললো।


গাড়িতে যেতে যেতে আমি মনে মনে ঘটনাস্থলের চরিত্রগুলোকে সাজাবার চেষ্টা করছিলাম। বাড়ির একতলায় সামনের দিকে থাকেন সনৎবাবু। পিছনের দিকে একটা খালি ফ্ল্যাট। দেওয়াল ভাঙা। দোতলায় মিস্টার ডিসুজা ও তার ফ্যামিলি। তিনতলার সামনের দিকে একটা ছোট মেস। তিনতলার পিছনের দিকে থাকেন সুদর্শন দত্ত। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে গিয়েছেন। এছাড়া আছে অ্যালিস্টার, মারিয়ার হবু বর। আমি ভেবে দেখলাম, যদি মোটিভকে আপাততঃ সরিয়ে রাখি, তাহলে সেদিন যারা যারা পার্টিতে উপস্থিত ছিলো, তাদের প্রত্যেকেরই খুনের সুযোগ ছিলো। যদিও সনৎবাবু নিজের মেয়েকেই খুন করবেন, এটা ভাবা যাচ্ছে না। ওনাকে বাদ দিয়ে বাকি সবাইকেই সন্দেহ করা যায়, যারা যারা ওইদিন উপস্থিত ছিলেন। আবার মোটিভ দেখতে গেলে, এদের কারুরই কোনো জোরালো মোটিভ খুঁজে পাওয়া যায় না, কেন দশ বছরের একটা বাচ্চাকে খুন করতে হবে।


এই সময় পিঙ্কি প্রস্তাব দিলো, "আচ্ছা জটাদা, একটা গেম হয়ে যাক ?"


"কীরকম গেম ?"


পিঙ্কি বসেছে গাড়ির সামনের সীটে। আমি আর জটাদা পিছনে। পিঙ্কি ঘাড়টা ঘুরিয়ে বললো, "আমি দুটো করে অপশন দেব, তোমাকে তার থেকে একটা চুজ করতে হবে। এমনি গেম। তুমি যেটা খুশি বলতে পারো, তোমার পছন্দমতো।"


"ঠিক আছে, বল।" জটাদা বললো।


মোবাইল দেখে দেখে পিঙ্কি বলতে লাগলো, "সত্যজিৎ রায় না মৃনাল সেন ?"


"অবশ্যই সত্যজিৎ রায়। একাধারে বহু গুনের সমাহার। শুধু সিনেমাই নয়, সাহিত্য-সংগীত-অঙ্কন, সব মিলিয়ে ওইরকম বহুমুখী প্রতিভা সত্যিই বিরল।"


"আচ্ছা, পলাশ ফুল না শিউলি ?"


"শিউলি। শিউলির সাথে পুজোর অদ্ভুত একটা গন্ধ জড়িয়ে থাকে।"


"বই না পিডিএফ ?"


"বই।"


"লুঙ্গি না পাজামা ? এটা পাজামা হবে আমি জানি, ছাড়ো। এইটা বলো, মোমো না রোল ?"


জটাদা একটু ভেবে বললো, "দু'টোর কোনোটাই নয়। ফুচকা।"


"আচ্ছা, লস্যি না আইসক্রিম ?"


"দু'টোই চলবে। না, লস্যি।"


"থিমপুজো না একচালা ?"


"থিম। এখানে ড্রপ করে দিন দাদা।"


উবের ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিলো বিডন স্ট্রিটে। নেমে জটাদার পিছু পিছু আমরা চলতে লাগলাম।


জটাদা বলছিলো, "কীরকম অদ্ভুত যোগাযোগ দ্যাখ। আমরা এখন যেখানে আছি, তার কাছেই হচ্ছে বিডন পার্ক। যেটার এখন নাম হয়েছে রবীন্দ্র কানন। আর ওইখানেই ছিলো মহারাজা নন্দকুমারের বাসভবন। যেটা পরবর্তীতে তাঁর জামাই জগৎচন্দ্র রাই, ও তারপর তাঁর পুত্র মহানন্দ রাইয়ের বাসভবন হয়।"


"নন্দকুমার তার মানে কলকাতার লোক ছিলেন ?" জিজ্ঞাসা করলাম আমি।


"না। নন্দকুমারের আদি বসতবাড়ি ছিলো বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে। তখন কলকাতা সবে সবে তৈরী হচ্ছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর খাতায় বঙ্গদেশের পোশাকি নাম ছিলো বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি। মুর্শিদাবাদ ছিলো তখন তার রাজধানী। কিন্তু কলকাতার গুরুত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকায় এখানেও একটি বাসভবন তৈরী করে রাখেন নন্দকুমার। দাঁড়া, আমরা মনে হয় প্রোমোটারের অফিসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।"


খুঁজে পেতে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সেই অফিসের হদিশ পেয়ে গেলাম। একটা গলির ভিতর অফিসটা, পোদ্দার অ্যাসোসিয়েটস। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে দেখা গেলো চওড়া টেবিলের একধারে মধ্যবয়সী এক অবাঙালি ভদ্রলোক বসে আছেন। সামনে প্রচুর কাগজপত্র আর ফাইলের পাহাড়। সামনেই একটা কাঠের ফলকে ভদ্রলোকের নাম লেখা আছে, বিজয় পোদ্দার।


জটাদা তার কার্ডটা বার করে এগিয়ে দিলো। বললো, "নমস্কার পোদ্দারবাবু। আমার নাম প্রোজ্জ্বল মিত্র। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। মিস্টার স্যামুয়েল ডিসুজার একটা কেসের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম।"


"প্রাই-ভেট ডি-টেক-টিভ।" ভদ্রলোক হাসি হাসি মুখে চিবিয়ে চিবিয়ে কথাগুলো বললেন। কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গেলো। ডিসুজা ঠিকই বলেছিলেন। এই মানুষটার তমিজ জানা নেই একটুও।


"তা আমি আপোনার কীভাবে হেল্প কোরতে পারি বোলুন ? আর এই দোঠো কি আপোনার অ্যাসিস্ট্যান্ট আছে ?" শেষের ইঙ্গিতটা আমার আর পিঙ্কির উদ্দেশ্যে।


ভদ্রলোকের মুখে ভীষণ শয়তানি একটা হাসি সবসময় যেন ঝুলে আছে। পান-দোক্তা কিছু একটা খাচ্ছেন, আর চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলছেন। "বাংগালীদের কী আছে না, ডিটেকটিভ নিয়ে খুব ইয়ে আছে জানেন। বোমকেস বাবু, ফেলুবাবু, কিরীটি বাবুর গোলপো, যোতো গোয়েন্দা গোলপো আছে, সব এই বাংগালীদের মধ্যে খুব ফেমাস আছে।"


জটাদা একটা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়লো। দেখাদেখি আমরাও বসলাম। জটাদা ওই লোকটার কথাগুলোকে একটুও পাত্তা না দিয়ে সরাসরি কাজের কথায় চলে গেলো, "দেখুন পোদ্দারবাবু, মিস্টার ডিসুজা যেখানে থাকেন, পার্কস্ট্রিটের ফ্ল্যাটে, ওখানে তিনদিন আগে একটা মার্ডার হয়ে গেছে। একটা বাচ্চা মেয়ে, দশ বছর বয়স। এ কেস অফ পয়জনিং। সেই ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিলো।"


"আমার সুঙ্গে কোথা বলে কী কোরবেন ? আমি মানুস মারি না মিস্টার -"। এই অবধি বলে তিনি আবার জটাদার দেওয়া কার্ডটা দেখলেন। বললেন, "মিত্র - মিস্টার মিত্র। মানুস তো মারি না আমি। মানুস চাইলে মারতে পারি, কিন্তু সেটা আমার বেওসা নয়। আমার হলো কনস্ট্রাকশানের বিজনেস। বুঝলেন কি না ? আমার সুঙ্গে কোথা বলে আপনি কী জানবেন ?"


"আমার কাছ থেকে শোনার আগে আপনি কি খুনটার কথা জানতেন পোদ্দারবাবু ?" জটাদা কঠিন গলায় বললো। কিন্তু তিনি সেই আগের মতোই হাসিমুখে উত্তর দিলেন, "জানতাম না। আপোনার কাছ থেকে জেনে নিলাম। হয়ে গেলো। বাচ্চি মরি হ্যায় না ? বহুত দুখ হুয়া। আমার বুকে খুব দুঃখ হলো সুনে। অউর কুছ জানতে চান ?"


"হ্যাঁ, জানতে চাই। আপনি সবার কাছ থেকে প্রথমে জমির জন্য পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে নিলেন। তার ঠিক পরেই বাজারে আগুন লাগলো। কাজ বন্ধ হয়ে গেলো। এতদিন পার হয়ে গেলো, কনস্ট্রাকশান কিছুই হলো না। আপনার প্ল্যানটা ঠিক কি ?"


জটাদার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে পান চিবোতে চিবোতে কিছুক্ষণ দেখলেন পোদ্দারবাবু। তারপর বললেন, "মিষ্টি-টিষ্টি কিছু খাবেন ? ফার্স্ট টাইম এলেন আমার অফিসে।" আমাদের দিকেও তাকালেন তিনি।


জটাদা উত্তর দিলো, "না। আপনি আমার প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিলেই আমরা কৃতার্থ হবো।"


"দেখুন ডিটেকটিভবাবু, আমার বিজনেসের বিপারে আপোনাকে তো আমি কিছু বোলবো না। যেটার জন্য আপোনাকে লাগানো হয়েছে, সেইটা নিয়েই ভাবুন। ওন্য কুনো বিপারে নাক গোলাতে গেলে নাক কিন্তু কেটে যাবে। সাবধান। আর ইতো কষ্ট করে এসেছেন, একটু চা তো খেয়ে যান। বাচ্চি কে লিয়ে দুধ মাঙবায়ে ক্যায়া ?"


"ওঠ তোরা।" জটাদা চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বললো। অতঃপর তিনজনে বেরিয়ে এলাম আমরা।


"ভীষণ অভদ্র লোক একটা।" পিঙ্কি বললো বাইরে এসে।


সেন্ট্রালের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম আমরা। জটাদার মুখটা বেশ গম্ভীর হয়ে রয়েছে। চোয়াল দু'টো শক্ত। কিছু চিন্তা করছে।


আমি বললাম, "অভদ্র এবং অশিক্ষিত। কীরকম চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলছিলো। মিস্টার ডিসুজা একদম ঠিক বলেছেন। লোকটাকে দেখলেই মনে হয় জঘন্য।"


"আবার চা অফার করছে! আমার ইচ্ছা করছিলো এক কাপ গরম চা নিয়ে ওরই মাথায় ঢেলে দিতে। আমাকে বাচ্চি বললো কোন সাহসে!"


"ও কিন্তু খুনের ব্যাপারটা মনে হয় আগে থেকেই জানতো। একটুও অবাক হলো না শুনে।"


"একদম ঠিক।" পিঙ্কি আমার কথায় সমর্থন জানালো। "একদম গভীর জলের মাছ, দেখলেই বোঝা যায়। কথা বলছে হেসে হেসে, কিন্তু শয়তানের গাছ একখানা।"


"খুনটা হয়তো ও-ই করিয়েছে লোক দিয়ে। উদ্দেশ্য ছিলো ডিসুজাকে মারা। কিন্তু প্ল্যান-এর ভুলে বাচ্চাটা বেঘোরে মারা যায়।" আমি বললাম।


"খুবই হতে পারে। জমিগুলো হাতিয়ে নেবার জন্য ডিসুজা এবং আরও যারা যারা আছে, তাদেরকে সরিয়ে দেবার প্ল্যান হয়তো। তুমি কি বলো জটাদা ?"


জটাদা এতক্ষণে মুখ খুললো। বললো, "এরা যে ক্লাসের লোক, তাতে বিষ দিয়ে পয়জনিং করে কাউকে মারার শিল্প এদের ধাতে সইবে না। খুন করতে হলে সবার নাকের ডগায় লাশ ফেলে দিয়ে চলে যাবে। এতো কসরৎ করবে না। আচ্ছা আমাদের তো ফেরার জন্য একটা কিছু ধরতে হবে। দু'টোর মধ্যে একটা চুজ কর তুই এবার - মেট্রো না গাড়ি ? উবের না ওলা ?"


(এরপর আগামী সংখ্যায়)



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Crime