ফেলুদা বনাম জটাদা: সপ্তম পর্ব
ফেলুদা বনাম জটাদা: সপ্তম পর্ব


ফেলুদা বনাম জটাদা: পর্ব ৭
এই অঞ্চলে আমরা এর আগে দু'বার এসেছি, দু'বারই সন্ধ্যের পর। আজ দিনের বেলায় আসার ফলে চারপাশের পরিবেশটা ভালো করে দেখা যাচ্ছিলো।
ডিসুজা সাহেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মোবাইলে রাস্তার ম্যাপটা খুললো জটাদা। আমি বললাম, "তুমি কি সব রহস্যের সমাধান করে ফেলেছো নাকি ইতিমধ্যেই ?"
"না।" সংক্ষিপ্ত উত্তর পেলাম।
"তাহলে ? মানে আমি বলতে চাইছি, তুমি তো ডিসুজাকে মিটিং ডাকতেই বলে দিলে একরকম। কিন্তু পরশুদিনের মধ্যে যদি সব জট ছাড়ানো সম্ভব না হয় ?"
জটাদা দেখলাম আজকে নতুন একটা রাস্তা ধরলো। পার্কস্ট্রিটের দিকে না গিয়ে আমরা উল্টোদিকে যাচ্ছি। যেতে যেতেই জবাব দিলো জটাদা, "বাবার সাথে তুলনা করলেন মিস্টার ডিসুজা। ঝট করে তাই চ্যালেঞ্জটা নিয়েই ফেললাম। হয় পরশু দিনের মধ্যে রহস্যের সমাধান হবে, নয়তো গোয়েন্দাগিরিতে ইতি টেনে রেল কিংবা ব্যাংকের কোনো চাকরির পরীক্ষায় বসে যাবো।"
"মানে ফেলুদা ভার্সেস জটাদা এবার ?" আমি মজা করে বললাম।
"ঈঈঈঈ- তাহলে তোমার মার্ডার হয়ে যাবে আমার হাতে।" পিঙ্কি চেঁচিয়ে বললো জটাদাকে, "তুমি গোয়েন্দাগিরি ছেড়ে দিলে আমাদের অ্যাডভেঞ্চারের কী হবে ? ধ্যাৎ, ওসব চলবে না। একদম চলবে না। তুমি ঠিক সব সল্ভ করে ফেলবে, আমি জানি।"
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কোথায় সেটা বলবে ? ফেরার রাস্তাটা এদিকে তো নয়।"
"আমরা যাচ্ছি ড্রিমল্যান্ড কনফেকশনারিজ। সামনের গলিটা পেরিয়ে ডানহাতে গেলেই দোকানটা পড়ার কথা।" জটাদা বললো। তখন আমি বুঝলাম কেন ম্যাপটা দেখছিলো ও।
হিসেবমতো পেয়েও গেলাম আমরা দোকানটা। দোকানের নামের মতোই দোকানটা বেশ বড়ো আর সাজানো-গোছানো। বেশ কাটতি আছে বোঝাই যায়। জটাদা সোজা গিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে নিজের কার্ডটা দিলো।
"প্রজ্জ্বল মিত্র। প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। কয়েকদিন আগে এখান থেকে কেক নিয়ে গিয়ে সেই কেক খেয়ে একটা বাচ্চা মারা গেছে। আপনি জানেন ?"
ভদ্রলোক সম্ভবত ম্যানেজার গোছের কেউ হবেন। তিনি কেসটা সম্বন্ধে জানেন বোঝা গেলো। বললেন, "পুলিশ তো এসেছিলো। আমাদের সঙ্গে কথাও বলে গেছে একবার। এখন আবার কেন ? আর কেক খেয়ে মারা গেছে আপনাকে কে বললো ?"
"আপনি জানেন কিনা জানি না। গতকাল ফরেনসিক টেষ্টে কেকের স্যাম্পেল থেকে পয়জন পাওয়া গেছে।" দেখলাম বেমালুম একটা মিথ্যে কথা বলে দিলো জটাদা। তাতে অবশ্য কাজও হলো। ভদ্রলোক একটু উৎকণ্ঠিত হলেন শুনে। বললেন, "আমাদের কেক থেকে ?"
"ফরেনসিক তো তাই বলছে। সেটা আপনারাই মিশিয়ে থাকুন বা অন্য কেউ। পুলিশ কেস ফাইল তৈরী করছে। এখন এই দোকান সিল হতে হয়তো বেশি বাকি নেই। অর্ডার এসে যাবে আজকালের মধ্যে।"
"দাঁড়ান, দাঁড়ান, আপনি বরং আমাদের মালিকের সঙ্গেই কথা বলে নিন। আমি ফোন করে দিচ্ছি।"
দোকানের মালিক এলে জটাদা তাকে যথাসম্ভব সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দু'টো ছেলের নাম আর ফোন নাম্বার নিয়ে নিলো। এই ছেলে দু'টোই ডেলিভারি দেয় বাড়ি বাড়ি। সব শেষ করে আমরা দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাড়ি ফিরলাম।
খাওয়া-দাওয়ার শেষে জটাদা দেখলাম কালীপ্রসন্ন মিত্র মজুমদারের লেখা 'উত্তর কলকাতার বনেদীয়ানা' নামে বড়ো একটা বই নিয়ে তার পাতা ওলটাতে শুরু করলো। বইটা মনে হয় সেদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি থেকে নিয়ে এসেছে। পিঙ্কি গেছে ওর ক্যারাটে ক্লাসে। নতুন ভর্তি হয়েছে ক্যারাটেতে। মাঝে মাঝেই পিঙ্কির একটা করে নতুন শখ চাপে, আর সেটাতে ভর্তি হয়। ওর বাবা ইনকাম ট্যাক্সের বড়ো অফিসার। অগাধ টাকা-পয়সা। যাইহোক, আমি এই সুযোগে লেপ মুড়ি দিয়ে বেশ একটু ঘুমিয়ে নিলাম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলাম, প্রোমোটার বিজয় পোদ্দারের বার্থডে পার্টি হচ্ছে ঘটা করে। আমরা নিমন্ত্রিত হয়ে গেছি সেই পার্টিতে। পিঙ্কি একটা কেক কাটছে বিজয় পোদ্দারের নামে। আর অ্যালিস্টার একটা ছোট্ট কাঠের শৌখিন বাক্স থেকে মাথা বার করে বলছে, এইসব কেকের দাম মাত্র চার হাজার কি পাঁচ হাজার টাকা হবে।
সন্ধ্যেবেলা পিঙ্কির চিৎকারে ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখি কখন অন্ধকার হয়ে গেছে। অবেলায় ঘুমানোর জন্য মাথাটা ভার করে ছিলো। জটাদা তখনো টেবিলে বসে বইয়ের পাতায় নিমগ্ন। শুধু টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে নিয়েছে।
ঘরে পা দিয়েই পিঙ্কি বললো, "এই যে জটাদা, নাও - তোমার ফ্যান ফলোয়ার্স আরেকটা বেড়ে গেলো। মারিয়া তোমাকে স্টক করছে। তোমাকে ফলো করছে, তোমার অনেক পুরোনো একটা পোস্টে লাইক মেরেছে দেখলাম।"
জটাদা বইয়ের পাতা থেকে মুখ তুলে কেমন যেন অন্যমনস্কভাবে তাকালো পিঙ্কির দিকে। পিঙ্কির কথাটা আদৌ শুনেছে কিনা বোঝা গেলো না। এক মুহূর্ত ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বললো, "জগৎচন্দ্র রাই এর ছেলে মহানন্দ রাই। নাম শুনেছিস ?"
"না।" হতভম্ব পিঙ্কি উত্তর দিলো।
"মহানন্দ রাইয়ের প্রপৌত্র হলো দুর্গানাথ। আর তার ছেলে দেবেন্দ্রনাথ রাই। এরাই হলো কুঞ্জঘাটার রাজপরিবারের বংশধর। আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে এই পরিবারের কলকাতায় পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু হয়। বুঝলি ? ভীষণ ইন্টারেস্টিং। এই দেবেন্দ্রনাথ ম্যাজিস্ট্রেট পদে ছিলেন। কলকাতায় থাকাকালীন তাঁর বাড়িতে একবার বড়োসড়ো একটা চুরির ঘটনা ঘটে।"
"এক সেকেন্ড। এগুলো সব ওই বইটাতে লেখা রয়েছে ?" হাই তুলতে তুলতে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
"সব এখানে নেই। কিছু এখানে আছে। কিছু আমি অন্য জায়গায় পেয়েছি।"
"ওই যে কোন একটা রাজপরিবার না কী বললে, যেখানে চুরির ঘটনা ঘটেছিলো - সেই সময়েই কি চুরি যায় কাঠের ওই সিগারেট কেস, আর হাত ফেরত হয়ে ডিসুজা ফ্যামিলিতে আসে ?"
"সম্ভবত তাই। দাঁড়া তোদের দেখাই বাক্সটা।"
জটাদা কথাটা শেষ করতে না-করতেই ড্রয়ার খুলে একটা কাঠের সুদৃশ্য বাক্স বের করলো। আমরা তো দেখে অবাক। এটা কোথায় পেলো ও ? পুরো বাক্সের গা-জুড়ে কী সুন্দর নকশা কাটা। ছবিতে যেমন ছিলো, ঠিক তেমনি। কিন্তু আরো উজ্জ্বল, আরো অপূর্ব দেখতে।
"এটা কি অরিজিনালটাই ?"
"হ্যাঁ। একদম অরিজিনাল। পালিশটা এতোদিনে একটু নষ্ট হয়ে গেলেও, দুশো বছরের ধাক্কা ভালোই সামলিয়েছে কাঠটা।"
আমি আর পিঙ্কি পাল্টাপাল্টি করে বাক্সটা নিয়ে খুলে দেখলাম। একসাথে চোদ্দ-পনেরোটা সিগারেট আরামসে রাখা যাবে এতে। এতোদিনের পুরোনো একটা জিনিষ হাতে ধরছি, ভাবতেই কেমন শিহরণ লাগছিলো।
"তুমি এটা পেয়ে গেছো, জানিয়েছো ডিসুজাকে ?"
"না।" জটাদা বললো, "সব রহস্যের উন্মোচন হবে রোববার। তার আগে আমার আর একটু কাজ বাকি আছে।"
"শুধু এই বাক্সটার জন্য নিশ্চয়ই খুন করবে না কেউ।" আমি সন্দেহ প্রকাশ করলাম। "খুনের কেসটা তাহলে হয়তো আলাদা, কী বলো ?"
জটাদা বললো, "খুব সাধারণ বাক্স এটা নয় ঋভু। বাক্সের ভিতরে যে কাঠের পাটাতনটা আছে, সেটাকে চাপ দিয়ে দ্যাখ, বাক্সের নিচের অংশটা আলাদা করে ফেলা যায়।"
"তাই নাকি ?" আমি একটু চেষ্টা করতেই দেখলাম জটাদা ঠিকই বলেছে। বাক্সের নিচের অংশটা খুলে এলো।
পিঙ্কিও তারপর হাতে নিয়ে জিনিষটা ভালো করে দেখলো। বললো, "অদ্ভুত তো। সিগারেটের জন্য এরকম বাক্স কেউ কেন বানাবে ? এটা তার মানে সাধারণ কোনো সিগারেট কেসই নয়।"
কী মনে হতে আমি বললাম, "এটা সিগারেট কেসই। কিন্তু তার সাথে লাগানো একটা ছোট্ট জায়গা। এর মধ্যে সোনা বা হীরের মতো কিছু লুকিয়ে রাখা যায়। সেরকম কিছু লুকিয়ে রাখা ছিলো হয়তো।"
"একদম কারেক্ট।" জটাদা উৎফুল্ল হয়ে বললো, "কোনো জিনিষ লুকিয়ে রাখার পক্ষে এটা দারুণ একটা জায়গা। কেউ সন্দেহই করবে না যে এর মধ্যে অন্য কিছু আছে। বুঝলি পিঙ্কি, এখন আমাদের ফোনে যেমন প্যাটার্ন লক থাকে, পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকে, এইটা হলো তখনকার দিনের ওই পাসওয়ার্ড। কোনো মূল্যবান জিনিষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাবার জন্য একদম আদর্শ। ধর যদি চুরি-ডাকাতি হয়ে জিনিষটা অন্য কারুর কাছে যায়, তবুও সে জানতে পারবে না কী লুকানো আছে।"
"কোথায় খুঁজে পেলে এটাকে ?" আমি জানতে চাইলাম।
"ওই একটু তস্করবৃত্তির সাহায্য নিতে হয়েছে আরকি। চোরের উপর বাটপারি।" জটাদা ইঙ্গিতপূর্ণ একটা হাসি দিয়ে বললো, "যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো -।"
"- অমূল্যরতন।" বাকিটা আমি জটাদার সঙ্গে একসুরে বললাম।
পিঙ্কি জিজ্ঞাসা করলো, "আচ্ছা, তুমি কি এটাকে খালি অবস্থাতেই পেয়েছো নাকি কিছু ছিলো এর ভিতরে ?"
"কিছু নিশ্চয়ই ছিলো। কিন্তু আমি যতক্ষণে খুঁজে পেয়েছি, ততক্ষণে জিনিষটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।"
"উফ্ফ সাংঘাতিক ব্যাপার তো!" বাক্সটা জটাদার হাতে ফিরিয়ে দিলো পিঙ্কি।
"কিন্তু কী ছিলো ? দু'শো বছর আগের একটা বাক্সে... কী থাকতে পারে... সেটাই ভাবতে হবে। আর সেটা এখন কোথায় আছে, সেটাও তো রহস্য।" জটাদা দেখলাম চেয়ারে বসে আবার গভীর চিন্তায় ডুবে গেলো।
"তুমি ভাবো তাহলে।" পিঙ্কি খাটে উঠে এসে বসলো। আমাকে বললো, "কী করলি রে বিকেলবেলা ? পড়ে পড়ে শুধু ঘুমালি ?"
"আরে ঘুমের মধ্যে এমন বিদঘুটে স্বপ্ন দেখছিলাম যে কী বলবো। তুই ক্যারাটে থেকে ফিরে কী করলি বল, পড়তে বসেছিলিস ?"
"ধুর। পরীক্ষার আগে পড়বো, এখন কেন ? আমি একটা ক্যালিগ্রাফি করেছি, দেখবি ?"
"ওই নকশা করে নাম লেখা তো। কই দেখা। ফরওয়ার্ড কর।"
"দেখে প্রশংসা করবি। নাহলে এই তিনতলা থেকে ছুঁড়ে তোকে নিচে ফেলে দেব। আর প্রশংসা করলে তোর নাম দিয়েও একটা করবো এটার পরে।" ছবিটা আমাকে পাঠিয়ে দিয়ে বললো পিঙ্কি।
আমি দেখলাম। বেশ সুন্দর করেছে। ওর ভালো নাম প্রিয়াঙ্কা। সেটাই ইংরাজীতে সুন্দর করে লিখেছে। নামের ইংরাজী অক্ষরগুলো সবই যেন কোনো নৃত্যরতা নারীর আদলে আঁকা। আবার দুটো 'a' অক্ষর যেন দুটো ঘুঙুরের মতো করে সাজিয়ে রাখা আছে। 'n' অক্ষরটা দেখতে অনেকটা তবলার মতো। আর 'i' এর মাথায় ফুটকির জায়গায় একটা ছোট্ট লাল গোলাপ বসানো। খুবই আকর্ষণীয় কাজ। হাতের কাজগুলো ভালোই পারে মেয়েটা। খুব সুন্দর আলপনাও দিতে পারে পিঙ্কি।
জটাদা ব্যস্ত জানি। তবু আমি ওকে ডেকে বললাম, "এক সেকেন্ড দ্যাখো জটাদা, কেমন সুন্দর ক্যালিগ্রাফি বানিয়েছে।"
জটাদা দূর থেকে ডিজাইনটা একবার দেখেই মুখ নামিয়ে নিলো। তারপর হঠাৎ উঠে এসে আমার হাত থেকে মোবাইলটা নিলো। নিয়ে ভালো করে আবার দেখলো। তখনই অদ্ভুত একটা খুশির ঝলক দেখলাম ওর মুখে। ছবিটা দেখতে দেখতে পিঙ্কিকে বললো, "তুই ভীষণ উপকার করলি রে পিঙ্কি।"
"কেন, কী করলাম আমি ?"
জটাদা অতঃপর ব্যাখ্যা করলো। যদিও তার অর্থটা আমাদের কাছে যথারীতি অধরাই রয়ে গেলো। বললো, "ব্যাপারটা আমার মাথাতে কিছুতেই আসছিলো না। বুঝতে পারছিলাম ছকটা। কিন্তু ঠিক ধরতে পারছিলাম না। এখন তোর ক্যালিগ্রাফি দেখে পুরো ছবিটা একদম ক্লিয়ার হয়ে গেলো। এইবারের কেসটা তোর দৌলতেই উৎরে গেলো মনে হচ্ছে।"
জটাদার কথায় পিঙ্কি হতভম্ব হয়ে গেলো। বললো, "সল্ভ করে ফেললে তুমি এইটা দেখে ?"
সেকথার সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে জটাদা হাতের দু'টো চেটো ঘষতে ঘষতে আনন্দে ছড়া কাটলো, "যতই পাকাও না তুমি জট, জটাদার কাছে সব জটই নটঘট। পার্কস্ট্রিটের রহস্য এইবারে সমাপ্ত।" তারপর আমাকে বললো, " ঋভু, চা বল তো একটা করে। খোকনদাকে বল বেশ কড়া করে তিন কাপ চা পাঠাতে।"
আমরা তো কিছুই বুঝলাম না, ক্যালিগ্রাফি থেকে কী খুঁজে পেলো জটাদা। কিন্তু এখন জটাদাকে প্রশ্ন করাটা বৃথা জানি। সেই রোববারের আগে কিছুই সে বলবে না।
(আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)