স্বৈরিণী চাঁদ - অভিজিৎ চৌধুরী
স্বৈরিণী চাঁদ - অভিজিৎ চৌধুরী
অরূপ খবর দিলো,চাঁদ সেজেগুজে আসছে বৃহন্নলা পৃথিবীর কাছে।
তাঔ! বলল,সন্দীপ।
সুদীপ বলল,পৃথিবী কি সামাজিক দূরত্ব ভাঙছে!
শংকর বলল, অবৈজ্ঞানিক।
প্রদীপ বলল,অর্থনীতি ধ্বংস হবে।
দীপংকর বলল,কেন!
পার্থ সৌম্য,সুভদ্র সেও বলল- প্রদীপ এই রোমান্টকতায় আবার ইকনমিক্স!
দীপংকর ভাবল,মুম্বাইয়ে কোন স্টেজ শো করতে পারলে পাবলিক খাবে ভাল।
প্রদীপ উত্তর না দিয়ে আর ডিটেলিং মনে মনে কষতে থাকল।
ক- টায় আসছে!
সন্দীপ বলল।
অরূপ বলল,রাত আটটায়।
ব্লুমুন শ্যাম্পেন পান আজ।
শংকর বলল,প্রেম ভাল কিন্তু এই সময়!
সরখেল বলল,ভেরি ব্যাড।এই সুযোগে বাঙালি হল্লা মাচাবে।
পাশের বাড়ি রুমকি বলল,লোচনদা,আই মিস ইউ।
লোচন বলল,এইট থার্টি ফিক্সড।
চা্ঁদ ভাবছে,পৃথিবী কি তাকে চিনবে! সে তো এখন পুরোপুরি পুরুষ নয়।
দিনের বেলায় পেঁচা চোখে দেখে না,এমন প্রবাদ আছে।চাঁদ গোপন চিঠি পাঠাল তাকে।মগডালে বাস করে বলে তার এখনও করোনা হয়নি।
পৃথিবীকে সেই চিঠি পৌঁছে দিল।পৃথিবীর তো আসলে কিছু হয় নি।সে ব্যাপক সুস্থ।নদীর সঙ্গে গল্প করছিল।
সে বলল,আসুক স্বৈরিণী চাঁদ।আমি তাকে প্রেমিক হয়েই গ্রহণ করব।
পেঁচা বলল, নিন্দুকেরা বলে - তুমি বৃহন্নলা।
বেয়াদপ মানুষের দাপটে আমার তাই হয়েছিল।প্রণয় বোধ হারিয়ে গেছিল।
রাতে চাঁদ আসছে।বুক দুরুদুরু পৃথিবীর।আর দুষ্টু মানব মানবী পুলিশ আর প্রশাসনকে বুড় আঙ্গুল দেখিয়ে ওম নেবে শরীরের পরস্পরের ভালোবাসার।